Ajker Patrika

ছাগলকাণ্ডের মতিউরের স্ত্রী লায়লার আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নরসিংদীর রায়পুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি। ছবি: সংগৃহীত
নরসিংদীর রায়পুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি। ছবি: সংগৃহীত

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকির আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। দুদকের সরকারি পরিচালক মো. ইসমাইল আইকন নথি শব্দের এই আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে লায়লা কানিজ লাকির স্বামী মতিউর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। মতিউর রহমানের পরিবারের সদস্যরাও বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেন। মতিউরের স্ত্রী লাকি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করে অপরাধ করেছেন। এ কারণে গত ১২ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক যা তদন্তাধীন আছে। ওই মামলা তদন্তের স্বার্থে তাঁর আয়কর নথি যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন। এ কারণে আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামি লায়লা কানিজ ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তিনি লায়লা কানিজের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত করতে লায়লা কানিজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মতিউর পরিবারের বিরুদ্ধে গত ৬ জানুয়ারি তিনটি ও ১২ জানুয়ারি তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। গত ১৫ জানুয়ারি লায়লা কানিজকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করলে একই আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে ছাগলকাণ্ডের মতিউর ও তাঁর পরিবারের সম্পদ দুই দফায় ক্রোক ও অবরুদ্ধের নির্দেশ দেন ঢাকার আদালত। সেই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ক্রোক ও উনিশটি কোম্পানিতে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৭টি শেয়ার অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন আদালত।

গত ঈদুল আজহা ঈদে ১৫ লাখ টাকায় (প্রাথমিক দর) ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কেনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত। এরপর থেকে তাঁর বিলাসী জীবনযাপনের নানা তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই ছাগল-কাণ্ডের জেরেই আলোচনায় আসেন ইফাতের বাবা এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান। তখন মতিউর রহমানের ছেলের দামি ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের তথ্য সামনে আসতে শুরু করে।

একপর্যায়ে মতিউরকে এনবিআর থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে যুক্ত করা হয়। সরিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে সরকার মনোনীত পরিচালক পদ থেকেও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত