Ajker Patrika

তিন দফা দাবি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে জবির শিক্ষার্থীরা

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১৩: ৩৯
শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবিসহ ৩ দফা ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার ‘শিক্ষার্থীবৃন্দ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে এই গণপদযাত্রা শুরু করা হয়। গণপদযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা-‘আমি কে-তুমি কে, জবিয়ান-জবিয়ান’, ‘মুলা না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস-ক্যাম্পাস’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম-সংগ্রাম’, ‘অধিকার না অন্যায়, অধিকার-অধিকার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

আন্দোলনের সংগঠক একেএম রাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আজ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেব। পাশাপাশি তিন কার্যদিবসের সময় দেব।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো—স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে-সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সকল অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।

এ দিকে গত ৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান ও অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সুবিধা দেওয়ার জন্য অর্থ সংস্থান নিশ্চিত করতে হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে ইউজিসি। এই প্রস্তাবনার অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেছারাবাদের ৩টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু এখন ‘মৃত্যুফাঁদ’

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
সাগরকান্দা, শশিদ ও জিনুহার তিনটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে এই পুল দিয়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাগরকান্দা, শশিদ ও জিনুহার তিনটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে এই পুল দিয়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সাগরকান্দা বাজার হয়ে নাথপাড়া থেকে জিনুহার এবং দুর্গাকাঠি রাস্তার খালের ওপর থাকা লোহার ভিমের স্লিপারের তিনটি সেতু (পুল) বর্তমানে ‘মৃত্যুফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলোর ওপর সুপারিগাছ ও বাঁশের হাতল দিয়ে কোনোভাবে পারাপার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এমন ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলে বিদ্যালয়ের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরাও। ছবি: আজকের পত্রিকা
এমন ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলে বিদ্যালয়ের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরাও। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন তিনটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে সাগরকান্দা স্কুলের পরের নাথপাড়ার প্রথম সেতুটি। তবে এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের কোনো মাথাব্যথা নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় যুগ আগে এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত এই তিনটি সেতু সাগরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের তিন গ্রামের মানুষের প্রধান যোগাযোগমাধ্যম। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সেতুগুলো নড়বড়ে হয়ে পড়েছিল। কয়েক বছর আগে বন্যায় গাছ পড়ে নাথপাড়া প্রথম সেতুটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম কে সবুর তালুকদার সেতুটি মেরামতের কথা বলে এর লোহার ভিম, অ্যাঙ্গেল ও স্লিপারগুলো খুলে নিয়ে যান। কিন্তু এরপর আর মেরামতের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। একই কারণে বাকি দুটি সেতুও সংস্কারের অভাবে বেওয়ারিশ অবস্থায় পড়ে আছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মজিবুর রহমান মৃধা বলেন, ‘এই রাস্তার সবচেয়ে ভয়াবহ পুল নাথপাড়ার প্রথমটি। পুলের অবস্থা এত খারাপ যে বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না, অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে নিতে পারি না। চেয়ারম্যানরা মেরামতের নামে লোহার ভিম খুলে নিয়ে গেছে, তারপর আর কেউ খোঁজ নেয়নি। একই অবস্থায় বাকি দুটি পুল রয়েছে।’

আরেক বাসিন্দা মো. জিয়া উদ্দিন তৌহিদ বলেন, ‘এই রাস্তাটি তিনটি গ্রামের মানুষের একমাত্র যোগাযোগ পথ। এখানে তিনটি মন্দির ও একটি স্কুল আছে। পুল না থাকায় আমরা প্রতিদিন মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করি।’

উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, সাগরকান্দা বাজার থেকে এক কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক এবং এ তিনটি সেতু নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছিল। কাজটি মেসার্স ইফতি ইটিসিএল নামের প্রতিষ্ঠানের নামে টেন্ডার হয়, যার মালিক সাবেক সংসদ সদস্যের ভাই মিরাজুল ইসলাম। কিন্তু দুর্নীতির মামলায় ঠিকাদারের লাইসেন্স জটিলতা দেখা দিলে প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন ব্যাপারী বলেন, ‘টেন্ডার হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু মামলার কারণে কাজ হয়নি। পুলের লোহার ভিম ও অ্যাঙ্গেল কারা খুলে নিয়ে গেছে, তা আমার জানা নেই।’

সাবেক চেয়ারম্যান এম কে সবুর তালুকদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উপজেলা এলজিইডি অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ বলেন, ‘কোটি টাকার ওপরে টেন্ডার হয়েছিল। পরে ঠিকাদারি লাইসেন্সের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে পুনরায় বিবেচনা করা হবে।’

স্থানীয়দের জোর দাবি, দ্রুত সেতুগুলো পুনর্নির্মাণ না হলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং তিনটি গ্রামের যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাজারের কোলাহল ছাপিয়ে দোকানির সঙ্গে বকের বন্ধুত্ব

মো. আশিকুর রহমান তুষার, বাউফল (পটুয়াখালী)
বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর বাজারে দোকানদার হেমায়েত উদ্দিনের সঙ্গে বকের বন্ধুত্ব। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর বাজারে দোকানদার হেমায়েত উদ্দিনের সঙ্গে বকের বন্ধুত্ব। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারের কোলাহল, মানুষের ভিড়—সবকিছু উপেক্ষা করে একটি সাদা বক নিশ্চিন্তে দাঁড়িয়ে থাকে দোকানের সামনে। কিছুক্ষণ পর সে ঢুকে পড়ে দোকানের ভেতরে, গিয়ে বসে দোকানদারের পাশে—যেন বহুদিনের আপন সঙ্গী। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর বাজারে সম্প্রতি এমন অদ্ভুত, কিন্তু হৃদয়ছোঁয়া এক দৃশ্যের দেখা মিলছে।

নুরাইনপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. হেমায়েত উদ্দিন (৩৮) প্রায় চার বছর ধরে বাজারের মসজিদের পাশে একটি স্টেশনারির দোকান পরিচালনা করছেন। চার মাস ধরে তাঁর এই দোকানেই বসবাস করছে এই সাদা বকটি।

সরেজমিন দেখা গেছে, বকটি কখনো দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে, কখনো ছাউনিতে গিয়ে বসে। আবার অনেক সময় দোকানদার হেমায়েত উদ্দিনের চেয়ারের হাতলে এসে নির্ভয়ে বসে পড়ে। বাজারে প্রচুর ভিড়ভাট্টা থাকলেও বকটির মধ্যে কোনো ভয়ের ছাপ নেই। শুধু তা-ই নয়, সে দোকানের জিনিসপত্র নষ্ট করে না, এমনকি নির্দিষ্ট স্থানে মলত্যাগ করে—যেন সে নিয়ম মেনে চলা পরিবারেরই একজন সদস্য।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. জলিল বলেন, ‘মানুষ ও বকের এমন বন্ধুত্ব আগে কখনো দেখিনি। প্রতিদিন বাজারে এলেই দেখা যায়, বকটি হেমায়েতের দোকানে বসে আছে। সে যেভাবে এর যত্ন নেয়, তা সত্যিই বিস্ময়কর।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুরাইনপুর বাজারসংলগ্ন খানবাড়ির একটি বকের বাসা থেকে প্রায় চার মাস আগে ঝড়ে পড়ে গিয়েছিল বকটির একটি ছানা। তখন একটি গুইসাপ সেটিকে আক্রমণ করলে ব্যবসায়ী হেমায়েত উদ্দিন এগিয়ে এসে ছানাটিকে উদ্ধার করেন।

উদ্ধারের পর তিনি অত্যন্ত যত্নসহকারে ছানাটির পরিচর্যা করে নিজের সন্তানের মতো লালন করেন। সেই থেকেই বকটি দোকানদারের সঙ্গে এক অদ্ভুত মায়া ও বন্ধনে জড়িয়ে গেছে।

স্থানীয়দের মতে, হেমায়েত উদ্দিন ও বকের এই অনন্য সম্পর্ক শুধু নুরাইনপুর বাজারেই নয়, এখন পুরো বাউফল উপজেলাতেই আলোচনার প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ১৪
সিটি ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে ভাঙচুর করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিটি ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে ভাঙচুর করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

তুচ্ছ ঘটনায় মধ্যরাতে সাভারের আশুলিয়ার খাগান এলাকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। এ ঘটনায় প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তবে তাঁদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় সিটি ইউনিভার্সিটির। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো প্রকার সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ব্যাচেলর প্যারাডাইস হোস্টেলের সামনে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল থেকে থুতু ফেললে তা ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর গায়ে লাগে। এ নিয়ে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। রাত ৯টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির প্রায় ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের ওই বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সিটি ইউনিভার্সিটির দিকে গেলে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়।

আগুনের ছাপ সিটি ইউনিভার্সিটির মূল ফটকে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুনের ছাপ সিটি ইউনিভার্সিটির মূল ফটকে। ছবি: আজকের পত্রিকা

একপর্যায়ে রাত ১২টার পর ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটির ভেতরে ঢুকে শিক্ষার্থীদের অবরোধ করে ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় তাঁরা প্রশাসনিক ভবন ভাঙচুরসহ লুট করে কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল। পুড়িয়ে ফেলে তিনটি বাসসহ একটি প্রাইভেট কার। ভাঙচুর চালানো হয় আরও পাঁচ যানবাহনে। ভোররাতে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ফোটানো হয় ককটেল। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু জায়গায় আগুন দেখা গেছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উত্তেজনার একপর্যায়ে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

সিটি ইউনিভার্সিটির আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিটি ইউনিভার্সিটির আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে একজন সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে ফোন দিলে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাউকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।

সাভার থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টঙ্গিবাড়ীতে শিক্ষকসংকটে পাঠদান,বিদ্যালয়ে নেই টয়লেট ব্যবস্থা

মো. মাসুম, টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ)
টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে শিক্ষকসংকট। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান পরিচালিত হচ্ছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার মান নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষকসংকটের কারণে একাধিক শ্রেণির ক্লাস একত্রে নিতে হয়। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়েরই ভোগান্তি বাড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে শূন্য পদে নতুন শিক্ষক না আসায় বিদ্যালয়ের নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

এ ছাড়া বিদ্যালয়টিতে নেই কোনো টয়লেট সুবিধা। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন পার করছেন। বিশেষ করে ছাত্রীদের জন্য এ সমস্যা আরও বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।

বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জয়ন্ত মিত্র বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে জরুরি ভিত্তিতে টয়লেট স্থাপন করা প্রয়োজন। টয়লেট না থাকায় শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, শিক্ষক-কর্মচারীরাও প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছেন।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা বেগম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষকসংকটের মধ্যে আমরা পাঠদান করাচ্ছি। আমিসহ মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে পুরো বিদ্যালয়ের ক্লাস পরিচালনা করছি। পাশাপাশি টয়লেট না থাকায় সবাইকে চরম কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। বিষয়টি আমি ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, আশা করছি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।’

স্থানীয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি, হাসাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্রুত নতুন শিক্ষক নিয়োগ ও টয়লেট নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার পরিবেশ আরও উন্নত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত