নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঈদুল আজহার তিন দিনের ছুটি (১৬, ১৭ ও ১৮ জুন) শেষ হলেও এখনো ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। ঈদের সময় কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করা অনেকেই ঢাকা ছাড়ছেন। আবার অনেকে ঘুরতে যাচ্ছেন পছন্দের গন্তব্যে। আজ বুধবার ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এমন চিত্র দেখা গেছে।
অনেকে আবার ছুটি শেষে ফিরতে শুরু করেছেন ঢাকায়। তবে ফিরতি যাত্রীর চাপ কম।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে টিকিট কাউন্টারে দেখা যায়, যাত্রীদের বেশ ভিড়। তাঁরা ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। কাউন্টারে রবিউল ইসলাম নামের এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হয়। রবিউল বলেন, তিনি ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁতে চাকরি করেন। ছুটি না পাওয়ায় ঈদে বাড়ি যেতে পারেননি। তাঁর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে।
বনলতা এক্সপ্রেসে রাজশাহী থেকে ঢাকায় ফিরেছেন সরকারি চাকরিজীবী তরিকুল ইসলাম রানা। তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে আজ প্রথম অফিস শুরু হচ্ছে। তাই তড়িঘড়ি করেই ঢাকা ফিরছি। ট্রেন ভ্রমণে কোনো অসুবিধা হয়নি।’
কমলাপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম স্টেশন ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ১২টা আন্তনগর ট্রেন ছেড়ে গেছে। লোকাল ট্রেন ছেড়েছে ১২টা। ঢাকায় এসেছে লোকাল ও আন্তনগর মিলিয়ে ১৩টা ট্রেন। ঢাকা থেকে যাত্রী যাওয়ার হার অনেক বেশি। আসার চাপ এখনো শুরু হয়নি।’
রাজধানীর গাবতলী ও গুলিস্তানের একাধিক বাস কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকেই যাত্রীরা ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। আবার অনেক যাত্রীকে ঢাকা ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। তবে বাস কাউন্টারগুলোতে খুব বেশি যাত্রী চাপ নেই। অফিস খুলে যাওয়ায় আজ সকালে পরিবার নিয়ে ফরিদপুর থেকে এসেছেন চাকরিজীবী রাকিব হাসান। তিনি বলেন, ‘আজ অফিস খুলেছে। গতকালই আসার পরিকল্পনা ছিল। ভাবলাম সকাল সকাল ঢাকায় পৌঁছালে এখান থেকেই অফিসে যাব। ফ্যামিলিকে সিএনজিতে উঠিয়ে দিচ্ছি। ওরা বাসায় চলে যাবে।’
চুয়াডাঙ্গাগামী যাত্রী দোকানকর্মী মাহাবুব উদ্দিন বলেন, ‘ঈদে ব্যবসা ছিল। ঈদের দিন পর্যন্ত বেচাবিক্রি হয়েছে। তাই ঈদে বাড়ি যাইনি। এক দিন রেস্ট নিয়ে আজ যাচ্ছি।’
ঈদের দুই দিন মৌসুমি কসাইয়ের কাজ করে বাড়ি ফিরছেন রাজবাড়ীর রুহুল আমিন। তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের দিনই কিছু আয় করা যায়। কিছু টাকা হাতে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।
গুলিস্তানের জৈন্তা পরিবহন কাউন্টারের মোহাম্মদ সুজন বলেন, ‘যাত্রীর চাপ তেমন নেই। ঢাকায় ফিরছেও কম মানুষ, ঢাকা ছাড়ছেও কম মানুষ।’
এদিকে ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে জানা যায়, ভোর থেকেই লঞ্চে করে দক্ষিণাঞ্চলের অনেক যাত্রী ঢাকায় ফিরছেন। লঞ্চে করে অনেককে আবার ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে। তবে লঞ্চগুলোতে তেমন যাত্রী চাপ নেই। সদরঘাটে ভোলার ইলিশা ঘাটের লঞ্চ খুঁজছিলেন আল আমিন নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, ঢাকায় নিজ বাড়িতেই ঈদ কাটিয়েছেন। এখন ভোলায় যাবেন শ্বশুরবাড়িতে।
ঢাকা নদী বন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোররাত থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকায় ফিরেছে ৪৮টা লঞ্চ। আর ঢাকা থেকে ছেড়েছে ২৭টা লঞ্চ। ঈদের ছুটি শেষ অনেক যাত্রী ঢাকায় ফিরলেও, ঢাকা থেকে এখনো যাত্রীদের বড় একটি অংশ ছুটি কাটাতে গ্রামে যাচ্ছে, তবে শুক্রবার থেকে ফিরতি যাত্রীর চাপ শুরু হবে।’
ঈদুল আজহার তিন দিনের ছুটি (১৬, ১৭ ও ১৮ জুন) শেষ হলেও এখনো ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। ঈদের সময় কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করা অনেকেই ঢাকা ছাড়ছেন। আবার অনেকে ঘুরতে যাচ্ছেন পছন্দের গন্তব্যে। আজ বুধবার ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এমন চিত্র দেখা গেছে।
অনেকে আবার ছুটি শেষে ফিরতে শুরু করেছেন ঢাকায়। তবে ফিরতি যাত্রীর চাপ কম।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে টিকিট কাউন্টারে দেখা যায়, যাত্রীদের বেশ ভিড়। তাঁরা ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। কাউন্টারে রবিউল ইসলাম নামের এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হয়। রবিউল বলেন, তিনি ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁতে চাকরি করেন। ছুটি না পাওয়ায় ঈদে বাড়ি যেতে পারেননি। তাঁর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে।
বনলতা এক্সপ্রেসে রাজশাহী থেকে ঢাকায় ফিরেছেন সরকারি চাকরিজীবী তরিকুল ইসলাম রানা। তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে আজ প্রথম অফিস শুরু হচ্ছে। তাই তড়িঘড়ি করেই ঢাকা ফিরছি। ট্রেন ভ্রমণে কোনো অসুবিধা হয়নি।’
কমলাপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম স্টেশন ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ১২টা আন্তনগর ট্রেন ছেড়ে গেছে। লোকাল ট্রেন ছেড়েছে ১২টা। ঢাকায় এসেছে লোকাল ও আন্তনগর মিলিয়ে ১৩টা ট্রেন। ঢাকা থেকে যাত্রী যাওয়ার হার অনেক বেশি। আসার চাপ এখনো শুরু হয়নি।’
রাজধানীর গাবতলী ও গুলিস্তানের একাধিক বাস কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকেই যাত্রীরা ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। আবার অনেক যাত্রীকে ঢাকা ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। তবে বাস কাউন্টারগুলোতে খুব বেশি যাত্রী চাপ নেই। অফিস খুলে যাওয়ায় আজ সকালে পরিবার নিয়ে ফরিদপুর থেকে এসেছেন চাকরিজীবী রাকিব হাসান। তিনি বলেন, ‘আজ অফিস খুলেছে। গতকালই আসার পরিকল্পনা ছিল। ভাবলাম সকাল সকাল ঢাকায় পৌঁছালে এখান থেকেই অফিসে যাব। ফ্যামিলিকে সিএনজিতে উঠিয়ে দিচ্ছি। ওরা বাসায় চলে যাবে।’
চুয়াডাঙ্গাগামী যাত্রী দোকানকর্মী মাহাবুব উদ্দিন বলেন, ‘ঈদে ব্যবসা ছিল। ঈদের দিন পর্যন্ত বেচাবিক্রি হয়েছে। তাই ঈদে বাড়ি যাইনি। এক দিন রেস্ট নিয়ে আজ যাচ্ছি।’
ঈদের দুই দিন মৌসুমি কসাইয়ের কাজ করে বাড়ি ফিরছেন রাজবাড়ীর রুহুল আমিন। তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের দিনই কিছু আয় করা যায়। কিছু টাকা হাতে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।
গুলিস্তানের জৈন্তা পরিবহন কাউন্টারের মোহাম্মদ সুজন বলেন, ‘যাত্রীর চাপ তেমন নেই। ঢাকায় ফিরছেও কম মানুষ, ঢাকা ছাড়ছেও কম মানুষ।’
এদিকে ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে জানা যায়, ভোর থেকেই লঞ্চে করে দক্ষিণাঞ্চলের অনেক যাত্রী ঢাকায় ফিরছেন। লঞ্চে করে অনেককে আবার ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে। তবে লঞ্চগুলোতে তেমন যাত্রী চাপ নেই। সদরঘাটে ভোলার ইলিশা ঘাটের লঞ্চ খুঁজছিলেন আল আমিন নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, ঢাকায় নিজ বাড়িতেই ঈদ কাটিয়েছেন। এখন ভোলায় যাবেন শ্বশুরবাড়িতে।
ঢাকা নদী বন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোররাত থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকায় ফিরেছে ৪৮টা লঞ্চ। আর ঢাকা থেকে ছেড়েছে ২৭টা লঞ্চ। ঈদের ছুটি শেষ অনেক যাত্রী ঢাকায় ফিরলেও, ঢাকা থেকে এখনো যাত্রীদের বড় একটি অংশ ছুটি কাটাতে গ্রামে যাচ্ছে, তবে শুক্রবার থেকে ফিরতি যাত্রীর চাপ শুরু হবে।’
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনে আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে আরএমপি সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে জুন মাসের অপরাধ-সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
১ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরীকে যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে পারিনি। এটি আমাদের ব্যর্থতা। তিনি ২০ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নিজের জীবন দিয়েছেন। এ দেশে বাহিনী ছাড়া সিভিলিয়ানরা...
২৫ মিনিট আগেচলছে শ্রাবণ মাস। বর্ষা মৌসুম। এই সময়ে টানা বৃষ্টি, স্যাঁতসেঁতে মাঠঘাট আর আকাশে মেঘের ঘনঘটা—এমন চিত্রই আমাদের কাছে চিরচেনা। কিন্তু উত্তরবঙ্গের জেলা পঞ্চগড়ে আজ বুধবার একদমই অন্য রকম সকালের চিত্র দেখা গেছে। ভোরবেলা ঘুম ভাঙতেই দেখা গেল—চারদিক কুয়াশায় ঢাকা। ঘাসে ঘাসে শিশির, রাস্তায় ঝাপসা আলো, যেন শীতকাল
৩৫ মিনিট আগেনিহতের সহকর্মী ওবায়দুর রহমান জানান, আতিকুর রহমান কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর ইসলামপুর গ্রামে। রাজধানীর সবুজবাগ বাসাবো এলাকায় একটি মেসে থাকতেন। তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান গ্রামে থাকেন।
৪২ মিনিট আগে