আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মানহানির মামলায় সমালোচিত সাময়িক বরখাস্ত সেই সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় ঊর্মি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। একই সঙ্গে আদালতে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন, অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মানহানির মামলায় ঊর্মির বিচার শুরু হলো। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. খাদেমুল ইসলাম অভিযোগ গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে মামলায় জামিনে থাকা তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি আদালতে হাজির হন। তাঁর আইনজীবী পিএম মাহাদী হাসান তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন।
শুনানিতে আইনজীবী বলেন, ‘ঊর্মি সম্পূর্ণ নির্দোষ। সেই সময়ে পারিপার্শ্বিক ঘটনা সম্পর্কে ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী নিজস্ব অভিমত প্রকাশ করেছেন। সেই পোস্ট বাদীর সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়। দণ্ডবিধির ৪৯৯ / ৫০০ ধারার বিধানে মানহানির ক্ষেত্রে, যেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে সেই ব্যক্তি নিজে এবং মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে তাঁর বাবা, মা অথবা নিকটাত্মীয়রা এই মানহানির মামলা করতে পারেন।’
পিএম মাহাদী হাসান আরও বলেন, ‘এই মামলার বাদী শহীদ আবু সাঈদের বা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রক্ত সম্পর্কিত কেউ নন। বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগ করার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই বিধায় আসামি অব্যাহতি পাওয়ার হকদার।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘আসামি ইচ্ছাকৃতভাবে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই ফেসবুকে এই মানহানিকর পোস্ট দিয়েছেন। এ মামলার বাদী সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশ নেন ও ১১ দিন জেল হাজতে ছিলেন। তাই এই মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে আইনগত বাধা ছিল না। এ মামলায় অভিযোগ গঠনের যথেষ্ট উপাদান রয়েছে।’
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ঊর্মিকে অব্যাহতির দেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি এই বিচারিক আদালত থেকে জামিন নেন ঊর্মি। এর আগে, গত বছরের ২৮ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।
এর আগে, গত বছরের ৮ অক্টোবর ঢাকার আদালতে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত ঊর্মিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
গত বছর ৫ অক্টোবর আসামি ঊর্মি সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্ত্বেও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং আন্দোলনে নিহত নিহত আবু সাঈদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্য লিখেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে গঠিত একটি সরকারপ্রধান সম্পর্কে বিষোদ্গার করা হয়েছে, আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে, যা মানহানিকর। পাশাপাশি সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
এরপর, গত বছর ৭ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনায় পড়া লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে প্রথমে ওএসডি ও পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মানহানির মামলায় সমালোচিত সাময়িক বরখাস্ত সেই সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় ঊর্মি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। একই সঙ্গে আদালতে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন, অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মানহানির মামলায় ঊর্মির বিচার শুরু হলো। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. খাদেমুল ইসলাম অভিযোগ গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে মামলায় জামিনে থাকা তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি আদালতে হাজির হন। তাঁর আইনজীবী পিএম মাহাদী হাসান তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন।
শুনানিতে আইনজীবী বলেন, ‘ঊর্মি সম্পূর্ণ নির্দোষ। সেই সময়ে পারিপার্শ্বিক ঘটনা সম্পর্কে ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী নিজস্ব অভিমত প্রকাশ করেছেন। সেই পোস্ট বাদীর সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়। দণ্ডবিধির ৪৯৯ / ৫০০ ধারার বিধানে মানহানির ক্ষেত্রে, যেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে সেই ব্যক্তি নিজে এবং মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে তাঁর বাবা, মা অথবা নিকটাত্মীয়রা এই মানহানির মামলা করতে পারেন।’
পিএম মাহাদী হাসান আরও বলেন, ‘এই মামলার বাদী শহীদ আবু সাঈদের বা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রক্ত সম্পর্কিত কেউ নন। বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগ করার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই বিধায় আসামি অব্যাহতি পাওয়ার হকদার।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘আসামি ইচ্ছাকৃতভাবে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই ফেসবুকে এই মানহানিকর পোস্ট দিয়েছেন। এ মামলার বাদী সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশ নেন ও ১১ দিন জেল হাজতে ছিলেন। তাই এই মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে আইনগত বাধা ছিল না। এ মামলায় অভিযোগ গঠনের যথেষ্ট উপাদান রয়েছে।’
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ঊর্মিকে অব্যাহতির দেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি এই বিচারিক আদালত থেকে জামিন নেন ঊর্মি। এর আগে, গত বছরের ২৮ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।
এর আগে, গত বছরের ৮ অক্টোবর ঢাকার আদালতে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত ঊর্মিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
গত বছর ৫ অক্টোবর আসামি ঊর্মি সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্ত্বেও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং আন্দোলনে নিহত নিহত আবু সাঈদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্য লিখেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে গঠিত একটি সরকারপ্রধান সম্পর্কে বিষোদ্গার করা হয়েছে, আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে, যা মানহানিকর। পাশাপাশি সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
এরপর, গত বছর ৭ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনায় পড়া লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে প্রথমে ওএসডি ও পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা মামলায় কুড়িগ্রাম কারাগারে বন্দী থাকা সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
১৫ মিনিট আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ও আচরণবিধি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে চূড়ান্ত এ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
১৭ মিনিট আগেসিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হওয়া ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযানে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, ওয়াশরুম, রোগীদের খাবার পরিবেশনব্যবস্থা ও প্যাথলজি বিভাগ ঘুরে দেখেন কর্মকর্তারা।
৩১ মিনিট আগেইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তালিকাভুক্ত সংগঠন ছাড়া কোনো সভা, সমাবেশ বা মানববন্ধনসহ কর্মসূচি পালন করতে হলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এসব কথা জানানো হয়।
৩৬ মিনিট আগে