Ajker Patrika

শঙ্কা ও বেশি লাভের আশায় বাজারে অপরিপক্ব পেঁয়াজ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৩: ০৫
শঙ্কা ও বেশি লাভের আশায় বাজারে অপরিপক্ব পেঁয়াজ

রাজবাড়ীতে বেশি লাভের আশায় অপরিপক্ব পেঁয়াজ তুলে বিক্রি করছেন কৃষকেরা। পেঁয়াজ পরিপক্ব হওয়ার আগেই এভাবে বিক্রি করায় লক্ষ্যমাত্রা  পূরণ না হওয়া শঙ্কা দেখছে কৃষি বিভাগ।

কৃষক বিভাগ বলছে, ভালো দাম থাকায় অপরিপক্ব অবস্থায় বাজারে পেঁয়াজ তুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন চাষিরা। এভাবে চলতে থাকলে জেলায় পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।

সরেজমিন দেখা যায়, পেঁয়াজগাছের রং এখনো সবুজ। গাছ মারা যাওয়ার পর পেঁয়াজ পরিপক্ব হয়। পেঁয়াজ পরিপক্ব হতে এখনো ১৫ থেকে ২০ দিন বাকি। অথচ জেলার বিভিন্ন মাঠে নারী-পুরুষ মিলে এখন পেঁয়াজ তোলায় ব্যস্ত। কেউ পেঁয়াজ তুলছেন, কেউ বস্তা বা ভ‍্যানগাড়িতে পেঁয়াজ বাড়িতে নিয়ে আসছেন। কেউবা থেকে পেঁয়াজ কেটে বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন।

গোয়ালন্দ উপজেলার কৃষক খাইরুল ইসলাম বলেন, অপরিপক্ব পেঁয়াজ তুলে ফেললে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন অনেক কম হবে। তবে ফলন কম হলেও বাজারে বাড়তি দাম থাকায় লাভবান হচ্ছে তাঁরা।

আরেক কৃষক জব্বার শেখ বলেন, ‘প্রতিবছর পেঁয়াজ আমদানির কারণে লোকসান গুনতে হয়। এ বছরও মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি করলে চাষিদের লোকসান হবে, যে কারণে বেশি দামের আশায় পেঁয়াজ তুলে বিক্রি করছি।’

বালিয়াকান্দি উপজেলার চাষি ফারুক মোল্লা বলেন, ‘সরকার যদি মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেয়, তাহলে কিছুদিন পর পেঁয়াজ তুলব। কারণ, তখন পেঁয়াজ আমদানি করলে দাম থাকবে না। এ কারণেই আগেভাগে পেঁয়াজ তুলে ফেলছি। এতে ফলন কিছুটা কম হলেও ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।’

রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পরিপক্ব হওয়ার আগেই পেঁয়াজ তুলে ফেললে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত