ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ আসামিদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার রাত ৮টায় মধুখালীর সামগ্রিক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংকালে এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। একই সঙ্গে আসামিরা যাতে দেশ ত্যাগ না করতে পারেন, সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা বিমানবন্দর ও বর্ডার এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন।
গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামে সাতজন নির্মাণশ্রমিককে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পরে এলাকাবাসীকে জানানো হয় মন্দিরে আগুন দিয়েছেন শ্রমিকেরা। এতে উত্তপ্ত জনতার মারধরে আরশাদুল ও আশরাফুল নামে দুই সহোদরের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর নির্যাতনের সময় ধারণ করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
তাতে দেখা যায়, ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও ১ নম্বর ইউপি সদস্য অজিত কুমার সরকার শ্রমিকদের মারধর করেন। পরে কয়েকজন তরুণ নির্মমভাবে পেটাতে থাকেন। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গা ঢাকা দিয়েছেন ওই চেয়ারম্যান ও সদস্য।
ব্রিফিংয়ে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য কেউ যদি তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ দেওয়া হবে।’ তবে তিনি অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করেননি। এ ছাড়া তিনি আসামিদের দ্রুত আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আসামিদের দেশত্যাগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেছেন, ‘চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ অন্য আসামিরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে—সে জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন বিমানবন্দর এবং পোর্ট, বন্দরগুলোকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সকলকে অনুরোধ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আসামিদের কাছে পাসপোর্ট না থাকায় কেউ বৈধ পথে দেশত্যাগ করতে পারবে না। তারা অবৈধ পথেও যেন দেশত্যাগ করতে না পারে, সে জন্য সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও অনুরোধ করা হয়েছে।’
ডুমাইন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপনের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানান। তিনি চেয়ারম্যানকে অভ্যাসগত অপরাধী উল্লেখ করে বলেন, ‘চেয়ারম্যান শ্রমিকদের মারধর শুরু করে ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে যান। পরে তিনি প্রশাসনকে নিয়ে আবার উদ্ধার অভিযানে থাকেন। তাঁর এই দ্বৈত ভূমিকার জন্য প্রথমে অপরাধটি নজরে আসেনি। তাঁকে গ্রেপ্তারে খুব কাছাকাছি প্রশাসন চলে গিয়েছিল। মাগুরা ও যশোর থেকে তাঁকে শনাক্ত করা হয়েছিল। তিনি মোবাইল ব্যবহার না করার কারণে এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করায় ব্যর্থ হয়েছে। তিনি একজন অভ্যাসগত অপরাধী হওয়ায় লুকিয়ে থাকা ভালো রপ্ত করেছেন। আমরা চেষ্টা করছি তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চেয়ারম্যানকে ইতিপূর্বে ইউএনওর ওপর হামলা ও টিসিবির কার্ড আত্মসাতের কারণে দুবার বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু বরখাস্তের পরে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা এনে কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। প্রশাসনিক কার্যক্রমে তাঁকে নিবৃত্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। যার কারণে তাঁর ভেতর বেপরোয়া ভাবে তৈরি হয়েছে। পুনরায় আমরা তাঁকে ও ইউপি সদস্য বরখাস্ত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেকগুলো নাম পেয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রেপ্তারের অংশ দেখানো হবে।’
এদিকে মন্দিরে আগুন ও শ্রমিকদের নির্যাতন করে দুজনকে হত্যার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে জেলা পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ড্যান্টকে এই তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়। এ তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এ সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি কমিটি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এলাকাটি পুরুষশূন্য থাকায় তদন্ত কার্যক্রম বিলম্ব হচ্ছে। এ ছাড়া ভিকটিমরা ঢাকায় ও গাজীপুরে হাসপাতালে থাকায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলার কারণেও বিলম্ব হচ্ছে। তদন্ত কমিটি আরও সাত দিন সময় চেয়েছে। আমরা তাদের তদন্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে শেষ করার জন্য সাত দিন সময় দিয়েছি। আশা করা যায়, এক সপ্তাহের ভেতর তারা একটি প্রতিবেদন জমা দেবেন।’
ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ আসামিদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার রাত ৮টায় মধুখালীর সামগ্রিক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংকালে এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। একই সঙ্গে আসামিরা যাতে দেশ ত্যাগ না করতে পারেন, সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা বিমানবন্দর ও বর্ডার এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন।
গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীর কৃষ্ণনগর গ্রামে সাতজন নির্মাণশ্রমিককে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পরে এলাকাবাসীকে জানানো হয় মন্দিরে আগুন দিয়েছেন শ্রমিকেরা। এতে উত্তপ্ত জনতার মারধরে আরশাদুল ও আশরাফুল নামে দুই সহোদরের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর নির্যাতনের সময় ধারণ করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
তাতে দেখা যায়, ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও ১ নম্বর ইউপি সদস্য অজিত কুমার সরকার শ্রমিকদের মারধর করেন। পরে কয়েকজন তরুণ নির্মমভাবে পেটাতে থাকেন। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গা ঢাকা দিয়েছেন ওই চেয়ারম্যান ও সদস্য।
ব্রিফিংয়ে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য কেউ যদি তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ দেওয়া হবে।’ তবে তিনি অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করেননি। এ ছাড়া তিনি আসামিদের দ্রুত আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আসামিদের দেশত্যাগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেছেন, ‘চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ অন্য আসামিরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে—সে জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন বিমানবন্দর এবং পোর্ট, বন্দরগুলোকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সকলকে অনুরোধ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আসামিদের কাছে পাসপোর্ট না থাকায় কেউ বৈধ পথে দেশত্যাগ করতে পারবে না। তারা অবৈধ পথেও যেন দেশত্যাগ করতে না পারে, সে জন্য সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও অনুরোধ করা হয়েছে।’
ডুমাইন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপনের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানান। তিনি চেয়ারম্যানকে অভ্যাসগত অপরাধী উল্লেখ করে বলেন, ‘চেয়ারম্যান শ্রমিকদের মারধর শুরু করে ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে যান। পরে তিনি প্রশাসনকে নিয়ে আবার উদ্ধার অভিযানে থাকেন। তাঁর এই দ্বৈত ভূমিকার জন্য প্রথমে অপরাধটি নজরে আসেনি। তাঁকে গ্রেপ্তারে খুব কাছাকাছি প্রশাসন চলে গিয়েছিল। মাগুরা ও যশোর থেকে তাঁকে শনাক্ত করা হয়েছিল। তিনি মোবাইল ব্যবহার না করার কারণে এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করায় ব্যর্থ হয়েছে। তিনি একজন অভ্যাসগত অপরাধী হওয়ায় লুকিয়ে থাকা ভালো রপ্ত করেছেন। আমরা চেষ্টা করছি তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চেয়ারম্যানকে ইতিপূর্বে ইউএনওর ওপর হামলা ও টিসিবির কার্ড আত্মসাতের কারণে দুবার বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু বরখাস্তের পরে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা এনে কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। প্রশাসনিক কার্যক্রমে তাঁকে নিবৃত্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। যার কারণে তাঁর ভেতর বেপরোয়া ভাবে তৈরি হয়েছে। পুনরায় আমরা তাঁকে ও ইউপি সদস্য বরখাস্ত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেকগুলো নাম পেয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রেপ্তারের অংশ দেখানো হবে।’
এদিকে মন্দিরে আগুন ও শ্রমিকদের নির্যাতন করে দুজনকে হত্যার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে জেলা পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ড্যান্টকে এই তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়। এ তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এ সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি কমিটি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এলাকাটি পুরুষশূন্য থাকায় তদন্ত কার্যক্রম বিলম্ব হচ্ছে। এ ছাড়া ভিকটিমরা ঢাকায় ও গাজীপুরে হাসপাতালে থাকায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলার কারণেও বিলম্ব হচ্ছে। তদন্ত কমিটি আরও সাত দিন সময় চেয়েছে। আমরা তাদের তদন্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে শেষ করার জন্য সাত দিন সময় দিয়েছি। আশা করা যায়, এক সপ্তাহের ভেতর তারা একটি প্রতিবেদন জমা দেবেন।’
রাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার বারহাট্টায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বড় ভাইকে শেষ দেখা দেখলেন বাউসী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আননান। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে নেত্রকোনা কারাগার থেকে পুলিশ আননানকে মৌয়াটি গ্রামে নিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায়
১ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিএনপির গণ–সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে আবুল বাসার ফুল মিয়া নামের এক বিএনপি নেতার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
১ ঘণ্টা আগে