নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ নামে এক দোকানিকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তোলা হয়। এ সময় মারমুখী হয়ে ওঠেন বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ। তাঁদের থাপ্পড় ও ঘুষি দিতেও দেখা গেছে।
বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে তাঁদের এনে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে বেলা পৌনে ৪টার দিকে তাঁদের এজলাসে তোলা হয়।
দীপু ও জয়কে যখন সিএমএম আদালতের গেট দিয়ে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে আসা হচ্ছিল, তখন এক ব্যক্তি রাস্তায় শুয়ে পড়েন। এ সময় তিনি দীপু মনির ফাঁসি দাবি করেন। পরে সেখান থেকে উঠে যান।
দীপু মনি ও জয়কে বেলা পৌনে ৪টার দিকে এজলাসে তোলার জন্য হাজতখানা থেকে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মাথায় হেলমেট পরা ছিল। বিপুলসংখ্যক পুলিশের প্রহরায় তাঁদের এজলাসের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে তাঁদের এজলাসে তুলতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেশ বেগ পেতে হয়। ধাক্কাধাক্কি করে তাঁদের আদালতের দ্বিতীয় তলায় নেওয়ার সময় কয়েকজন আইনজীবী দীপু মনিকে থাপ্পড় মারেন। এ সময় পুলিশ প্রাণপণে তাঁকে রক্ষা করার চেষ্টা করে।
বেলা পৌনে ৪টার দিকে তাঁদের এজলাসে তোলার জন্য হাজতখানা থেকে নিয়ে আসা হয়। ক্লান্ত দীপু মনি আদালতে এসে পুলিশ সদস্যদের কাছে পানি পান করতে চান। তবে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়ে যাওয়ায় তাঁকে পানি পান করতে দেওয়া হয়নি।
শুনানির শুরুতে আসামিকে কেন হাতকড়া পরানো হয়নি, তা নিয়ে ক্ষোভ জানান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তখন তাঁদের জানানো হয়, জয়ের হাতে হাতকড়া আছে। দীপু মনি নারী হওয়ায় হাতকড়া পরানো হয়নি। এজলাসে আইনজীবীদের হই–হুল্লোড়ের মধ্যেই শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন শুনানি শেষে জানান, তাঁরা এজাহারনামীয় আসামি নন, সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন। নারী হওয়ায় দীপু মনির চার দিন এবং আরিফ খান জয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
শুনানি শেষে দীপু মনি ও জয়কে নিচে নামানো হয়। এরই মাঝে তাঁদের কিল–ঘুষি মারেন আইনজীবীরা। তখন দীপু মনি চিৎকার করে ওঠেন। আর জয় তাকিয়ে দেখেন। পরে নামানোর সময় ধাক্কাধাক্কিতে সিঁড়ি থেকে পড়ে যান দীপু মনি। সঙ্গে এক এক নারী পুলিশও পড়ে যান। পরে দ্রুত তাঁদের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
দীপু মনি ও জয়কে আদালতে আনার সময় এবং বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় উৎসুক জনতা ও আইনজীবীদের অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। তাঁদের অনেকেই ছিলেন মারমুখী। তাঁরা হামলার চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘উচ্ছৃঙ্খল কিছু আইনজীবী দীপু মনি ও জয়কে পুলিশ প্রহরার মধ্যেই কিলঘুষি মারতে থাকেন। একই সঙ্গে খুনি, খুনি বলে চিৎকার করতে থাকেন এবং ফাঁসির দাবিতে মিছিল করেন।’
গতকাল সোমবার ডা. দীপু মনিকে রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে ও ধানমন্ডি এলাকা থেকে আরিফ খানকে আটক করা হয়। এরপর এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
১৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন এস এম আমির হামজা শীতল নামের এক ব্যবসায়ী। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এবং অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা রুজু হয়।
ডা. দীপু মনি ও আরিফ খান জয়ের নাম এ মামলার এজাহারে নেই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেছেন, মামলার ঘটনার তারিখের সহিংসতা ও ভিকটিমের নিহত হওয়ার বিষয়ে দীপু মনি এবং জয় অবগত আছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার রহস্য, এর পেছনে যারা জড়িত, তাদের সম্পর্কে তথ্য উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ নামে এক দোকানিকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তোলা হয়। এ সময় মারমুখী হয়ে ওঠেন বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ। তাঁদের থাপ্পড় ও ঘুষি দিতেও দেখা গেছে।
বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে তাঁদের এনে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে বেলা পৌনে ৪টার দিকে তাঁদের এজলাসে তোলা হয়।
দীপু ও জয়কে যখন সিএমএম আদালতের গেট দিয়ে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে আসা হচ্ছিল, তখন এক ব্যক্তি রাস্তায় শুয়ে পড়েন। এ সময় তিনি দীপু মনির ফাঁসি দাবি করেন। পরে সেখান থেকে উঠে যান।
দীপু মনি ও জয়কে বেলা পৌনে ৪টার দিকে এজলাসে তোলার জন্য হাজতখানা থেকে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মাথায় হেলমেট পরা ছিল। বিপুলসংখ্যক পুলিশের প্রহরায় তাঁদের এজলাসের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে তাঁদের এজলাসে তুলতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেশ বেগ পেতে হয়। ধাক্কাধাক্কি করে তাঁদের আদালতের দ্বিতীয় তলায় নেওয়ার সময় কয়েকজন আইনজীবী দীপু মনিকে থাপ্পড় মারেন। এ সময় পুলিশ প্রাণপণে তাঁকে রক্ষা করার চেষ্টা করে।
বেলা পৌনে ৪টার দিকে তাঁদের এজলাসে তোলার জন্য হাজতখানা থেকে নিয়ে আসা হয়। ক্লান্ত দীপু মনি আদালতে এসে পুলিশ সদস্যদের কাছে পানি পান করতে চান। তবে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়ে যাওয়ায় তাঁকে পানি পান করতে দেওয়া হয়নি।
শুনানির শুরুতে আসামিকে কেন হাতকড়া পরানো হয়নি, তা নিয়ে ক্ষোভ জানান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তখন তাঁদের জানানো হয়, জয়ের হাতে হাতকড়া আছে। দীপু মনি নারী হওয়ায় হাতকড়া পরানো হয়নি। এজলাসে আইনজীবীদের হই–হুল্লোড়ের মধ্যেই শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন শুনানি শেষে জানান, তাঁরা এজাহারনামীয় আসামি নন, সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন। নারী হওয়ায় দীপু মনির চার দিন এবং আরিফ খান জয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
শুনানি শেষে দীপু মনি ও জয়কে নিচে নামানো হয়। এরই মাঝে তাঁদের কিল–ঘুষি মারেন আইনজীবীরা। তখন দীপু মনি চিৎকার করে ওঠেন। আর জয় তাকিয়ে দেখেন। পরে নামানোর সময় ধাক্কাধাক্কিতে সিঁড়ি থেকে পড়ে যান দীপু মনি। সঙ্গে এক এক নারী পুলিশও পড়ে যান। পরে দ্রুত তাঁদের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
দীপু মনি ও জয়কে আদালতে আনার সময় এবং বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় উৎসুক জনতা ও আইনজীবীদের অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। তাঁদের অনেকেই ছিলেন মারমুখী। তাঁরা হামলার চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘উচ্ছৃঙ্খল কিছু আইনজীবী দীপু মনি ও জয়কে পুলিশ প্রহরার মধ্যেই কিলঘুষি মারতে থাকেন। একই সঙ্গে খুনি, খুনি বলে চিৎকার করতে থাকেন এবং ফাঁসির দাবিতে মিছিল করেন।’
গতকাল সোমবার ডা. দীপু মনিকে রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে ও ধানমন্ডি এলাকা থেকে আরিফ খানকে আটক করা হয়। এরপর এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
১৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন এস এম আমির হামজা শীতল নামের এক ব্যবসায়ী। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এবং অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা রুজু হয়।
ডা. দীপু মনি ও আরিফ খান জয়ের নাম এ মামলার এজাহারে নেই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেছেন, মামলার ঘটনার তারিখের সহিংসতা ও ভিকটিমের নিহত হওয়ার বিষয়ে দীপু মনি এবং জয় অবগত আছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার রহস্য, এর পেছনে যারা জড়িত, তাদের সম্পর্কে তথ্য উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন।
কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পারভেজ ও জহিরুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ মিনিট আগেবরিশাল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ছবিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মনিরুলকে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের জিলা স্কুল মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৯ মিনিট আগেগত নববর্ষের শোভাযাত্রার মোটিফ তৈরির শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের মানিকগঞ্জের গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দইর গ্রামের বাড়ি পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। গত ১৫ এপ্রিল রাতের ওই ঘটনায় করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ১৭ এপ্রিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাবুল হোসেনসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকে তিন মাস তিনি জেলা..
৯ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি কাঠামো বাতিল করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি মডেলের আদলে স্বতন্ত্র কাঠামো নিশ্চিতের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
১৪ মিনিট আগে