গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দের পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার সিদ্দিক কাজীর পাড়ায় হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার রাত আড়াইটা থেকে ঘাট এলাকার ভাঙন শুরু হয়। এতে সিদ্দিক কাজী পাড়ার একাধিক বসতভিটাসহ নদীপারের প্রায় ৫০ মিটার জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
এ ছাড়া অন্তত পাঁচটি বাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভাঙনের কারণে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট। এদিকে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে ৬ ও ৭ নম্বর ফেরি ঘাট। ভাঙন ঠেকাতে সকাল ৭টা থেকে ঘাট এলাকায় ফেলা হচ্ছে বালুভর্তি জিও ব্যাগ।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভাঙনকবলিত ৩ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন সরিয়ে পাশে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে পন্টুনটি যাতে ভেসে যেতে না পারে, তার জন্য একটি জাহাজ দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এই ঘাটের নদীপারের কয়েকটি বসতভিটাসহ প্রায় ৫০ মিটার এলাকা আড়াআড়িভাবে ভাঙতে শুরু করেছে। নদীভাঙন ঠেকাতে শ্রমিকেরা বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছেন। ভাঙনের কারণে ৩ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার সিদ্দিক কাজী পাড়ার অন্তত পাঁচটি বাড়ি সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় নেওয়া হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও অন্তত ৩০টি বাড়ি।
দৌলতদিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার সিদ্দিক কাজী পাড়ার বাসিন্দা আশিক ব্যাপারী বলেন, ‘আমরা পরিবারের সবাই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ চিল্লাচিল্লির আওয়াজ পাই। ঘুম থেকে জেগে দেখি আমাদের বসতভিটাসহ কয়েকটি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গত বছর নদীভাঙনে আমাদের বাড়ি আগেই ভেঙে পেছনে নিয়ে এসেছিলাম। শুধু ভিটা পড়ে ছিল। এবার ভিটাও চলে গেল, আমাদের কী উপায় হবে? আমরা কোথায় যাব?’
সিদ্দিক কাজী পাড়ার আরেক বাসিন্দা হান্নান কাজী বলেন, ‘বুধবার মধ্যরাত থেকে বিদ্যুতের কয়েকবার লোডশেডিং হয়। এ কারণে আমি জেগেই ছিলাম। রাত আড়াইটার সময় বিকট শব্দে ৫০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় সবাইকে ডাকাডাকি করলে উঠে এসে সবাই নদী পাড়ে থাকা ঘর ভেঙে সরিয়ে নিয়ে যাই। ভাঙনের পর আমাদের দেখতে চেয়ারম্যান-মেম্বর কেউ আসেনি। আমাদের স্থায়ী নদীশাসন করে দিলে আর ভয়ে থাকতে হয় না।’
স্থানীয় মকাই মোল্লা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের এই ঘাট এলাকাসহ দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের নদীপারের অনেক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত পাঁচ বছর ধরে শুনে আসছি নদী শাসন করা হবে, কিন্তু সেই কাজের কোনো অগ্রগতি আমরা দেখছি না। আমাদের রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি মহোদয় নদীশাসনের কার্যকর কোনো ভূমিকা পালন করছেন না। যখন ভাঙন শুরু হয়, তখন আশ্বাস পাই নদী শাসন করা হবে। ১০-১৫ কেজি চাল দিয়েই তাঁরা দায়িত্ব শেষ করে দেন। অন্যদিকে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঘাটকেন্দ্রিক অনেক কর্মজীবী মানুষ বেকার হয়েছেন। অথচ তিনি আজ পর্যন্ত তাঁদের কর্মসংস্থান তৈরির বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। দ্রুত নদীশাসনসহ ঘাট এলাকার বেকার হয়ে পড়া মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ জানাই।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙনের খবর শুনে আমরা ঘাট এলাকায় যাই। গিয়ে ভাঙনকবলিত স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালাচ্ছি। আমাদের পর্যাপ্ত বাজেট আছে। ভাঙন ঠেকাতে যত বালুভর্তি জিও ব্যাগ লাগে আমরা ফেলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি বন্ধ থাকা ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট দুটি যত দ্রুত চালু করতে।’
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দের পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার সিদ্দিক কাজীর পাড়ায় হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার রাত আড়াইটা থেকে ঘাট এলাকার ভাঙন শুরু হয়। এতে সিদ্দিক কাজী পাড়ার একাধিক বসতভিটাসহ নদীপারের প্রায় ৫০ মিটার জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
এ ছাড়া অন্তত পাঁচটি বাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভাঙনের কারণে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট। এদিকে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে ৬ ও ৭ নম্বর ফেরি ঘাট। ভাঙন ঠেকাতে সকাল ৭টা থেকে ঘাট এলাকায় ফেলা হচ্ছে বালুভর্তি জিও ব্যাগ।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভাঙনকবলিত ৩ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন সরিয়ে পাশে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে পন্টুনটি যাতে ভেসে যেতে না পারে, তার জন্য একটি জাহাজ দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এই ঘাটের নদীপারের কয়েকটি বসতভিটাসহ প্রায় ৫০ মিটার এলাকা আড়াআড়িভাবে ভাঙতে শুরু করেছে। নদীভাঙন ঠেকাতে শ্রমিকেরা বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছেন। ভাঙনের কারণে ৩ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার সিদ্দিক কাজী পাড়ার অন্তত পাঁচটি বাড়ি সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় নেওয়া হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও অন্তত ৩০টি বাড়ি।
দৌলতদিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার সিদ্দিক কাজী পাড়ার বাসিন্দা আশিক ব্যাপারী বলেন, ‘আমরা পরিবারের সবাই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ চিল্লাচিল্লির আওয়াজ পাই। ঘুম থেকে জেগে দেখি আমাদের বসতভিটাসহ কয়েকটি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গত বছর নদীভাঙনে আমাদের বাড়ি আগেই ভেঙে পেছনে নিয়ে এসেছিলাম। শুধু ভিটা পড়ে ছিল। এবার ভিটাও চলে গেল, আমাদের কী উপায় হবে? আমরা কোথায় যাব?’
সিদ্দিক কাজী পাড়ার আরেক বাসিন্দা হান্নান কাজী বলেন, ‘বুধবার মধ্যরাত থেকে বিদ্যুতের কয়েকবার লোডশেডিং হয়। এ কারণে আমি জেগেই ছিলাম। রাত আড়াইটার সময় বিকট শব্দে ৫০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় সবাইকে ডাকাডাকি করলে উঠে এসে সবাই নদী পাড়ে থাকা ঘর ভেঙে সরিয়ে নিয়ে যাই। ভাঙনের পর আমাদের দেখতে চেয়ারম্যান-মেম্বর কেউ আসেনি। আমাদের স্থায়ী নদীশাসন করে দিলে আর ভয়ে থাকতে হয় না।’
স্থানীয় মকাই মোল্লা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের এই ঘাট এলাকাসহ দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের নদীপারের অনেক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত পাঁচ বছর ধরে শুনে আসছি নদী শাসন করা হবে, কিন্তু সেই কাজের কোনো অগ্রগতি আমরা দেখছি না। আমাদের রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি মহোদয় নদীশাসনের কার্যকর কোনো ভূমিকা পালন করছেন না। যখন ভাঙন শুরু হয়, তখন আশ্বাস পাই নদী শাসন করা হবে। ১০-১৫ কেজি চাল দিয়েই তাঁরা দায়িত্ব শেষ করে দেন। অন্যদিকে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঘাটকেন্দ্রিক অনেক কর্মজীবী মানুষ বেকার হয়েছেন। অথচ তিনি আজ পর্যন্ত তাঁদের কর্মসংস্থান তৈরির বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। দ্রুত নদীশাসনসহ ঘাট এলাকার বেকার হয়ে পড়া মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ জানাই।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙনের খবর শুনে আমরা ঘাট এলাকায় যাই। গিয়ে ভাঙনকবলিত স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালাচ্ছি। আমাদের পর্যাপ্ত বাজেট আছে। ভাঙন ঠেকাতে যত বালুভর্তি জিও ব্যাগ লাগে আমরা ফেলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি বন্ধ থাকা ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট দুটি যত দ্রুত চালু করতে।’
‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হরিহর নদ পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখে হরিহর নদের ওপর যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদাহ বাজারে আরেকটি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করছে স্
৩৬ মিনিট আগেগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুত থাকা সরকারি বিপুল ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। সময়মতো রোগীদের মাঝে বিতরণ না করায় ওষুধগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে; একই সঙ্গে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো রোগী।
৪০ মিনিট আগেঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্পটি রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলবে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শামীম হোসেন (২৮) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে মুরগি ইয়াসিন (২১)।
২ ঘণ্টা আগে