Ajker Patrika

নারীবিষয়ক সংস্কারের জন্য সব কমিশনে পাঠানো হবে সুপারিশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নারীবিষয়ক সংস্কারের জন্য এখন পর্যন্ত গঠিত সব সংস্কার কমিশনে সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রথম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশের ৮ বিভাগে আটটি পরামর্শ সভা করার বিষয়েও একমত হয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।

রাজধানীর দোয়েল চত্বরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে আজ সোমবার দুপুরে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের বৈঠকটি হয়। কমিশনের পরবর্তী সভা হবে ১১ ডিসেম্বর।

কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক আজ সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দুটি। বৈষম্য দূর করা এবং সমতা প্রতিষ্ঠা করা। আমরা সব সংস্কার কমিশনে আমাদের সুপারিশ পাঠাব। আট বিভাগে আটটি পরামর্শ সভা করব। এ ছাড়াও বিভিন্ন গ্রুপ ও পেশাজীবীর সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। সবার মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশপত্র তৈরি করে কমিশনগুলোতে পাঠানো হবে।’

নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আইন সংস্কারের বিষয়ে কমিশন সুপারিশ করবে কি না জানতে চাইলে শিরীন পারভীন হক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আইন সংস্কার কমিশনের কাছে সুপারিশ পাঠাব। নারীবিষয়ক সংস্কারের কাজগুলো ‘‘ক্রস ডিসিশন”। অন্য কমিশনগুলোও এর সঙ্গে যুক্ত। তাই আইনের বিষয়গুলো নিয়ে আইন কমিশনে, একইভাবে অন্য বিষয়গুলো নিয়ে সে-সংক্রান্ত কমিশনে সুপারিশ পাঠানো হবে।’

গত ১৭ অক্টোবর নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর গত ১৮ নভেম্বর নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কমিশনের কার্যপ্রক্রিয়ায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ত্রিশালে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোয় চলাচল: ‘মানুষ মরলেও বিরিজ করার খবর নাই’

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি  
ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে গ্রামবাসীদের চলাচল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে গ্রামবাসীদের চলাচল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ও কাঁঠাল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো। উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পাগারিয়া নদীর ওপর সাঁকোটি বানানো হয়েছে। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করেন। বাঁশের এ সাঁকো পার হতে গিয়ে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটলেও সেখানে নির্মিত হয়নি কোনো স্থায়ী সেতু।

উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর উত্তরপাড়া গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত পাগারিয়া নদীর ওপর তৈরি বাঁশের সাঁকোটি ব্যবহার করেন কাকচর, দরিল্লা, কাঁঠাল তেতুলিয়াপাড়া, বালিয়ারপাড় ও কানিহারী ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। জাহেদের ঘাট নামে পরিচিত জায়গায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা পাশের কাঁঠাল ইউনিয়নের তেতুলিয়াপাড়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে।

জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে কাকচর গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী দুখুনি সাঁকো থেকে পা পিছলে নদীতে পড়ে মারা যায়। দুখুনি ছিল ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে। ঘটনাটি স্মরণ করে গ্রামের বয়োবৃদ্ধ আমিরুল হক বলেন, ‘ইস্কুল যাইতে গিয়া সাওক্কা (সাঁকো) থেইক্যা পইড়া মাইয়াটা মরল। এরপর পরিবারডাও গেরাম ছারল। মেলা পোলাপান ইস্কুল যাইবার গিয়া পইড়া গিয়া হাত-পা ভাঙে। নেতা-ফেতাগরে কত কইলাম আমরা, একটা বিরিজ (ব্রিজ) কইরা দেন, কিন্তু কেউ দিল না। মানুষ মরলেও বিরিজ করার খবর নাই।’

বাঁশের সাঁকোর পাশেই নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফজাল হোসেনের বাড়ি। গত বছর স্কুল থেকে ফেরার পথে সাঁকো থেকে পড়ে তার হাত ভেঙে যায়। আফজালের বাবা দুলাল মিয়া বলেন, ‘খালি আমার ছেলে না, প্রায়ই পোলাপান পড়ে গিয়া হাত-পা ভাঙে। একটা সেতু অইলে আর এমন কষ্ট করতে হইত না।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে রামপুর, কাঁঠাল ও কানিহারী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। কৃষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ মালামাল নিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পার হয়। নদীর এক পাড়ের জমি অন্য পাড়ে থাকায় ফসল আনা-নেওয়ার একমাত্র পথও এই সাঁকো।

স্থানীয় কলেজশিক্ষার্থী সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাছে হওয়ায় আমরা স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন এই সাঁকো পার হই। মাঝেমধ্যে সাঁকো ভেঙে যায়, কিন্তু বিকল্প কোনো পথ নাই।’

কাকচর গ্রামের আজিজুল হক বলেন, গ্রামের চারটি ওয়ার্ডসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে আছেন। বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। অনেকবার অভিযোগ করলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় কৃষক মানিক মিয়া বলেন, ‘আমার দুই সন্তান প্রতিদিন এই সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যায়। বৃষ্টির সময় সাঁকো পিচ্ছিল হয়ে পড়ে, তখন আরও ভয় লাগে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলিম উদ্দিন বলেন, এই সাঁকো দিয়ে কয়েক গ্রামের শত শত মানুষ চলাচল করে। এখানে একটি কংক্রিটের ব্রিজ হওয়া খুবই জরুরি। সাঁকো থেকে পড়ে এক শিশু মারা যাওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আপেল মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে জানিয়েছি। তারা লোক পাঠিয়ে মাপজোখও করেছেন। কিন্তু কেন এখনো কাজ শুরু হয়নি, তা জানি না। আমি শিগগির তাদের সঙ্গে আবারও কথা বলব।’

ত্রিশাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ বলেন, নদীর এক পাশে রাস্তা থাকলেও অপর পাশে নেই। চেয়ারম্যানকে রাস্তা নির্মাণের জন্য বলা হয়েছে। রাস্তার ব্যবস্থা হলে সেতু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) যুবায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি সম্পর্কে এখনো অবগত নই। তবে এখানে যদি ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে জরিপ করা হয়ে থাকে বা ডিপিপি তে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে, তবে অনুমোদন সাপেক্ষে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে ফোম কারখানায় আগুন, ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
ঢাকার কেরানীগঞ্জে কমফোর্ট ফোম কারখানায় আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকার কেরানীগঞ্জে কমফোর্ট ফোম কারখানায় আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার কেরানীগঞ্জে কমফোর্ট ফোম কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বেলা ১টার দিকে নতুন সোনাকান্দা আদর্শ পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুনে কারখানার তিনটি শেড, একটি প্রাইভেট কার, একটি পিকআপসহ মূল্যবান মেশিন ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির ম্যানেজার মামুন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নামাজের সময় কারখানার পাশে একই মালিকের আরও একটি শেড নির্মাণের কাজ চলছিল। এ সময় ওয়েল্ডিং মেশিনের আগুনের গোলা কারখানার পাশে পড়ে থাকা ফোমের ডাস্টবিনে গিয়ে পড়ে, সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রথমে শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান, কিন্তু পাশে ফোমের গুদাম থাকায় মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে কমফোর্ট ফোম কারখানায় আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকার কেরানীগঞ্জে কমফোর্ট ফোম কারখানায় আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পৌঁছানোর আগেই পুরো কারখানা পুড়ে যায়। তবে ফায়ার সার্ভিস সময়মতো আসায় পাশের একটি কেমিক্যাল কারখানা ও একটি মসজিদ আগুন থেকে রক্ষা পায়।

জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা-পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৩০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। মালিকপক্ষের দাবি অনুযায়ী প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে তদন্ত শেষে সঠিক পরিমাণ জানা যাবে।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল হক ডাবলু ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্ত শেষে অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভৈরবকে জেলার দাবিতে মহাসড়কে নফল নামাজ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা
ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবি ও ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির প্রতিবাদে মহাসড়কে নফল নামাজের কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবি ও ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির প্রতিবাদে মহাসড়কে নফল নামাজের কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবি ও ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবিতে মহাসড়কে নফল নামাজের কর্মসূচি করেছে জেলা বাস্তবায়ন ঐক্য মঞ্চ। জেলা ঘোষণার দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার বাদ জুমা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুর্জয় মোড় এলাকার মেহের চাঁন জামে মসজিদের সামনে মহাসড়কে পেপার বিছিয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন আন্দোলনকারীদের একটা অংশ।

এ সময় ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন ঐক্য মঞ্চের নেতা মাওলানা সাইফুর রহমান শাহারিয়ার, নজরুল ইসলাম রাতুল, ছাত্রনেতা হান্নান হিমু, ইয়ামিন জুনাইদসহ শতাধিক আন্দোলনকারী নামাজে অংশ নেন। কর্মসূচিকে ঘিরে ভৈরব থানা-পুলিশ, সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।

জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে ১টা ৫৫ মিনিটে সড়ক অবস্থান নিয়ে ২টা ৮ মিনিটে নামাজ শুরু করেন এবং ২টা ১২ মিনিটে নামাজ শেষ করলে যানচলাচল শুরু হয়। ১৭ মিনিট সময় সড়কের একপাশ বন্ধ থাকায় আটকে পড়া যানবাহনের দীর্ঘ লাইন হয়। নামাজ শেষে সড়কের দক্ষিণ পাশে মসজিদের সামনে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন ঐক্য মঞ্চের নেতা সাইফুর রহমান শাহরিয়ার বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ মহাসড়কে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায়ের করে আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছি জেলার আন্দোলন যেন সহজ করে দেন এবং জেলা বাস্তবায়নের সব জটিলতা কাটিয়ে ওঠার তৌফিক দান করেন। পরবর্তী কর্মসূচি পালনের বিষয়ে পরে জানাবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুহাদ রুহানী বলেন, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ প্রশাসন সতর্ক ছিল, যেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। নামাজ আদায়ের পর আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে চলে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আওয়ামী লীগের সঙ্গে এনসিপির সমঝোতার প্রশ্ন অবান্তর: হাসনাত আবদুল্লাহ

পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পিরোজপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে এনসিপির সমঝোতার প্রশ্ন অবান্তর আর বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে দূরত্বের বিষয়টিও ঠিক নয়। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগবিহীন বাংলাদেশ রয়েছে। তাদের সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্নই অবান্তর। হাসনাত বলেন, ‘সংস্কারের পক্ষে যারা থাকবে তাদের সঙ্গে হৃদ্যতা হবে, আর সংস্কারের বিপক্ষে যারা তাদের সঙ্গে দূরত্ব।’

আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) পিরোজপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা বারবার বলে আসছি, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নেয়, সে সিদ্ধান্তগুলোর কোনো নীতিমালা নেই। কোনো নীতিমালার মধ্য দিয়ে শাপলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তা কিন্তু স্পষ্ট করা হয় নাই। আবার কোনো নীতিমালার মধ্য দিয়ে বেগুনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা সেটাও স্পষ্ট করেনি। আবার গতকাল দেখলাম যে শাপলা কলিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, এটা আসলে কোনো নীতিমালার ভিত্তিতে করেছে, সেটা স্পষ্ট নয় আমাদের কাছে। সেজন্য আমরা বারবার যেটি ফোকাস করছি, সেটি হচ্ছে নির্বাচন কমিশন এভাবে আসলে চলতে পারে না। তাদের নীতিমালা থাকতে হবে। এটা জনগণের প্রতিষ্ঠান। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নীতিমালা ভিত্তিতেই চলতে হবে। একটা নিয়মের ভিত্তিতে চলতে হবে। আমরা যেটি সব সময় ফোকাস করে আসছি, সেটি হচ্ছে, আমরা নির্বাচন কমিশনের নীতিমালাটা দেখতে চাই। যে নীতিমালার ভিত্তিতে তারা মার্কাকে অন্তর্ভুক্ত করে, আবার যে নীতিমালার ভিত্তিতে তারা অন্তর্ভুক্ত করে না আবার যে নীতিমালার ভিত্তিতে তারা বাদ দিয়ে দেয়—এই নীতিমালাটা আমাদেরকে দিতে হবে এবং এ বিষয়ে আমাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।’

বরিশাল বিভাগে তিন দিনের সাংগঠনিক সফর করছেন এনসিপির মুখ্য (দক্ষিণাঞ্চল) সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ প্রথম দিন সকাল সাড়ে ১০টায় পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপির জেলা সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, বরিশাল জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাঈদ মুসা। সভাপতিত্ব করছেন পিরোজপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মশিউর রহমান।

সভায় এনসিপিকে আরও শক্তিশালী করাসহ সাংগঠনিক নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় শিগগিরই জেলা কমিটি ঘোষণা করার কথা বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত