বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের বোয়ালমারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারী সংকটের কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকদের অনুমোদিত ১১টি পদের মধ্যে ছয়টিই বর্তমানে শূন্য রয়েছে। ফলে অতিথি শিক্ষক নিয়ে কোনোরকমে চলছে ছাত্রীদের পাঠদান কার্যক্রম। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার লিখিতভাবে জানিয়েও সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছে না।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের দক্ষিণ শিবপুর মহল্লায় প্রায় দেড় একর জমির ওপর ১৯৬৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৭ সালের ২২ ডিসেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বোয়ালমারী স্টেডিয়ামে এক জনসভায় বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের ঘোষণা দেন।
সরকারিকরণের সময় বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকদের মোট পদ ছিল ১১ টি। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পদ ছিল চারটি। বর্তমানে এখানে শিক্ষক কর্মরত আছেন মাত্র পাঁচজন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে শূন্য আর সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য আছে ২০১৯ সালে ১৭ জুলাই থেকে। এ ছাড়া গণিত, ইংরেজি, বাংলা ও ধর্ম বিষয়ের একজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে চারজন অতিথি শিক্ষক নিয়ে কোন রকমে পাঠদান চালু রাখা হয়েছে।
বিদ্যালয়টির তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের চারটি পদের মধ্যে বর্তমানে শুধুমাত্র একজন দারোয়ান কর্মরত রয়েছেন। তৃতীয় শ্রেণির অফিস সহকারী পদটি ২০১৫ সালের ১১ মে থেকে, চতুর্থ শ্রেণির নৈশ প্রহরী পদ ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি এবং দপ্তরি পদ ২০২১ সালের এক জানুয়ারি থেকে শূন্য আছে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়ে তিনতলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া একই চত্বরে ছয়তলা বিশিষ্ট একটি নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ছয়তলা এই ভবনটি উপজেলার জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সমন্বিত কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বাকি সময় এই ভবনে চলবে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। নারীদের জন্য স্বতন্ত্র এই উচ্চ বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ছাত্রী সংখ্যা ৬৫৫ জন।
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞানের ছাত্রী মিম কেয়া, মারিয়া বিনতে মিরাজ, লিমা জানায়, শিক্ষকের অভাবে আমাদের উচ্চতর গণিতের ক্লাস কখনোই হয় না। একই ক্লাসের ইসরাত জেরিন, এশা আনোয়ার, ষষ্ঠ শ্রেণির সাগরিকা আক্তার, রেবা ইসলাম জানায়, শিক্ষক না থাকায় আমাদের ক্লাস ঠিকমতো হয় না। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে প্রাইভেট পড়ে ঘাটতি পূরণ করতে হয়।
অতিথি শিক্ষক মো. রইচ উদ্দিন জানান, সারা মাস পাঠদান শেষে বিদ্যালয় থেকে আমাদের মাত্র ২ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়। এই দুর্মূল্যের বাজারে যা বেমানান এবং অমানবিকও বটে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এটিএম চুন্নু মিয়া জানান, বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান সমস্যা শিক্ষক কর্মচারী সংকটের বিষয়টি সর্বশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর লিখিত ভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালককে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর জন্য ২ হাজার ৬০০ জন সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস নাগাদ ওই তালিকা থেকে আমাদের বিদ্যালয়ের শূন্য পদে শিক্ষক পাওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের তহবিল সংকটের কারণে অতিথি শিক্ষকদের সম্মানী বাড়ানো যাচ্ছে না। আর খাবার পানির সংকটের জন্য পৌর মেয়র একটি গভীর নলকূপ দিতে সম্মত হয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক আরও জানান, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫ জন শিক্ষকের পদ সৃষ্টির জন্য সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ের সব সরকারি হাইস্কুল গুলোতে একই কাঠামোতে পদ সৃষ্টির একটি চিঠি আসে মাউশি থেকে। আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাকি ১৪টি পদ সৃষ্টির জন্য ওই চিঠির আলোকে ২০১৪ সালে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মাউশিতে জমা দেই। কিন্তু গিমাডাঙ্গাসহ সারা দেশের কোথাও নতুন পদ সৃষ্টির ওই উদ্যোগ আর আলোর মুখ দেখেনি।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারী সংকটের কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকদের অনুমোদিত ১১টি পদের মধ্যে ছয়টিই বর্তমানে শূন্য রয়েছে। ফলে অতিথি শিক্ষক নিয়ে কোনোরকমে চলছে ছাত্রীদের পাঠদান কার্যক্রম। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার লিখিতভাবে জানিয়েও সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছে না।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের দক্ষিণ শিবপুর মহল্লায় প্রায় দেড় একর জমির ওপর ১৯৬৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৭ সালের ২২ ডিসেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বোয়ালমারী স্টেডিয়ামে এক জনসভায় বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের ঘোষণা দেন।
সরকারিকরণের সময় বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকদের মোট পদ ছিল ১১ টি। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পদ ছিল চারটি। বর্তমানে এখানে শিক্ষক কর্মরত আছেন মাত্র পাঁচজন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে শূন্য আর সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য আছে ২০১৯ সালে ১৭ জুলাই থেকে। এ ছাড়া গণিত, ইংরেজি, বাংলা ও ধর্ম বিষয়ের একজন করে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে চারজন অতিথি শিক্ষক নিয়ে কোন রকমে পাঠদান চালু রাখা হয়েছে।
বিদ্যালয়টির তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের চারটি পদের মধ্যে বর্তমানে শুধুমাত্র একজন দারোয়ান কর্মরত রয়েছেন। তৃতীয় শ্রেণির অফিস সহকারী পদটি ২০১৫ সালের ১১ মে থেকে, চতুর্থ শ্রেণির নৈশ প্রহরী পদ ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি এবং দপ্তরি পদ ২০২১ সালের এক জানুয়ারি থেকে শূন্য আছে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়ে তিনতলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া একই চত্বরে ছয়তলা বিশিষ্ট একটি নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ছয়তলা এই ভবনটি উপজেলার জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সমন্বিত কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বাকি সময় এই ভবনে চলবে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। নারীদের জন্য স্বতন্ত্র এই উচ্চ বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ছাত্রী সংখ্যা ৬৫৫ জন।
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞানের ছাত্রী মিম কেয়া, মারিয়া বিনতে মিরাজ, লিমা জানায়, শিক্ষকের অভাবে আমাদের উচ্চতর গণিতের ক্লাস কখনোই হয় না। একই ক্লাসের ইসরাত জেরিন, এশা আনোয়ার, ষষ্ঠ শ্রেণির সাগরিকা আক্তার, রেবা ইসলাম জানায়, শিক্ষক না থাকায় আমাদের ক্লাস ঠিকমতো হয় না। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে প্রাইভেট পড়ে ঘাটতি পূরণ করতে হয়।
অতিথি শিক্ষক মো. রইচ উদ্দিন জানান, সারা মাস পাঠদান শেষে বিদ্যালয় থেকে আমাদের মাত্র ২ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়। এই দুর্মূল্যের বাজারে যা বেমানান এবং অমানবিকও বটে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এটিএম চুন্নু মিয়া জানান, বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান সমস্যা শিক্ষক কর্মচারী সংকটের বিষয়টি সর্বশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর লিখিত ভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালককে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর জন্য ২ হাজার ৬০০ জন সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস নাগাদ ওই তালিকা থেকে আমাদের বিদ্যালয়ের শূন্য পদে শিক্ষক পাওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের তহবিল সংকটের কারণে অতিথি শিক্ষকদের সম্মানী বাড়ানো যাচ্ছে না। আর খাবার পানির সংকটের জন্য পৌর মেয়র একটি গভীর নলকূপ দিতে সম্মত হয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক আরও জানান, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫ জন শিক্ষকের পদ সৃষ্টির জন্য সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ের সব সরকারি হাইস্কুল গুলোতে একই কাঠামোতে পদ সৃষ্টির একটি চিঠি আসে মাউশি থেকে। আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাকি ১৪টি পদ সৃষ্টির জন্য ওই চিঠির আলোকে ২০১৪ সালে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মাউশিতে জমা দেই। কিন্তু গিমাডাঙ্গাসহ সারা দেশের কোথাও নতুন পদ সৃষ্টির ওই উদ্যোগ আর আলোর মুখ দেখেনি।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আছিয়া বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবধা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। আছিয়া বেগম ওই গ্রামের মৃত আফার উদ্দিনের স্ত্রী।
৪০ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ে গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৭২টি গরু। গত প্রায় দুই মাসে এ গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে জেলার পাঁচটি উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৮০টি গরু।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মধুপুরের চলতি মৌসুমে কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রচন্ড গরমে কাঁঠাল পেকে যাওয়ায় বাজারে এ ফলের আধিক্য বেড়েছে। তবে রোদ-বৃষ্টির সাথে সাথে কাঁঠালের দাম ওঠা-নামা করায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়িরা। তবে কাঁঠালের দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ভোক্তারা খুশি।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে তিস্তা সেতু। নদীর নামের সঙ্গে মিলয়েই এ নামকরণ করা হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা সেতুটি উদ্বোধনের। সেতুটি দিয়ে যান চলাচল শুরু করলেই গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের যাতায়াত আরও সহজ হবে। এলাকার উৎপাদিত পণ্য সারা দেশে...
২ ঘণ্টা আগে