অনলাইন ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেত্রী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন সহযোদ্ধা রাফিউর রাব্বি। আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করা এক স্ট্যাটাসে তিনি এই নিন্দা জানান।
রাফিউর রাব্বি তাঁর স্ট্যাটাসে বলেন, ‘ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আজ সকালে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আমরা এই গ্রেপ্তারের নিন্দা জানাই। নারায়ণগঞ্জকে নরক বানিয়ে রাখা শামীম ওসমানকে সরকারের বাহিনী সসস্মানে দেশ থেকে পালাতে সহায়তা করল, তাঁর পরিবারকে বিএনপির নেতারা পালাতে সহায়তা করল আর আইভীকে করা হলো গ্রেপ্তার।’
আইভীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলা প্রসঙ্গে রাফিউর রাব্বি বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। তিনি শামীম ওসমানকে সঙ্গে নিয়ে হত্যা করেছেন। যে শামীম ওসমানের সঙ্গে তাঁর সাপ-নেউলের সম্পর্ক, তাঁকে সঙ্গে নিয়ে আইভী হত্যা করেছেন? একদিকে সরকার বলছে, মামলা হলেই কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তদন্ত করে প্রমাণ পেলে গ্রেপ্তার। আবার এমনি রাতভর বাড়ি ঘিরে রেখে সকালে গ্রেপ্তার।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে আইভী তো কোথাও পালিয়ে যাননি। নিজ বাড়িতেই ছিলেন, তাহলে রাতভর এ সবের কী প্রয়োজন ছিল? বর্তমানে সরকারের কারও কারও অতি উৎসাহের কারণে, অনেক কাজে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে, ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আমরা দেখছি সরকার অনেক কিছুই সামাল দিতে পারছে না।’
রাফিউর রাব্বি আরও বলেন, ‘আইভী যত দিন চেয়ারম্যান-মেয়র ছিলেন তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেননি। দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে বিএনপি-জামায়াতসহ সকল দলের লোকদের সমান সহযোগিতা করেছেন। তিনি দলবাজি করেননি। দেশের বিভিন্ন পৌরসভা, সিটি করপোরেশন যেভাবে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় হয়ে উঠেছিল, নারায়ণগঞ্জে আইভী তা করেননি। আর সে জন্যই শেখ হাসিনার সুনজরে তিনি যেতে পারেননি। ২০১১ সালে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে শেখ হাসিনা দলের সমর্থন শামীম ওসমানকে দিয়েছেন, আইভীকে নয়।’
আইভী সব সময় দলের লোকদের অন্যায়-অপরাধের প্রতিবাদ করেছেন উল্লেখ করে রাফিউর রাব্বি বলেন, ‘এই জন্য শেখ হাসিনা ছিলেন তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ। দলের প্রায় অনেকেই যখন হত্যা, চাঁদাবাজি, দখল, সন্ত্রাস করে চলেছে—তিনি তখন তার প্রতিবাদ করেছেন। শামীম ওসমান তাঁর বিরুদ্ধে তিনবার দুদকে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে কিছু পায়নি।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে দুদক আবার আইভীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এখনো কিছু পায়নি। তদন্তে আইভীর সাতটি ব্যাংক হিসাব আছে বলে রিপোর্ট দিয়েছে। এই সাতটির সবগুলোই ভুল, কোনটিই তাঁর নয়। অথচ, তাঁর নিজের নামে যে হিসাব তারই উল্লেখ করেনি দুদক। দুদক এখনো কতটা প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে জানি না। আইভী যদি দুর্নীতি করে থাকে, হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকে তার বিচার হবে। কিন্তু কখনো হত্যা, চাঁদাবাজি-এ সবের অভিযোগ তার শত্রুরাও তার বিরুদ্ধে কখনো করেনি।’
আইভীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তবে হাঁ, তিনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে। হাসিনার দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে যারা লাশের পর লাশ ফেলেছেন, মানুষের জায়গা-জমি দখল করেছেন, চাঁদাবাজি করেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। তাদের কেশাগ্রও এই সরকার স্পর্শ করেনি বা করতে চায়নি। তাদের নিরাপত্তা দিয়ে সসম্মানে দেশ থেকে বের হয়ে যেতে দিয়েছেন। যারা বিদেশে গিয়ে এখন রাজার হালে জীবনযাপন করছেন। খুনি, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী যারা পালিয়ে যায়নি তাদের অনেকে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে ঢুকে এখন নতুন সাম্রাজ্য তৈরি করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিচারহীনতার বিরুদ্ধে গত ষোলো বছর বলেছি, কিন্তু কাজ হয়নি। শেখ হাসিনার গোয়ার্তুমী ও মাফিয়া লালন থেকে দেশ বের হয়নি। আমরা এখন আর বিচারহীনতা দেখতে চাই না। অপরাধী হলে বিচারের আওতায় আসবে, কিন্তু অপরাধ না করে শাস্তি পাওয়ার সংস্কৃতি আমরা মানব না। আইভী অবশ্যই ন্যায় বিচার পাবে—সরকার ও রাষ্ট্রকে তা নিশ্চিত করতে হবে।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেত্রী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন সহযোদ্ধা রাফিউর রাব্বি। আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করা এক স্ট্যাটাসে তিনি এই নিন্দা জানান।
রাফিউর রাব্বি তাঁর স্ট্যাটাসে বলেন, ‘ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আজ সকালে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আমরা এই গ্রেপ্তারের নিন্দা জানাই। নারায়ণগঞ্জকে নরক বানিয়ে রাখা শামীম ওসমানকে সরকারের বাহিনী সসস্মানে দেশ থেকে পালাতে সহায়তা করল, তাঁর পরিবারকে বিএনপির নেতারা পালাতে সহায়তা করল আর আইভীকে করা হলো গ্রেপ্তার।’
আইভীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলা প্রসঙ্গে রাফিউর রাব্বি বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। তিনি শামীম ওসমানকে সঙ্গে নিয়ে হত্যা করেছেন। যে শামীম ওসমানের সঙ্গে তাঁর সাপ-নেউলের সম্পর্ক, তাঁকে সঙ্গে নিয়ে আইভী হত্যা করেছেন? একদিকে সরকার বলছে, মামলা হলেই কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তদন্ত করে প্রমাণ পেলে গ্রেপ্তার। আবার এমনি রাতভর বাড়ি ঘিরে রেখে সকালে গ্রেপ্তার।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে আইভী তো কোথাও পালিয়ে যাননি। নিজ বাড়িতেই ছিলেন, তাহলে রাতভর এ সবের কী প্রয়োজন ছিল? বর্তমানে সরকারের কারও কারও অতি উৎসাহের কারণে, অনেক কাজে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে, ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আমরা দেখছি সরকার অনেক কিছুই সামাল দিতে পারছে না।’
রাফিউর রাব্বি আরও বলেন, ‘আইভী যত দিন চেয়ারম্যান-মেয়র ছিলেন তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেননি। দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে বিএনপি-জামায়াতসহ সকল দলের লোকদের সমান সহযোগিতা করেছেন। তিনি দলবাজি করেননি। দেশের বিভিন্ন পৌরসভা, সিটি করপোরেশন যেভাবে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় হয়ে উঠেছিল, নারায়ণগঞ্জে আইভী তা করেননি। আর সে জন্যই শেখ হাসিনার সুনজরে তিনি যেতে পারেননি। ২০১১ সালে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে শেখ হাসিনা দলের সমর্থন শামীম ওসমানকে দিয়েছেন, আইভীকে নয়।’
আইভী সব সময় দলের লোকদের অন্যায়-অপরাধের প্রতিবাদ করেছেন উল্লেখ করে রাফিউর রাব্বি বলেন, ‘এই জন্য শেখ হাসিনা ছিলেন তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ। দলের প্রায় অনেকেই যখন হত্যা, চাঁদাবাজি, দখল, সন্ত্রাস করে চলেছে—তিনি তখন তার প্রতিবাদ করেছেন। শামীম ওসমান তাঁর বিরুদ্ধে তিনবার দুদকে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে কিছু পায়নি।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে দুদক আবার আইভীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এখনো কিছু পায়নি। তদন্তে আইভীর সাতটি ব্যাংক হিসাব আছে বলে রিপোর্ট দিয়েছে। এই সাতটির সবগুলোই ভুল, কোনটিই তাঁর নয়। অথচ, তাঁর নিজের নামে যে হিসাব তারই উল্লেখ করেনি দুদক। দুদক এখনো কতটা প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে জানি না। আইভী যদি দুর্নীতি করে থাকে, হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকে তার বিচার হবে। কিন্তু কখনো হত্যা, চাঁদাবাজি-এ সবের অভিযোগ তার শত্রুরাও তার বিরুদ্ধে কখনো করেনি।’
আইভীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তবে হাঁ, তিনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে। হাসিনার দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে যারা লাশের পর লাশ ফেলেছেন, মানুষের জায়গা-জমি দখল করেছেন, চাঁদাবাজি করেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। তাদের কেশাগ্রও এই সরকার স্পর্শ করেনি বা করতে চায়নি। তাদের নিরাপত্তা দিয়ে সসম্মানে দেশ থেকে বের হয়ে যেতে দিয়েছেন। যারা বিদেশে গিয়ে এখন রাজার হালে জীবনযাপন করছেন। খুনি, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী যারা পালিয়ে যায়নি তাদের অনেকে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে ঢুকে এখন নতুন সাম্রাজ্য তৈরি করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিচারহীনতার বিরুদ্ধে গত ষোলো বছর বলেছি, কিন্তু কাজ হয়নি। শেখ হাসিনার গোয়ার্তুমী ও মাফিয়া লালন থেকে দেশ বের হয়নি। আমরা এখন আর বিচারহীনতা দেখতে চাই না। অপরাধী হলে বিচারের আওতায় আসবে, কিন্তু অপরাধ না করে শাস্তি পাওয়ার সংস্কৃতি আমরা মানব না। আইভী অবশ্যই ন্যায় বিচার পাবে—সরকার ও রাষ্ট্রকে তা নিশ্চিত করতে হবে।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন নড়াই খাল যেন মশার কারখানায় পরিণত হয়েছে। খালটির স্থির পানিতে সারা বছরই চোখে পড়ে মশার লার্ভা। নিকটবর্তী জিরানি খালেরও একই দশা। এতে খাল দুটি হয়ে উঠছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ বিস্তারের উৎস। মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ এ দুটি খালসংলগ্ন বনশ্রী, আফতাবনগর ও নন্দীপাড়া
৪ মিনিট আগেমৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম
২৮ মিনিট আগেবগুড়ায় প্রতিবছর কমছে অর্থকরী ফসল পাট চাষ। গত চার বছরে জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ কমেছে। কৃষকেরা বলছেন, খরচ বেশি আর দাম কম পাওয়ায় পাট চাষে তাঁদের আগ্রহ কমছে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, উন্মুক্ত জলাশয় কমে যাওয়ার কারণে পাট জাগ দেওয়া প্রধান সমস্যা। যার কারণে পাট চাষ প্রতিবছর কমে
৩২ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকায় বর্তমানে চলা প্রায় ২৫ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে অন্তত ৫ হাজার অবৈধ। বৈধ রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিটসহ দরকারি কাগজপত্র ছাড়াই এগুলো চলছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) এক সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ডিটিসিএতে এক সভায় রাজধানীতে বৈধ সিএনজিচালি
৩৭ মিনিট আগে