শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
মাদারীপুর জেলার শিবচরে আবারও একটি গ্রেনেড-সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিবচর উপজেলার ভান্ডারিকান্দি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাপারীকান্দি গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে এটি উদ্ধার করে থানা-পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবচরের ভদ্রাসন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেলিম রেজা বলেন, ‘গ্রেনেড-সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে রাখা হয় থানার মালখানায়। বিষয়টি আদালতকে জানানো হবে, আদালত থেকে সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে উপজেলার ভান্ডারিকান্দি ইউনিয়নের ব্যাপারীকান্দি গ্রামের শাহিন ব্যাপারীর পাঁচ বছরের ছেলে সিফাত ও ইলিয়াস ফকিরের চার বছরের ছেলে সাব্বির বাড়ির পাশে খেলছিল। খেলতে খেলতে বাড়ির দক্ষিণ পাশের একটি ঝোপের মধ্যে গ্রেনেড-সদৃশ একটি বস্তু পায়। তারা কৃষক মিজানুর ব্যাপারীর স্নাতক পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়াকে জিনিসটি দেখায়। সুমাইয়া বস্তুটি চিনতে না পেরে নিজেদের ঘরে রেখে দেন।
বৃহস্পতিবার শিবচরে গ্রেনেড ধ্বংসের একটি সংবাদ দেখে সুমাইয়ার সন্দেহ হয়। ঘরে রাখা বস্তুটি গ্রেনেড বলে ধারণা করেন তিনি এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে শিবচর থানার পুলিশকে বিষয়টি জানায়। শুক্রবার রাতে ভদ্রাসন পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মো. সেলিম রেজার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই বাড়ি থেকে গ্রেনেড-সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে।
সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘পাঁচ-ছয় মাস আগে আমাদের বাড়ির পাশের ঝোপের মধ্যে শিশুরা এই বস্তু পায়। পরে আমার কাছে নিয়ে আসে। আমরা চিনতে পারিনি। ওটা ঘরেই ছিল। গতকাল টিভিতে গ্রেনেড বিস্ফোরণের খবর দেখে মিল খুঁজে পেলে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে নিয়ে যায়।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ গ্রেনেড-সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করেছে। এটি সচল আছে কি না, তা বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করা হবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত জুলাইয়ে শিবচর উপজেলার সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামের ইজিবাইক চালক জয়নাল আবেদিনের ঘরের আলমারির ভেতর থেকে দুই ইঞ্চির একটি গ্রেনেড উদ্ধার করে পুলিশ। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দিকে জয়নাল আবেদিনের বাবা জহের উদ্দিন মুন্সী পুকুর খনন করতে গিয়ে পান গ্রেনেডটি। তখন এটি খেলনা মনে করে রেখে দেন ঘরের আলমারিতে। জয়নালের ছেলে যুবায়ের মুন্সী (১৫) ছোটকালে এটা দিয়ে খেলেছেও।
সম্প্রতি মামার বাড়ি বেড়াতে যায় যুবায়ের। সেখানে টেলিভিশনে সিনেমা দেখছিল। সিনেমায় গ্রেনেড বিস্ফোরণ দেখে বাড়ির সেই বস্তুটির কথা মনে পড়ে। সে মামাকে জানায়, এমন একটি বস্তু তাদের বাড়িতে আছে। ছোটকালে সেও এটি নিয়ে খেলেছে। পরে বিষয়টি থানার পুলিশকে জানালে গত ২ জুলাই রাতেই জয়নালের বাড়ির আলমারির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় গ্রেনেডটি। এটি নিষ্ক্রিয় করতে রাজধানী ঢাকা থেকে মাদারীপুরের শিবচরে আসেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাত সদ্যদের একটি দল। পরে থানার সামনে খোলা মাঠে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেনেডটি ধ্বংস করে তারা।
মাদারীপুর জেলার শিবচরে আবারও একটি গ্রেনেড-সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিবচর উপজেলার ভান্ডারিকান্দি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাপারীকান্দি গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে এটি উদ্ধার করে থানা-পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবচরের ভদ্রাসন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেলিম রেজা বলেন, ‘গ্রেনেড-সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে রাখা হয় থানার মালখানায়। বিষয়টি আদালতকে জানানো হবে, আদালত থেকে সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে উপজেলার ভান্ডারিকান্দি ইউনিয়নের ব্যাপারীকান্দি গ্রামের শাহিন ব্যাপারীর পাঁচ বছরের ছেলে সিফাত ও ইলিয়াস ফকিরের চার বছরের ছেলে সাব্বির বাড়ির পাশে খেলছিল। খেলতে খেলতে বাড়ির দক্ষিণ পাশের একটি ঝোপের মধ্যে গ্রেনেড-সদৃশ একটি বস্তু পায়। তারা কৃষক মিজানুর ব্যাপারীর স্নাতক পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়াকে জিনিসটি দেখায়। সুমাইয়া বস্তুটি চিনতে না পেরে নিজেদের ঘরে রেখে দেন।
বৃহস্পতিবার শিবচরে গ্রেনেড ধ্বংসের একটি সংবাদ দেখে সুমাইয়ার সন্দেহ হয়। ঘরে রাখা বস্তুটি গ্রেনেড বলে ধারণা করেন তিনি এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে শিবচর থানার পুলিশকে বিষয়টি জানায়। শুক্রবার রাতে ভদ্রাসন পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মো. সেলিম রেজার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই বাড়ি থেকে গ্রেনেড-সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করে।
সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘পাঁচ-ছয় মাস আগে আমাদের বাড়ির পাশের ঝোপের মধ্যে শিশুরা এই বস্তু পায়। পরে আমার কাছে নিয়ে আসে। আমরা চিনতে পারিনি। ওটা ঘরেই ছিল। গতকাল টিভিতে গ্রেনেড বিস্ফোরণের খবর দেখে মিল খুঁজে পেলে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে নিয়ে যায়।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ গ্রেনেড-সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করেছে। এটি সচল আছে কি না, তা বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করা হবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত জুলাইয়ে শিবচর উপজেলার সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামের ইজিবাইক চালক জয়নাল আবেদিনের ঘরের আলমারির ভেতর থেকে দুই ইঞ্চির একটি গ্রেনেড উদ্ধার করে পুলিশ। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দিকে জয়নাল আবেদিনের বাবা জহের উদ্দিন মুন্সী পুকুর খনন করতে গিয়ে পান গ্রেনেডটি। তখন এটি খেলনা মনে করে রেখে দেন ঘরের আলমারিতে। জয়নালের ছেলে যুবায়ের মুন্সী (১৫) ছোটকালে এটা দিয়ে খেলেছেও।
সম্প্রতি মামার বাড়ি বেড়াতে যায় যুবায়ের। সেখানে টেলিভিশনে সিনেমা দেখছিল। সিনেমায় গ্রেনেড বিস্ফোরণ দেখে বাড়ির সেই বস্তুটির কথা মনে পড়ে। সে মামাকে জানায়, এমন একটি বস্তু তাদের বাড়িতে আছে। ছোটকালে সেও এটি নিয়ে খেলেছে। পরে বিষয়টি থানার পুলিশকে জানালে গত ২ জুলাই রাতেই জয়নালের বাড়ির আলমারির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় গ্রেনেডটি। এটি নিষ্ক্রিয় করতে রাজধানী ঢাকা থেকে মাদারীপুরের শিবচরে আসেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাত সদ্যদের একটি দল। পরে থানার সামনে খোলা মাঠে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেনেডটি ধ্বংস করে তারা।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে