Ajker Patrika

৫ দিনেও চালু করা যায়নি ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট

নরসিংদী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২২, ২০: ৫৫
৫ দিনেও চালু করা যায়নি ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট

জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিটটি পাঁচ দিনেও চালু করা যায়নি। আগামী সোমবার (১০ অক্টোবর) ইউনিটটির উৎপাদন শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম। 

গত মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বেলা ২টা ৫ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিলে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪ ও ৫ নম্বর ইউনিট দুটি বন্ধ হয়ে যায়। এক ঘণ্টার মধ্যে ৩৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৪ নম্বর ইউনিটটি চালু করা গেলেও ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫ নম্বর ইউনিটটি চালু করা যায়নি। 

বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী জানান, ৫ নম্বর ইউনিটটির সেফটি বাল্ব ফেটে যাওয়ায় ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এদিকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে গত বুধবার (৫ অক্টোবর) ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব এলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে পরিদর্শন করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন মেশিনারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। 

ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিটের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, ইউনিট চলার জন্য মেটাল টেম্পারেচার থেকে রোটর টেম্পারেচারের তাপমাত্রার পার্থক্য কমপক্ষে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে হয়। তা না হলে টারবাইনে সমস্যা দেখা দেয়। হঠাৎ করে কোনো ইউনিট বন্ধ হয়ে গেলে সেটি তাৎক্ষণিক চালু করা না গেলে তাপমাত্রা ঠিক করতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় নিতে হয়। বুধবার ইউনিটটি চালু করার পর লোড দেওয়া হলে মেটাল ও রোটরের তাপমাত্রা সমান থাকায় তা আর চালু করা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত