Ajker Patrika

সামিট ও আদানির চুক্তি বাতিলের দাবি ক্যাবের

আপডেট : ০৩ মে ২০২৪, ১২: ৫০
সামিট ও আদানির চুক্তি বাতিলের দাবি ক্যাবের

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) সঙ্গে সামিটের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে সামিটের মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্রয় চুক্তি ও ভারতের আদানির বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার ক্যাব আয়োজিত ‘অসাধু বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবসা সুরক্ষায় মূল্যবৃদ্ধি নয়, জ্বালানি সুবিচার চাই’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ দাবি জানান বক্তারা। অনুষ্ঠান থেকে ক্যাব বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সংস্কারে ১২টি প্রস্তাবও দিয়েছে। তারা বলছে, এগুলো বাস্তবায়ন করলে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানোর প্রয়োজন পড়বে না।

ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২০১০ সালে একটি জরুরি আইন করা হয়েছিল দুই বছরের জন্য। সেই আইনের বারবার সময় বাড়ানো হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে এই খাতের দরপত্র প্রক্রিয়াকে রুদ্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতি কার্পেটের নিচে রেখে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ওপর থেকে ভর্তুকি কমানোর যে চেষ্টা আইএমএফের চাপে করা হচ্ছে, তাতে এই খাতের শৃঙ্খলা ফিরবে না।

লিখিত বক্তব্যে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, অযৌক্তিক ব্যয়ের দায় সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে সরকার। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে লুণ্ঠনমূলক ব্যয় ও মুনাফা প্রতিরোধ করা গেলে ন্যূনতম ব্যয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ করা যেত এবং বিদ্যুৎ খাতে বিদ্যমান ঘাটতি প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা সমন্বয় করা সম্ভব হতো। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে এমন সংস্কার প্রস্তাব আসেনি। তারা সরকারকে ঋণের শর্তে আটকে ফেলেছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, দেশে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো (গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক) জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে আছে। যদি জ্বালানির সংস্থানই না হয়, তাহলে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন করা হলো? আর বসে থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যয়ভার কেন সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? তিনি বলেন, ‘সরকার ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অনিয়ম আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ এবং এলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল

ইটনায় এবার ডিলার নিয়োগে ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস

‘ওরা সোনার তৈরি, আমরা মাটির’, কারখানার ভেতর আত্মহত্যার আগে শ্রমিকের ফেসবুক পোস্ট

কুষ্টিয়ায় গভীর রাতে বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি, দেখে নেওয়ার হুমকি

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনে প্রক্রিয়া মানা হয়নি: ইউনেসকো

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত