Ajker Patrika

টাঙ্গাইলে সরকারি অফিসের সামনেও জলাবদ্ধতা

সাইফুল ইসলাম সানি, সখীপুর (টাঙ্গাইল) 
টাঙ্গাইলে সরকারি অফিসের সামনেও জলাবদ্ধতা

বৃষ্টির পানিতে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা পরিষদ মাঠ সংলগ্ন পাঁচটি সরকারি কার্যালয়ের সামনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সেবাগ্রহীতাসহ কার্যালয়গুলোর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। 

কার্যালয়গুলো হচ্ছে—উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার কার্যালয়, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন, যুব উন্নয়ন ও পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষাকাল জুড়েই এ কার্যালয়গুলোর সামনে দীর্ঘ সময় থাকে এই জলাবদ্ধতা। 

আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ২০-৩০ মিটার জলাবদ্ধতা পাড়ি দিয়ে সেবাগ্রহীতারা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে যাতায়াত করছেন। আগামী ১৫ জুন উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলসহ বিভিন্ন কাজে নির্বাচন কার্যালয়েই বেশিসংখ্যক সেবাগ্রহীতা যাতায়াত করছেন। কিন্তু ওই কার্যালয়ের সামনে জলাবদ্ধতা থাকায় সেবাগ্রহীতাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া অন্য চারটি কার্যালয়ের সেবাগ্রহীতাসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও কাদা-পানিতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। 

সেবাগ্রহীতারা বলছেন, বেশ কয়েক বছর ধরে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

উপজেলা পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আমির আলী বলেন, ‘পাঁচটি কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলে প্রায় অর্ধশত জনবল রয়েছে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিনই জল-কাদা মাড়িয়েই আমাদের অফিসে আসতে হচ্ছে।’ 

সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে জলাবদ্ধতা। ছবি: আজকের পত্রিকাউপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, ‘সেবাগ্রহীতারা চরম দুর্ভোগ শিকার হয়ে আমাদের কাছে আসেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই এমন অবস্থা।’ 

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউল হক বলেন, ‘বর্ষা শুরু হলেই এই পাঁচটি কার্যালয়ের সামনে দীর্ঘ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি দুটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন ঘিরে প্রতিদিন শত শত মানুষকে অফিসে আসতে হয়। তাঁরা কাদা পানি নিয়েই অফিসে ঢুকে পড়েন। বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানানো হয়েছে।’ 

নির্বাচন কার্যালয়ে আসা সিরাজুল ইসলাম নামের এক সেবাগ্রহীতা বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের একটি তথ্যের জন্য এসেছি। অথচ আমাদের জুতা খুলে কাদা-পানি ভেঙে অফিসে যেতে হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনেই এমন জলাবদ্ধতা পরিষদের সৌন্দর্যকেও বিনষ্ট করেছে।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম সরকারিভাবে প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশ থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

তবে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই অফিসগুলোর সামনের পানিগুলো আমাদের তৈরি করা ড্রেন দিয়ে পৌরসভার মূল ড্রেনে গিয়ে পতিত হয়। কিন্তু পৌরসভার ড্রেন বন্ধ থাকায় পানিগুলো নিষ্কাশন হচ্ছে না।’ 

ছবি: শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় ও সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে তোলা ছবি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত