Ajker Patrika

চার দাবিতে চাকরি প্রত্যাশীদের মিছিল-সমাবেশ

ঢাবি প্রতিনিধি
চার দাবিতে চাকরি প্রত্যাশীদের মিছিল-সমাবেশ

সকল ধরনের চাকরি এবং নিয়োগ পরীক্ষায় বয়সসীমা বৃদ্ধি, প্রশ্নফাঁস রোধসহ চার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে সর্বদলীয় চাকরি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ। 

আজ রোববার শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে মিছিল বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সমাবেশ করে তারা। 

এ সময় তারা ‘৩০ এর গণ্ডি ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘প্রশ্নফাঁসের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালো এক সাথে’, প্রশ্নফাঁসের আগ্রাসন মানি না মানব না’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘আওয়ামী সরকার, কথা রাখা দরকার’, ‘নির্বাচনী ইশতেহার পালন কর, করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়। 

আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষের একটি অঙ্গীকার ছিল যুব প্রজন্মের জন্য আরও বেশি পরিমাণে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে অনেক শূন্য পদের চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। যেখানে বর্তমানে সরকারিতে শূন্য পদ প্রায় ৪ লাখ। করোনার কারণে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিমাণ ৮৭% কমে ১৩% উপনীত হয়েছে; বেকারত্বের হার ২০% থেকে ৩৫% বেড়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি ছিল চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ৩ বছর পূর্বের ছাত্র সমাজকে দেওয়া সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।’ 

সমাবেশে সর্বদলীয় চাকরি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মানিক হোসেন দিপু বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সকল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধির দাবি নিয়ে এক প্রকার অসহায় হয়ে সরকারি দপ্তর ঘুরছি। আমরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এবং মন্ত্রী পরিষদ, জনপ্রশাসন, মুখ্যসচিববৃন্দ প্রমুখ বরাবর স্মারকলিপি ও খোলা চিঠি প্রদান করেছি। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। রাজপথে দাঁড়ালে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, মন্ত্রীর কাছে গেলে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আমরা যাব কোথায়?’ 

মানিক হোসেন দিপু আরও বলেন, ‘করোনাকালে অনেকে প্রণোদনা পেলেও আমাদের যুবকদের জন্য কোন প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। চাকরি না পেয়ে হতাশায় আমাদের যুবকেরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। আমাদের সঙ্গে প্রহসন করা হয়েছে।’ 

চাকরি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের আরেক সমন্বয়ক তাসলিমা লিমা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ দশ মাস যাবৎ চারটি দাবি নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি। সবাই একমত হয়েও কোনো অজানা কারণে এটি আটকে আছে। আমরা ৬৯ এ গণ-অভ্যুত্থান করেছি, আমরা আরও একবার অভ্যুত্থান করব। আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে। চাকরিতে কারও জন্য ৩০ বছর কারও জন্য ৩২ বছর এটি আমরা মানি না।’ 

এ সময় চারটি দাবি তুলে ধরেন তারা। দাবিগুলো হলো: 

১। সকল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। 

২। নিয়োগ জালিয়াতি ও প্রশ্নফাঁস বন্ধ করতে হবে, নিয়োগ পরীক্ষার (প্রিলি ও রিটেন) মার্কসহ ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। 

৩। চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করতে হবে। 

৪। একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কূটনৈতিক পাসপোর্টকে রাতারাতি অর্ডিনারি বানিয়ে দেওয়া পরিচালক বরখাস্ত

এবার সরানো হলো জ্বালানি উপদেষ্টার পিএসকে

৩৫ বছর ভারতে, স্বামী–সন্তান রেখে দেশে ফেরার নোটিশ পেলেন পাকিস্তানি সারদা

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে কুকুরের ছবি: প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত