Ajker Patrika

ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি ১ দিন বাড়ানোর দাবি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৬: ৩৪
ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি ১ দিন বাড়ানোর দাবি 

প্রতিবছর ঈদে রাজধানী থেকে ১ কোটির বেশি মানুষ প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ছেড়ে বাড়িতে যায়। এ বছরও প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানী ছাড়বে। তবে যাত্রীর তুলনায় গণপরিবহন নিতান্তই কম হওয়ায় প্রতিবছরই দুর্ভোগের শিকার হতে হয় যাত্রীদের। এই দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হতে পারে ২০ এপ্রিল ছুটির মাধ্যমে।

আজ রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ঈদযাত্রায় অসহনীয় যানজট, যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক জানান, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এছাড়াও এক জেলা থেকে অপর জেলায় আরও প্রায় ৫ কোটি মানুষ ঈদে বাড়ি যেতে পারে।

মোজাম্মেল হক বলেন, ১৬ এপ্রিল থেকে ঈদযাত্রা শুরু হলেও প্রধানত ১৮ এপ্রিল বেতন-বোনাস পাওয়ার পর ১৯ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লাখ হারে মানুষ রাজধানী ছাড়বে। কিন্তু আমাদের গণপরিবহনে সড়কপথে ৬ থেকে ১০ লাখ, নৌপথে ৮ থেকে ১০ লাখ, রেলপথে দেড় লাখ যাত্রী অভারলোড হয়ে যাতায়াত করতে পারে। ২০ এপ্রিল অফিস খোলা থাকায় এই ৫০ লাখ যাত্রীর একটি বড় অংশ আটকে যাচ্ছে। এই কারণে ২০ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলে যাত্রীর চাপ কিছুটা কমতে পারে।’ অন্যথায় ২১ এপ্রিল সড়ক-রেল-নৌপথের পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক হবে বলে জানান তিনি। ২০ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি যাত্রাপথে বাড়তি নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সতর্কতা, প্রতিটি যানবাহনের সর্বোচ্চ ব্যবহার সুনিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

দেশে সড়ক পথে গণপরিবহনের ভয়াবহ সংকট চলছে জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, এই পরিস্থিতিতে মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রার সুযোগ দিলে রাজধানীর ৫ থেকে ৬ লাখ বাইকার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে পারে। এতে ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হলেও সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বহুলাংশে বেড়ে যাবে। মোটরসাইকেল রাস্তায় থাকলে আমাদের ঝুঁকি বাড়ে আবার না থাকলে আমাদের দুর্ভোগ বাড়ে। তবে মোটরসাইকেল কখনোই গণপরিবহনের বিকল্প নয়।’

মোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘ভাড়া নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে সরকার প্রতিবছর ঈদে কাগুজে বাঘের মতো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও দৃষ্টান্তমূলক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার কারণে এবারের ঈদে সব পথে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য হতে পারে।’ তিনি সরকারের প্রতি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

এ ছাড়াও তিনি যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে প্রতিটি বাস, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে সিভিল পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো এবং মহাসড়কে ডাকাতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সূর্য, প্রোতার সদস্যসচিব বদরুল হাসান মজুমদার, বিশিষ্ট সমাজকর্মী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, সংগঠনের সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতিহাস দরজায় কড়া নেড়ে বলছে, ১৯৭১ থেকে পাকিস্তান কি শেখেনি কিছুই

‘আমাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ো না’

কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়ি অবরোধের ঘোষণা

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত