জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
মোহাম্মদপুরের আওরঙ্গজেব রোডটা ভোর থেকেই ব্যস্ত থাকে সদাই-পাতি নিয়ে। নানা ধরনের খাদ্যপণ্য বিক্রি হয় এখানে। স্বাস্থ্যোদ্ধার যাঁদের স্বপ্ন, তাঁরা ক্রিসেন্ট লেক থেকে ফেরার পথে এই রাস্তা থেকে প্রয়োজনীয় বাজার করে নিয়ে যান।
মিরপুর রোডের দিকটায় প্রতিদিন মাঠা নিয়ে বসেন লিটন ঘোষ। তাঁকে অবশ্য বিকাশ ঘোষ নামেও চেনে অনেকে। এক গ্লাস মাঠার দাম ২০ টাকা। যদি মাখনসহ খাওয়া হয়, তাহলে গুনতে হয় ৩০ টাকা।
প্রথমে লিটন ঘোষ কথা বলতে চান না। বলেন, ‘আমার কথা বলার অভ্যাস নাই।’
এরই মধ্যে একজন ক্রেতা জুটে যায় তাঁর। বালতির ওপরে থাকা একবার ব্যবহারের উপযোগী গ্লাসে মাঠা ঢালেন তিনি। সঙ্গে কিছুটা মাখন। তারিয়ে তারিয়ে সেই মাঠা-মাখন খেতে থাকেন মাঝবয়সী নারীটি।
কথা যখন বলবেন না বলেই ঠিক করেছেন, তখন শুধু জিজ্ঞেস করি, ‘আপনার নাম কী?’
তখনই তিনি তাঁর দুটো নামের কথা বলেন। এরপর বলি, ‘আপনি কেমন আছেন, সে কথাই তো জানতে চাই।’
হাসি দেখা দেয় লিটন ঘোষের মাস্ক-পরিহিত মুখে। সেটা বুঝে নিতে হয় চোখের দিকে তাকিয়ে। বলেন, ‘হ্যাঁ, সে কথা তো বলতেই পারি। আমি ভাবসিলাম...’
কত ধরনের মতলবি মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে চারপাশে, আমি তাদেরই কেউ কি না, সে বিষয়ে হয়তো একটা সংশয় ছিল তাঁর মনে।
‘কত বছর ধরে ব্যবসা করেন?’
‘এটা পৈতৃক ব্যবসা। আমি নিজে ৩২ বছর ধরে এই ব্যবসা করে যাচ্ছি।’
‘আপনার গরু আছে?’
‘না ভাই। মণিপুরিপাড়ার বাড়ি থেকে বিকেলে চলে যাই আঁটি বাজার। সেখান থেকে দুধ কিনি। রাতে আপনার বউদি আর আমি মিলে মাঠা বানাই।’
‘কতটা মাঠা বানান?’
‘১২ লিটার বা ১৫ লিটার দুধ কিনি।’
‘কত লিটার মাঠা হয়? ১০ লিটার?’
আমার অজ্ঞতায় হাসেন তিনি। ‘দুধ থেকে মাঠা বানাইলে পরিমাণে বাড়ে। ১৫ লিটার, ১৬ লিটার হয় ১২ লিটার দুধ থেকে।’
এরই মধ্যে নতুন যে ক্রেতাটি আসেন, তাঁকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন লিটন ঘোষ। বলেন, ‘এই যে আমার কাস্টমার। উনি ৩২ বছর ধরে আমার তৈরি মাঠা খান।’
খুবই গম্ভীর হয়ে দাঁড়ালেন অমর চন্দ্র সরকার। তাঁর হাতে দুই গ্লাস মাঠা তুলে দিলেন লিটন ঘোষ। তারপর কোয়ার্টার গ্লাস দিলেন ফাও। পুরো প্রক্রিয়াটা যে প্রতিদিনের রুটিন, সেটা বিলক্ষণ বোঝা যায়।
মাঠা খাওয়ার পর অমর চন্দ্র সরকার বললেন, ‘লিটন ঘোষ খাঁটি মানুষ। তাঁর মাঠাও খাঁটি।’
কথা চলতে থাকে।
‘ছেলেমেয়ে কয়জন?’
‘তিনজন। বড় ছেলে ক্লাস টেন, মেজো মেয়ে ক্লাস এইট আর ছোট ছেলেটা ক্লাস টুয়ে পড়ে।’
‘জীবনটা কেমন লাগে?
‘জীবন? বলতে গেলে একটু কষ্ট হয়ে গেছে।’
‘যদি অনেক টাকা হতো?’
একটু ভেবে বলেন, ‘টাকা হইলেই যে ভালো হইত, তা না। সবচেয়ে বড় কথা হইল মনের শান্তি। সেইটা তো পাইতে হবে।’
মোহাম্মদপুরের আওরঙ্গজেব রোডটা ভোর থেকেই ব্যস্ত থাকে সদাই-পাতি নিয়ে। নানা ধরনের খাদ্যপণ্য বিক্রি হয় এখানে। স্বাস্থ্যোদ্ধার যাঁদের স্বপ্ন, তাঁরা ক্রিসেন্ট লেক থেকে ফেরার পথে এই রাস্তা থেকে প্রয়োজনীয় বাজার করে নিয়ে যান।
মিরপুর রোডের দিকটায় প্রতিদিন মাঠা নিয়ে বসেন লিটন ঘোষ। তাঁকে অবশ্য বিকাশ ঘোষ নামেও চেনে অনেকে। এক গ্লাস মাঠার দাম ২০ টাকা। যদি মাখনসহ খাওয়া হয়, তাহলে গুনতে হয় ৩০ টাকা।
প্রথমে লিটন ঘোষ কথা বলতে চান না। বলেন, ‘আমার কথা বলার অভ্যাস নাই।’
এরই মধ্যে একজন ক্রেতা জুটে যায় তাঁর। বালতির ওপরে থাকা একবার ব্যবহারের উপযোগী গ্লাসে মাঠা ঢালেন তিনি। সঙ্গে কিছুটা মাখন। তারিয়ে তারিয়ে সেই মাঠা-মাখন খেতে থাকেন মাঝবয়সী নারীটি।
কথা যখন বলবেন না বলেই ঠিক করেছেন, তখন শুধু জিজ্ঞেস করি, ‘আপনার নাম কী?’
তখনই তিনি তাঁর দুটো নামের কথা বলেন। এরপর বলি, ‘আপনি কেমন আছেন, সে কথাই তো জানতে চাই।’
হাসি দেখা দেয় লিটন ঘোষের মাস্ক-পরিহিত মুখে। সেটা বুঝে নিতে হয় চোখের দিকে তাকিয়ে। বলেন, ‘হ্যাঁ, সে কথা তো বলতেই পারি। আমি ভাবসিলাম...’
কত ধরনের মতলবি মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে চারপাশে, আমি তাদেরই কেউ কি না, সে বিষয়ে হয়তো একটা সংশয় ছিল তাঁর মনে।
‘কত বছর ধরে ব্যবসা করেন?’
‘এটা পৈতৃক ব্যবসা। আমি নিজে ৩২ বছর ধরে এই ব্যবসা করে যাচ্ছি।’
‘আপনার গরু আছে?’
‘না ভাই। মণিপুরিপাড়ার বাড়ি থেকে বিকেলে চলে যাই আঁটি বাজার। সেখান থেকে দুধ কিনি। রাতে আপনার বউদি আর আমি মিলে মাঠা বানাই।’
‘কতটা মাঠা বানান?’
‘১২ লিটার বা ১৫ লিটার দুধ কিনি।’
‘কত লিটার মাঠা হয়? ১০ লিটার?’
আমার অজ্ঞতায় হাসেন তিনি। ‘দুধ থেকে মাঠা বানাইলে পরিমাণে বাড়ে। ১৫ লিটার, ১৬ লিটার হয় ১২ লিটার দুধ থেকে।’
এরই মধ্যে নতুন যে ক্রেতাটি আসেন, তাঁকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন লিটন ঘোষ। বলেন, ‘এই যে আমার কাস্টমার। উনি ৩২ বছর ধরে আমার তৈরি মাঠা খান।’
খুবই গম্ভীর হয়ে দাঁড়ালেন অমর চন্দ্র সরকার। তাঁর হাতে দুই গ্লাস মাঠা তুলে দিলেন লিটন ঘোষ। তারপর কোয়ার্টার গ্লাস দিলেন ফাও। পুরো প্রক্রিয়াটা যে প্রতিদিনের রুটিন, সেটা বিলক্ষণ বোঝা যায়।
মাঠা খাওয়ার পর অমর চন্দ্র সরকার বললেন, ‘লিটন ঘোষ খাঁটি মানুষ। তাঁর মাঠাও খাঁটি।’
কথা চলতে থাকে।
‘ছেলেমেয়ে কয়জন?’
‘তিনজন। বড় ছেলে ক্লাস টেন, মেজো মেয়ে ক্লাস এইট আর ছোট ছেলেটা ক্লাস টুয়ে পড়ে।’
‘জীবনটা কেমন লাগে?
‘জীবন? বলতে গেলে একটু কষ্ট হয়ে গেছে।’
‘যদি অনেক টাকা হতো?’
একটু ভেবে বলেন, ‘টাকা হইলেই যে ভালো হইত, তা না। সবচেয়ে বড় কথা হইল মনের শান্তি। সেইটা তো পাইতে হবে।’
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১২ মিনিট আগেরাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে কেমিক্যাল গোডাউন ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
১৪ মিনিট আগেআইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালীর আল্লাহু চত্বর এলাকায় যৌথ বাহিনী চেকপোস্ট পরিচালনা করেছে। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জুম্মান খান।
২৪ মিনিট আগেপটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের উত্তর পাকডাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিদের (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
২৭ মিনিট আগে