নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাইক্রো ক্রেডিট বা ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থায় যে নোবেল পেয়েছেন, সেটির কৃতিত্ব দরিদ্র মানুষদের, যাঁরা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেছেন। আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগরী গড়ে তোলার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজিনাস নলেজের (বারসিক) আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য এমন কথা বলেন নগর দারিদ্র্য বস্তিবাসীর উন্নয়ন সংস্থার (এনডিবিইউএস) কর্মী ফাতেমা আক্তার।
সমাজে নিম্ন আয়ের মানুষের অধিকারের কথা জানাতে গিয়ে ফাতেমা বলেন, ‘আজকে যে নোবেল পাইছে সেই নোবেল কিন্তু তাদের (বিত্তশালী) না। আমরা গরিব মানুষ ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধ করছি, তারপর সে (মুহাম্মদ ইউনূস) নোবেল পাইছে। এই নোবেলের অংশীদার কিন্তু তারা না, আমরা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বড়লোকদের যেমন ঝিলমিল প্রকল্প দেওয়া হয়েছে, তেমন দরিদ্রদের জন্যও যেন তেমন কিছু থাকে। শুধু পদ-পদবি নয়, যারা অভিজ্ঞ তাদের দিয়ে কাজ করানো হোক।’
ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘দরিদ্র মানুষ বোঝা না, সম্পদ। তাদের ব্যবহার করা হোক। অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ঢাকায় ১২০০ একর জমি চিহ্নিত করে দেওয়া হলো অথচ সেখানে দরিদ্রদের জন্য জায়গা নাই। যেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য জায়গা দেওয়া হচ্ছে অথচ দরিদ্রদের জন্য কিছু নাই। এই আন্দোলনে দরিদ্র মানুষ বেশি মারা গেছে।’
বারসিকের আলোচনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় আলোচনা সমন্বয় করেন পাভেল পার্থ। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বারসিকের দাবি ও আশা তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়—ঢাকার প্রধান সমস্যা হলো আবাসন সংকট। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে তারা সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করবে। নগরের সবার জন্য সমানভাবে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পানি এবং স্যানিটেশনের মতো মৌলিক সেবায় প্রবেশাধিকার ব্যবস্থা করতে হবে। নগর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারিভাবে স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষাগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার এমন একটি পরিবহন নেটওয়ার্ক করবে, যেখানে নারী, প্রবীণ, শিশু ও প্রতিবন্ধীরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে। নগর এলাকায় অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা তৈরি করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। ঢাকাসহ অন্যান্য নগরীর পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবুজ অবকাঠামো, নগর কৃষি প্রসার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি, নদী, খাল, জলাধার খনন ও বন্যারোধী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে।
বৈষম্যহীন নগরের জন্য নগরের নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ১১ দাবি জানায় বারসিক। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ঢাকা নগরের ঝুঁকিপূর্ণ বস্তিবাসীদের জন্য নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব আবাসন বাসস্থান নিশ্চিত করতে হবে; বস্তিবাসীর আবাসনসংকট পূরণের জন্য নেওয়া ভাষানটেকের অসমাপ্ত বিল্ডিংগুলো সমাপ্ত করে তা প্রকৃত বস্তিবাসীর জন্য বরাদ্দ প্রদান করতে হবে; নগরের যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে হবে; এ ছাড়া নগরের ধনী, গরিব, বস্তিবাসী সবার জন্য পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানির সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাসহ এসব দফা উপস্থাপন করা হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাইক্রো ক্রেডিট বা ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থায় যে নোবেল পেয়েছেন, সেটির কৃতিত্ব দরিদ্র মানুষদের, যাঁরা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেছেন। আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগরী গড়ে তোলার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজিনাস নলেজের (বারসিক) আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য এমন কথা বলেন নগর দারিদ্র্য বস্তিবাসীর উন্নয়ন সংস্থার (এনডিবিইউএস) কর্মী ফাতেমা আক্তার।
সমাজে নিম্ন আয়ের মানুষের অধিকারের কথা জানাতে গিয়ে ফাতেমা বলেন, ‘আজকে যে নোবেল পাইছে সেই নোবেল কিন্তু তাদের (বিত্তশালী) না। আমরা গরিব মানুষ ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধ করছি, তারপর সে (মুহাম্মদ ইউনূস) নোবেল পাইছে। এই নোবেলের অংশীদার কিন্তু তারা না, আমরা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বড়লোকদের যেমন ঝিলমিল প্রকল্প দেওয়া হয়েছে, তেমন দরিদ্রদের জন্যও যেন তেমন কিছু থাকে। শুধু পদ-পদবি নয়, যারা অভিজ্ঞ তাদের দিয়ে কাজ করানো হোক।’
ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘দরিদ্র মানুষ বোঝা না, সম্পদ। তাদের ব্যবহার করা হোক। অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ঢাকায় ১২০০ একর জমি চিহ্নিত করে দেওয়া হলো অথচ সেখানে দরিদ্রদের জন্য জায়গা নাই। যেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য জায়গা দেওয়া হচ্ছে অথচ দরিদ্রদের জন্য কিছু নাই। এই আন্দোলনে দরিদ্র মানুষ বেশি মারা গেছে।’
বারসিকের আলোচনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় আলোচনা সমন্বয় করেন পাভেল পার্থ। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বারসিকের দাবি ও আশা তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়—ঢাকার প্রধান সমস্যা হলো আবাসন সংকট। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে তারা সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করবে। নগরের সবার জন্য সমানভাবে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পানি এবং স্যানিটেশনের মতো মৌলিক সেবায় প্রবেশাধিকার ব্যবস্থা করতে হবে। নগর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারিভাবে স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষাগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার এমন একটি পরিবহন নেটওয়ার্ক করবে, যেখানে নারী, প্রবীণ, শিশু ও প্রতিবন্ধীরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে। নগর এলাকায় অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা তৈরি করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। ঢাকাসহ অন্যান্য নগরীর পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবুজ অবকাঠামো, নগর কৃষি প্রসার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি, নদী, খাল, জলাধার খনন ও বন্যারোধী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে।
বৈষম্যহীন নগরের জন্য নগরের নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ১১ দাবি জানায় বারসিক। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ঢাকা নগরের ঝুঁকিপূর্ণ বস্তিবাসীদের জন্য নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব আবাসন বাসস্থান নিশ্চিত করতে হবে; বস্তিবাসীর আবাসনসংকট পূরণের জন্য নেওয়া ভাষানটেকের অসমাপ্ত বিল্ডিংগুলো সমাপ্ত করে তা প্রকৃত বস্তিবাসীর জন্য বরাদ্দ প্রদান করতে হবে; নগরের যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে হবে; এ ছাড়া নগরের ধনী, গরিব, বস্তিবাসী সবার জন্য পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানির সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাসহ এসব দফা উপস্থাপন করা হয়।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন নড়াই খাল যেন মশার কারখানায় পরিণত হয়েছে। খালটির স্থির পানিতে সারা বছরই চোখে পড়ে মশার লার্ভা। নিকটবর্তী জিরানি খালেরও একই দশা। এতে খাল দুটি হয়ে উঠছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ বিস্তারের উৎস। মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ এ দুটি খালসংলগ্ন বনশ্রী, আফতাবনগর ও নন্দীপাড়া
১৬ মিনিট আগেমৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম
৪১ মিনিট আগেবগুড়ায় প্রতিবছর কমছে অর্থকরী ফসল পাট চাষ। গত চার বছরে জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ কমেছে। কৃষকেরা বলছেন, খরচ বেশি আর দাম কম পাওয়ায় পাট চাষে তাঁদের আগ্রহ কমছে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, উন্মুক্ত জলাশয় কমে যাওয়ার কারণে পাট জাগ দেওয়া প্রধান সমস্যা। যার কারণে পাট চাষ প্রতিবছর কমে
৪৪ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকায় বর্তমানে চলা প্রায় ২৫ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে অন্তত ৫ হাজার অবৈধ। বৈধ রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিটসহ দরকারি কাগজপত্র ছাড়াই এগুলো চলছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) এক সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ডিটিসিএতে এক সভায় রাজধানীতে বৈধ সিএনজিচালি
১ ঘণ্টা আগে