Ajker Patrika

চিঠি চালাচালিতে সীমাবদ্ধ ঢাবির জমি উদ্ধার  

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিঠি চালাচালিতে সীমাবদ্ধ ঢাবির জমি উদ্ধার  

নীলক্ষেত ও বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি এবং পরমাণু শক্তি কমিশনের দখলে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু সম্পত্তি। এ সম্পত্তি উদ্ধার কার্যক্রম গত ৩০ বছরে ধরে সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠানো ছাড়া কোন অগ্রগতি নেই। এসব সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে নতুন করে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে কী না তাও স্পষ্ট নয়। 

আজ রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির দেওয়া লিখিত বক্তব্যে থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন তাঁর প্রশ্নে ঢাবির কি পরিমাণ সম্পত্তি বেদখল রয়েছে এবং তা উদ্ধারে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।   

জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি বলেন, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব জমিতে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি, আনন্দ বাজার সংলগ্ন বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র রয়েছে। 

শিক্ষামন্ত্রী তাঁর জবাবে এসব জমি উদ্ধারে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেটাও তুলে ধরেন। 

মন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকট স্থান সংকুলানের অভাব বিবেচনা করে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি খালি করে জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে ২০০৮ সালের ২১ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রসচিবকে অনুরোধ করা হয়। এ ছাড়া ২৯.৫৭ শতাংশ জমি হতে পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নিতে একই বছর ৩ জুন তৎকালীন পুলিশ কমিশনারকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়। 

বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ির জায়গায় কোন প্রকার ভবন নির্মাণ না করার বিষয়ে ২০০৫ সালের ২৯ মে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর ওই জায়গায় ছয় তলা ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার জন্য অতিরিক্ত ডিআইজি (এস্টেট) ড. শেয়েব রিয়াজ আলমকে অনুরোধ জানানো হয়। যার প্রেক্ষিতে অবস্থানে বর্তমানে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। 

পরমাণু শক্তি কমিশনের দখলে থাকা ঢাবির জমির উদ্ধার কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রী জানান ৷ ১৯৯২ সালের ১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রটি সাভারে স্থানান্তরিত হওয়ার পর পরমাণু শক্তি কমিশনের জমি ও ভবনাদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করা হবে মর্মে প্রধানমন্ত্রীর সচিব ড কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ওই বছর ৩১ অক্টোবর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবকে চিঠি দেন। এরপরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে পরমাণু শক্তি কমিশনের ভূমিকা ভবনসমূহ দাবির নিকট হস্তান্তরের অনুরোধ করে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৭ মার্চ অতীতের সকল কার্যক্রম উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত