Ajker Patrika

বিচারের নামে হাত বেঁধে মারধরের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৩, ১৮: ০০
Thumbnail image

বিচারের নামে গ্রামের বাসিন্দাকে তুলে নিয়ে হাত বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার দুপুরে তিল্লি ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মারধরের শিকার দুজন হচ্ছেন পূর্ব চরতিল্লি গ্রামের বরকত (৬৫) ও হজরত আলী (৬০)। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তিনজন চৌকিদার এসে দুজনকে ইউনিয়ন পরিষদে ধরে নিয়ে যান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম ধলা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য আতোয়ার রহমান মিলে দুজনকে গালিগালাজ এবং মারধর করেন। একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের নির্দেশে হজরত আলীর হাত পেছনে নিয়ে দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়। বিকেল ৩টার দিকে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

মারধরের শিকার হজরত আলী বলেন, ‘চেয়ারম্যান ও সদস্য আতোয়ার রহমান আমাদের দুজনকে মারধর করেন। চেয়ারম্যান আমার গালে চড়থাপ্পড় মারেন এবং গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে আমার হাত বেঁধে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এই বয়সে এমনভাবে অপমানিত হতে হবে চিন্তাও করতে পারি না। আমি এর বিচার চাই।’ 

হজরত আলী জানান, একটা রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে তাঁর বিরোধ রয়েছে। এরই জের ধরে রাস্তার কিছু অংশ তিনি কেটে ফেলেন। 

চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম ধলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধর ও হাত বাঁধার কথা অস্বীকার করেন। তবে তিনি চৌকিদার দিয়ে দুজনকে ডেকে আনার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘একটি সরকারি রাস্তার মাটি কুপিয়ে জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করায় তাঁদের ডেকে আনা হয়েছিল। এ ধরনের কাজ আর করবে না মুচলেকা দিয়ে তাঁরা ভুল স্বীকার করেছেন।’ 

এ সময় হজরত আলীর হাত বাঁধা ছবি বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। 

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আরা জানান, তিল্লি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাঁকে একটা সরকারি রাস্তা কেটে ফেলার ছবি পাঠিয়েছেন। কিন্তু এ নিয়ে বিচার সালিসের নামে কাউকে মারধর ও হাত বাঁধার মতো ঘটনার কথা তাঁর জানা নেই। 

ইউএনও বলেন, ‘বিচারের নামে কাউকে মারধর কিংবা হাত বাঁধতে পারেন না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিংবা কোনো সদস্য। যদি এটা হয়ে থাকে তাহলে অন্যায় হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত