শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযান চলাকালে গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দালাল চক্রের এক সদস্যকে আটক করে দুদক সদস্যরা। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী গ্রাহকের থেকে নেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়া হয়।
দুদক ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, রেজিষ্ট্রেশন, মালিকানা বদলি-যাচাই, পেশাদার-অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ ইত্যাদি সেবা নিতে আসা গ্রাহকেরা শরীয়তপুর বিআরটিএ অফিসকে মাসের পর মাস হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও তারা সময়মতো সেবা পাননা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শরীয়তপুরের বিআরটিএ অফিসে দুদক সমন্বিত মাদারীপুর অফিসের একটি দল অভিযান চালায়।
অভিযান চলাকালে কাওসার হাওলাদার নামের এক যুবক দুদক টিমের কাছে অভিযোগ করেন, তিন বছর আগে বিআরটিএ অফিসের কর্মচারী পরিচয়ে ওবায়দুর নামের এক লোক তাঁর কাছ থেকে সাত হাজার টাকা নিয়েও এখনও লাইসেন্স করে দেননি। দুদক টিমের পরামর্শে ওই যুবক তাঁর মোবাইল ফোন থেকে দালাল চক্রের সদস্য ওবায়দুলকে কল করলে তিনি তাঁকে অফিসের কাছাকাছি একটি চায়ের দোকানে যেতে বলেন।
কাওসারের সঙ্গে ছদ্মবেশে দুদকের টিম ওই দোকানে গিয়ে ওবায়দুরকে হাতেনাতে ধরে। এরপর বিআরটিএ অফিসের সহাকারী পরিচালক মো. নুরুল হোসেনের কক্ষে নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে দালাল ওবায়দুর কাওসারের কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। পরে দুদক টিমের নির্দেশে কাওসারকে টাকা ফেরত দিলে ছাড়া পায় দালাল ওবায়দুর।
কাওসার হাওলাদার গোসাইরহাট উপজেলার তর সাতমাটিয়া গ্রামের ইয়াসিন হাওলারের ছেলে। তিনি বলেন, ‘তিন বছর আগে বিআরটিএ অফিসে এসেছিলাম লাইসেন্স করতে। অফিসে আসার পর ওবায়দুর নামের এক লোকের সঙ্গে পরিচয় হয় আমার। তিনি তখন আমাকে বলেন, লাইসেন্স করতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাগে। আপনি ৯ হাজার টাকা দেন। ওনার কথামতো আমি এক চায়ের দোকানিকে সাক্ষী রেখে ৭ হাজার টাকা দেই। টাকা নিয়েও উনি আমার কাজ করে দেননি। তিন বছরে আমি প্রায় পাঁচ থেকে সাতটি মামলার শিকার হয়েছি। দুদক টিমের সহযোগিতায় আজ আমার টাকা ফেরত পেয়েছি।’
দালাল চক্রের সদস্য ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘লোকবল সংকটের কারণে মৌখিকভাবে আমাকে অফিস সহায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এখন লোকবল নিয়োগ দেওয়ায় অফিস থেকে আমাকে চলে যেতে বলেছে। আমি এখন আর অফিসে যাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিআরটিএ অফিসে ঘুষ বানিজ্যের সঙ্গে সহকারী পরিচালক, ইন্সপেক্টর সবাই জড়িত। আমাদের শুধুমাত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যবহার হতে গিয়ে কিছু স্বার্থে এতদিন কাজ করেছি। এখনও বিআরটিএ অফিসে ঘুষ বাণিজ্যের সঙ্গে সহকারী পরিচালক, ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসানসহ সবাই জড়িত। রেজিষ্ট্রেশন, মালিকানা বদলি-যাচাই, পেশাদার-অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স, রিনিউ লাইসেন্সসহ সব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়।’
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) শরীয়তপুরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত) মো. নুরুল হোসেন বলেন, ‘দুদক টিম সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অফিসে অভিযানে এসেছেন। তারা তাদের কাজকর্ম করে গেছেন। আমি শরীয়তপুরে যোগদানের পর এখানে কোনো দালাল নেই। যে অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক এসেছে, সেই অভিযোগ আমি যোগদান করার অনেক আগের।’
মোটরযান পরিদর্শক মেহেদী হাসানের সঙ্গে দালালের সম্পর্ক রয়েছে কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তার বিষয়ে যদি এমন কিছু পাওয়া যায়, তবে তা তদন্ত সাপেক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আমি যোগদানের আগে কিছু গ্রাহককে হয়রানির দৃষ্টান্ত আছে। এখন আর কোনো গ্রাহক হয়রানীর শিকার হন না।’
অভিযান শেষে দুদক সমন্বিত মাদারীপুর অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘গ্রাহকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হেড অফিসের নির্দেশে শরীয়তপুর বিআরটিএ অফিসে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সত্যতা যাচাই করে দেখেছি। আমরা এক দালালকে হাতেনাতে ধরে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। অভিযানে প্রাপ্ত রিপোর্ট হেড অফিসে পাঠানো হবে। হেড অফিস এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’
শরীয়তপুরে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযান চলাকালে গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দালাল চক্রের এক সদস্যকে আটক করে দুদক সদস্যরা। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী গ্রাহকের থেকে নেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়া হয়।
দুদক ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, রেজিষ্ট্রেশন, মালিকানা বদলি-যাচাই, পেশাদার-অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ ইত্যাদি সেবা নিতে আসা গ্রাহকেরা শরীয়তপুর বিআরটিএ অফিসকে মাসের পর মাস হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও তারা সময়মতো সেবা পাননা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শরীয়তপুরের বিআরটিএ অফিসে দুদক সমন্বিত মাদারীপুর অফিসের একটি দল অভিযান চালায়।
অভিযান চলাকালে কাওসার হাওলাদার নামের এক যুবক দুদক টিমের কাছে অভিযোগ করেন, তিন বছর আগে বিআরটিএ অফিসের কর্মচারী পরিচয়ে ওবায়দুর নামের এক লোক তাঁর কাছ থেকে সাত হাজার টাকা নিয়েও এখনও লাইসেন্স করে দেননি। দুদক টিমের পরামর্শে ওই যুবক তাঁর মোবাইল ফোন থেকে দালাল চক্রের সদস্য ওবায়দুলকে কল করলে তিনি তাঁকে অফিসের কাছাকাছি একটি চায়ের দোকানে যেতে বলেন।
কাওসারের সঙ্গে ছদ্মবেশে দুদকের টিম ওই দোকানে গিয়ে ওবায়দুরকে হাতেনাতে ধরে। এরপর বিআরটিএ অফিসের সহাকারী পরিচালক মো. নুরুল হোসেনের কক্ষে নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে দালাল ওবায়দুর কাওসারের কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। পরে দুদক টিমের নির্দেশে কাওসারকে টাকা ফেরত দিলে ছাড়া পায় দালাল ওবায়দুর।
কাওসার হাওলাদার গোসাইরহাট উপজেলার তর সাতমাটিয়া গ্রামের ইয়াসিন হাওলারের ছেলে। তিনি বলেন, ‘তিন বছর আগে বিআরটিএ অফিসে এসেছিলাম লাইসেন্স করতে। অফিসে আসার পর ওবায়দুর নামের এক লোকের সঙ্গে পরিচয় হয় আমার। তিনি তখন আমাকে বলেন, লাইসেন্স করতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাগে। আপনি ৯ হাজার টাকা দেন। ওনার কথামতো আমি এক চায়ের দোকানিকে সাক্ষী রেখে ৭ হাজার টাকা দেই। টাকা নিয়েও উনি আমার কাজ করে দেননি। তিন বছরে আমি প্রায় পাঁচ থেকে সাতটি মামলার শিকার হয়েছি। দুদক টিমের সহযোগিতায় আজ আমার টাকা ফেরত পেয়েছি।’
দালাল চক্রের সদস্য ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘লোকবল সংকটের কারণে মৌখিকভাবে আমাকে অফিস সহায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এখন লোকবল নিয়োগ দেওয়ায় অফিস থেকে আমাকে চলে যেতে বলেছে। আমি এখন আর অফিসে যাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিআরটিএ অফিসে ঘুষ বানিজ্যের সঙ্গে সহকারী পরিচালক, ইন্সপেক্টর সবাই জড়িত। আমাদের শুধুমাত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যবহার হতে গিয়ে কিছু স্বার্থে এতদিন কাজ করেছি। এখনও বিআরটিএ অফিসে ঘুষ বাণিজ্যের সঙ্গে সহকারী পরিচালক, ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসানসহ সবাই জড়িত। রেজিষ্ট্রেশন, মালিকানা বদলি-যাচাই, পেশাদার-অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স, রিনিউ লাইসেন্সসহ সব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়।’
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) শরীয়তপুরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত) মো. নুরুল হোসেন বলেন, ‘দুদক টিম সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অফিসে অভিযানে এসেছেন। তারা তাদের কাজকর্ম করে গেছেন। আমি শরীয়তপুরে যোগদানের পর এখানে কোনো দালাল নেই। যে অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক এসেছে, সেই অভিযোগ আমি যোগদান করার অনেক আগের।’
মোটরযান পরিদর্শক মেহেদী হাসানের সঙ্গে দালালের সম্পর্ক রয়েছে কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তার বিষয়ে যদি এমন কিছু পাওয়া যায়, তবে তা তদন্ত সাপেক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আমি যোগদানের আগে কিছু গ্রাহককে হয়রানির দৃষ্টান্ত আছে। এখন আর কোনো গ্রাহক হয়রানীর শিকার হন না।’
অভিযান শেষে দুদক সমন্বিত মাদারীপুর অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘গ্রাহকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হেড অফিসের নির্দেশে শরীয়তপুর বিআরটিএ অফিসে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সত্যতা যাচাই করে দেখেছি। আমরা এক দালালকে হাতেনাতে ধরে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। অভিযানে প্রাপ্ত রিপোর্ট হেড অফিসে পাঠানো হবে। হেড অফিস এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’
প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন স্থগিত করেছেন পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনরত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার ভোর পৌনে ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান...
১ ঘণ্টা আগেঘন কুয়াশায় রোববার মধ্য রাতের পর থেকে আবারও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌ-রুটের ফেরি সার্ভিস। কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, এ রুটের ছোট-বড় ১৪টি ফেরি উভয় ঘাটের পন্টুনে অবস্থান করছে। ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় ঘাটে আটকে পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসসহ নানা ধরনের যানবাহন...
১ ঘণ্টা আগে‘যদি টাহা দিত তাইলে আমার বাবারে গুলি কইর্যা মারত না। আমার ছাওয়ালরে আইন্না দে রে... আমি টাহা চাই না রে...।’ এসব বলতে বলতে বিলাপ করছেন লিবিয়ায় নিহত আকাশ হাওলাদার ওরফে রাসেলের মা লিপিয়া বেগম।
৮ ঘণ্টা আগেবইমেলার দ্বিতীয় দিন ছিল গতকাল। ঝকঝকে নতুন স্টল আর প্যাভিলিয়নগুলো এরই মধ্যে দর্শক-ক্রেতার পদচারণে মুখর। নতুন বইয়ের খোঁজখবর নিচ্ছেন বইপ্রেমীরা। নতুন বই অবশ্য আসা শুরু হয়েছে মাত্র। প্রকাশকদের ভাষ্য, সব বই মেলায়...
৮ ঘণ্টা আগে