নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পেছনে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দালান। সামনে হাস্যোজ্জ্বল কয়েকজন। একজন থালা-বাসন ধুচ্ছেন। তাঁর পাশে ছড়িয়ে থাকা এঁটো খাবার খেতে জড়ো হয়েছে অনেক কাক। আরেক দৃশ্যে ছাদে পারিবারিক আড্ডায় মেতেছে কয়েকজন। কয়েকটি কিশোর মজা করছে। এমন অনেক দৃশ্য সাদাকালো ফ্রেমে। আছে বিভিন্ন ভিডিওতে পুরান ঢাকার জীবনের গল্প।
পুরান ঢাকার প্রাত্যহিক জীবনকে ক্যামেরাবন্দী করেছেন শিল্পী মুনেম ওয়াসিফ। শুধু আলোকচিত্র নয়, ভিডিও ও নানা মাধ্যমে সাজানো এটি। প্রদর্শনী সাজানো হয়েছে আলোকচিত্র, ফিল্ম ও ভাস্কর্যের মিশ্র মাধ্যমে এবং অন্তর্গত, সামান্য ও খেয়াল নামের তিনটি বিভাগে।
রাজধানীর বেঙ্গল শিল্পালয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘ক্রমশ’ শিরোনামে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোকচিত্রী শহীদুল আলম বলেন, অন্যান্য শিল্পমাধ্যমের তুলনায় আলোকচিত্র নতুন। এটা নিয়ে একটু ভাবা দরকার। এটা তার ব্যাকরণ ভেঙেছে। যার কারণে এই প্রদর্শনীকে আলোকচিত্র না বলে দৃশ্যশিল্প বলা হয়েছে।
শহীদুল আলম আরও বলেন, আসলে আলোকচিত্র মানে শুধুই আলোকচিত্রের প্রদর্শনী নয়, সেখানে অন্য মাধ্যমগুলোও যুক্ত হয়। আলোকচিত্র এক মুহূর্তে অনেক কিছু ধারণ করে। একটা ফ্রেমের মধ্যে অনেক কিছু থাকে। অনেক কিছু আলোকচিত্রীও দেখে না। পরে খেয়াল করে। ইতিহাসবিদ হয়তো অনেক পরে ফ্রেমের কোনো কোণে কোনো কিছু খুঁজে পান। সুতরাং নানা সময়ে নানাভাবে আলোকচিত্র তার ভেতরের বিষয় নিয়ে ধরা পড়ে।
আলোকচিত্রী ও নগরবিদ কাজী খালিদ আশরাফ বলেন, শহরের অন্তর আছে এবং অন্দরও আছে। প্রশ্ন হচ্ছে মুনেম ওয়াসিফ কোন দিকে যাচ্ছেন? মুনেম ওয়াসিফের কাজ কি দূরদৃষ্টির ব্যাপার, নাকি অন্তর্দৃষ্টির ব্যাপার। একটা সিনেমা হলের স্ক্রিনের ছবি। এই ছবিটা দেখে মনে হয়েছে, এখানে ভরা শূন্যতা। এখানে অন্দর না অন্তরের ব্যাপার আছে।
এই প্রদর্শনীর কিউরেটরিয়াল উপদেষ্টা তানজিম ওয়াহাব। প্রদর্শনী নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘ক্রমশ’র শুরু আলোকচিত্র শিল্পী মুনেম ওয়াসিফের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে। কিন্তু এটি প্রচলিত অর্থে কোনো খেরোখাতা বা ডায়েরিস্টিক কাজ নয়। ছবিগুলো অতীত থেকে ভবিষ্যতের দিকে বিস্তৃত নানা মুহূর্তের এক বিশাল সমাহার; কিছু রেকর্ডেড মুহূর্ত, কিছু আয়োজন করে তোলা, আর কিছু সম্পূর্ণ কল্পনার খোরাক।
তানজিম ওয়াহাব আরও বলেন, ‘পুরান ঢাকার প্রচলিত গল্প আমাদের চেনা সরু গলির প্রাণবন্ত মহল্লা-সংস্কৃতি, আচার-অনুষ্ঠান, বিলুপ্তপ্রায় প্রাচীন স্থাপত্য ও ঐতিহ্য, যা ঢাকার সবচেয়ে বেশি ক্যামেরাবন্দী ছবি। আমাদের দেখা গল্পগুলো মূলত দুটি বিষয়কে কেন্দ্র করে আবর্তিত—একদিকে, দ্রুত পরিবর্তনের চাপ, অলিগলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাড়া-মহল্লার ব্যস্ত জীবনপ্রবাহ; অন্যদিকে, অতীতের স্মৃতিকাতর রেশ, কল্পলোকে মন্থর এক সময়।’
নিজের কাজ সম্পর্কে শিল্পী মুনেম ওয়াসিফের ভাষ্য, ‘আমার জীবন এবং কাজে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এবং শহীদুল জহিরের লেখার প্রভাব বেশ। প্রথম যখন আমার হাতে ক্যামেরা আসে পুরান ঢাকার নানা গলিতে হেঁটেছি। পুরান ঢাকা আমার জন্য খুব স্বাভাবিক স্থানে পরিণত হয়। পুরো জায়গা হেঁটে দেখেছি। যে কারণে একই জায়গার সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা, রাতের আর্কিটেকচার এবং আলো ও ছায়া দেখেছি। সেগুলো আমার ছবিতে উঠে এসেছে। ইন্দ্রিয়কেন্দ্রিক একটা অনুভূতি, যা ম্যাটারিয়ালিস্টিকভাবে তোলা যায় না, সেটাই তুলতে চেষ্টা করেছি।’
প্রদর্শনীটি চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা অবধি দেখা যাবে।
পেছনে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দালান। সামনে হাস্যোজ্জ্বল কয়েকজন। একজন থালা-বাসন ধুচ্ছেন। তাঁর পাশে ছড়িয়ে থাকা এঁটো খাবার খেতে জড়ো হয়েছে অনেক কাক। আরেক দৃশ্যে ছাদে পারিবারিক আড্ডায় মেতেছে কয়েকজন। কয়েকটি কিশোর মজা করছে। এমন অনেক দৃশ্য সাদাকালো ফ্রেমে। আছে বিভিন্ন ভিডিওতে পুরান ঢাকার জীবনের গল্প।
পুরান ঢাকার প্রাত্যহিক জীবনকে ক্যামেরাবন্দী করেছেন শিল্পী মুনেম ওয়াসিফ। শুধু আলোকচিত্র নয়, ভিডিও ও নানা মাধ্যমে সাজানো এটি। প্রদর্শনী সাজানো হয়েছে আলোকচিত্র, ফিল্ম ও ভাস্কর্যের মিশ্র মাধ্যমে এবং অন্তর্গত, সামান্য ও খেয়াল নামের তিনটি বিভাগে।
রাজধানীর বেঙ্গল শিল্পালয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘ক্রমশ’ শিরোনামে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোকচিত্রী শহীদুল আলম বলেন, অন্যান্য শিল্পমাধ্যমের তুলনায় আলোকচিত্র নতুন। এটা নিয়ে একটু ভাবা দরকার। এটা তার ব্যাকরণ ভেঙেছে। যার কারণে এই প্রদর্শনীকে আলোকচিত্র না বলে দৃশ্যশিল্প বলা হয়েছে।
শহীদুল আলম আরও বলেন, আসলে আলোকচিত্র মানে শুধুই আলোকচিত্রের প্রদর্শনী নয়, সেখানে অন্য মাধ্যমগুলোও যুক্ত হয়। আলোকচিত্র এক মুহূর্তে অনেক কিছু ধারণ করে। একটা ফ্রেমের মধ্যে অনেক কিছু থাকে। অনেক কিছু আলোকচিত্রীও দেখে না। পরে খেয়াল করে। ইতিহাসবিদ হয়তো অনেক পরে ফ্রেমের কোনো কোণে কোনো কিছু খুঁজে পান। সুতরাং নানা সময়ে নানাভাবে আলোকচিত্র তার ভেতরের বিষয় নিয়ে ধরা পড়ে।
আলোকচিত্রী ও নগরবিদ কাজী খালিদ আশরাফ বলেন, শহরের অন্তর আছে এবং অন্দরও আছে। প্রশ্ন হচ্ছে মুনেম ওয়াসিফ কোন দিকে যাচ্ছেন? মুনেম ওয়াসিফের কাজ কি দূরদৃষ্টির ব্যাপার, নাকি অন্তর্দৃষ্টির ব্যাপার। একটা সিনেমা হলের স্ক্রিনের ছবি। এই ছবিটা দেখে মনে হয়েছে, এখানে ভরা শূন্যতা। এখানে অন্দর না অন্তরের ব্যাপার আছে।
এই প্রদর্শনীর কিউরেটরিয়াল উপদেষ্টা তানজিম ওয়াহাব। প্রদর্শনী নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘ক্রমশ’র শুরু আলোকচিত্র শিল্পী মুনেম ওয়াসিফের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে। কিন্তু এটি প্রচলিত অর্থে কোনো খেরোখাতা বা ডায়েরিস্টিক কাজ নয়। ছবিগুলো অতীত থেকে ভবিষ্যতের দিকে বিস্তৃত নানা মুহূর্তের এক বিশাল সমাহার; কিছু রেকর্ডেড মুহূর্ত, কিছু আয়োজন করে তোলা, আর কিছু সম্পূর্ণ কল্পনার খোরাক।
তানজিম ওয়াহাব আরও বলেন, ‘পুরান ঢাকার প্রচলিত গল্প আমাদের চেনা সরু গলির প্রাণবন্ত মহল্লা-সংস্কৃতি, আচার-অনুষ্ঠান, বিলুপ্তপ্রায় প্রাচীন স্থাপত্য ও ঐতিহ্য, যা ঢাকার সবচেয়ে বেশি ক্যামেরাবন্দী ছবি। আমাদের দেখা গল্পগুলো মূলত দুটি বিষয়কে কেন্দ্র করে আবর্তিত—একদিকে, দ্রুত পরিবর্তনের চাপ, অলিগলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাড়া-মহল্লার ব্যস্ত জীবনপ্রবাহ; অন্যদিকে, অতীতের স্মৃতিকাতর রেশ, কল্পলোকে মন্থর এক সময়।’
নিজের কাজ সম্পর্কে শিল্পী মুনেম ওয়াসিফের ভাষ্য, ‘আমার জীবন এবং কাজে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এবং শহীদুল জহিরের লেখার প্রভাব বেশ। প্রথম যখন আমার হাতে ক্যামেরা আসে পুরান ঢাকার নানা গলিতে হেঁটেছি। পুরান ঢাকা আমার জন্য খুব স্বাভাবিক স্থানে পরিণত হয়। পুরো জায়গা হেঁটে দেখেছি। যে কারণে একই জায়গার সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা, রাতের আর্কিটেকচার এবং আলো ও ছায়া দেখেছি। সেগুলো আমার ছবিতে উঠে এসেছে। ইন্দ্রিয়কেন্দ্রিক একটা অনুভূতি, যা ম্যাটারিয়ালিস্টিকভাবে তোলা যায় না, সেটাই তুলতে চেষ্টা করেছি।’
প্রদর্শনীটি চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা অবধি দেখা যাবে।
চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে ঢাকাগামী একটি ট্রেনের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁর নাম তুষার, তিনি দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশার চালক।
১ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল শুক্রবার দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার শতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করা হবে। জেলার সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের অনুসরণ করে হজের পরের দিন ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন।
৫ ঘণ্টা আগেসভায় যোগ দিতে সরকারি গাড়িতেই রাজশাহী এসেছিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। সভা শেষ করে সোজা হাটে গিয়ে তিনি কোরবানির গরু কিনেছেন। তারপর সেই সরকারি গাড়িতেই তুলে নিয়ে গেছেন গরু। আজ বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বসেছে। রাজধানীর ২১টি স্থানে ছড়িয়ে থাকা এসব পশুর হাটে আজ ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে জমে উঠেছে বেচাকেনা। আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে হাটগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। অফিস-আদালতের ছুটি শুরু হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের পশুর
৬ ঘণ্টা আগে