Ajker Patrika

ঢাকা-১৮ আসনে নৌকা ও আ.লীগ স্বতন্ত্রের সংঘর্ষ, ২ কর্মী আহত

নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা (ঢাকা) 
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১: ০২
ঢাকা-১৮ আসনে নৌকা ও আ.লীগ স্বতন্ত্রের সংঘর্ষ, ২ কর্মী আহত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের সমর্থকদের সঙ্গে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খসরু চৌধুরীর সমর্থকদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। উত্তরার রাজলক্ষ্মী এলাকায় গতকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট এ কে আজাদ ও টিপু আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী কেটলী প্রতীক পাওয়া পর আনন্দ মিছিল বের করে তাঁর সমর্থকেরা। মিছিল শেষে রাজলক্ষ্মী এলাকায় আসলে বর্তমান এমপি হাবিব হাসানের সমর্থকেরা খসরুর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে খসরু চৌধুরীর সমর্থক আজাদ ও টিপু আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আজাদ উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

একটি গোয়েন্দা সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানায়, খসরু চৌধুরীর সমর্থকেরা মিছিলকালে রাজলক্ষ্মীর প্রধান সড়কের পেছনের রাস্তায় থাকা দোকানপাট সরাতে বলে। তাঁর কেউ কেউ কয়েকটি দোকানপাটে ধাক্কাও দেয়। এদিকে ফুটপাতটি নিয়ন্ত্রণ করছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। একে কেন্দ্র করেই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরীর সমর্থক ও উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট এ কে আজাদ বলেন, ‘আমি সোমবার রাতে রাজলক্ষ্মী এলাকায় বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় ফাহিম, ফজলে রাব্বি, সিয়াম, শাকিল, মামুন, রাজন, জয়সহ ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী এসে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। হামলাকারীরা সবাই বর্তমান এমপির লোকজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা আমাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে এবং চোখমুখ জখম করেছে। আমি এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসান মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খসরু চৌধুরীর সমর্থকেরা একটি মিছিল বের করেছিল। পরে তাঁদের সঙ্গে ওই এলাকায় কিছু লোকের সম্ভব কথাকাটাকাটি হয়েছে। সেটা থেকেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।’

ওসি হাসান বলেন, ‘আমরা যাওয়ার আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাই নাই। পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নেতা-কর্মী সূত্রে জানা গেছে, এ কে আজাদ হামলার পর থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তিনি থানায় অভিযোগ দেবেন।

অপরদিকে হামলার পরপরই উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম জানান, হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খসরু চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁদের সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে খুদেবার্তা পাঠালেও তাঁরা কোনো জবাব দেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতিহাস দরজায় কড়া নেড়ে বলছে, ১৯৭১ থেকে পাকিস্তান কি শেখেনি কিছুই

‘আমাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ো না’

কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়ি অবরোধের ঘোষণা

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত