Ajker Patrika

অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার ৫ জন ৩ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে গুলি করে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের পর অস্ত্র আইনে করা মামলায় পাঁচজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম রিমান্ডের এই নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন—হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের চালক শামীম হোসাইন ওরফে মোল্লা শামীম, তাঁর সহযোগী তৌফিক হাসান ওরফে বাবু, হোসেন, এহতেশাম উদ্দিন চৌধুরী অপু ও শরিফুল ইসলাম হৃদয়। এর আগে এই মামলায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই কারাগারে আছেন। রিমান্ড থেকে ফেরত আসার পর এই পাঁচ আসামিকেও টিপু-প্রীতি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার বিকেলে আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এর পর খিলগাঁও থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় প্রত্যেককে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মজিবুর রহমান। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বেনাপোল সীমান্ত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গত ১৫ আগস্ট মোল্লা শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যে দক্ষিণ গোড়ান থেকে শরিফুল ইসলাম ওরফে হৃদয়কে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি বিদেশি পিস্তল, আট রাউন্ড গুলি ও তিনটি ম্যাগজিনসহ গ্রেপ্তার করা হয়। হৃদয়ের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে অন্য চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তৌফিক হাসান ওরফে বাবুর তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি দক্ষিণ গোড়ান থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর খিলগাঁও থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।

রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র রাজধানীর শাহজাহানপুরের টিপু হত্যা মামলায় ব্যবহার করা হয়েছে। অবৈধ এই অস্ত্র ব্যবহার করে আসামিরা এলাকায় চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া যায়। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল ইসলাম টিপু মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তাঁর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন ২৫ মার্চ দুপুরে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত