Ajker Patrika

বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়ার ৪ বছরের কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শামীমা নূর পাপিয়া। ছবি: সংগৃহীত
শামীমা নূর পাপিয়া। ছবি: সংগৃহীত

যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত 8 এর বিচারক মঞ্জুরুল হাসান এই রায় দেন। পাশাপাশি পাপিয়াকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরও তিন মাস কারা ভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।

রায়ে পাপিয়ার স্বামী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মফিজুর রহমান সুমনসহ চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। অপর ৩ আসামি হচ্ছেন—সাব্বির খোন্দকার, শেখ তৈয়বা নুর ও জোবায়ের আলম।

জামিনে থাকা পাপিয়া আদালতে হাজির হননি। সময়ের আবেদন করেন তিনি। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন, তিনি এই মামলায় যত দিন জেল হাজতে ছিলেন তত দিন সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।

অন্যান্যদের মধ্যে জোবায়ের প্রথম থেকে পলাতক। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আসামি মফিজুর রহমান সুমন ও শেখ তৈয়বা নুরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্য কোনো মামলায় প্রয়োজন না থাকলে তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

২০২২ সালের ১১ মার্চ পাপিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। এর আগে ২০২১ সালের ২১ আগস্ট একই আদালত পাপিয়া-সুমন দম্পতি ও তাঁদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. ইব্রাহিম হোসেন তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ২১ মার্চ মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ আইনে গুলশান থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সিআইডির পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান।

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া, তাঁর স্বামী ও তাঁদের ২ সহযোগীকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১ এর একটি দল। তাঁদের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ মার্কিন ডলার, ৪২০ শ্রীলঙ্কান রুপি, ৩০১ ভারতীয় রুপি এবং ২টি ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে র‍্যাব।

পরে র‍্যাব সদস্যরা পাপিয়ার ফার্মগেটের বাসায় অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল,২টি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং কয়েকটি ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে।

পরে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২টি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর অধীনে বিমান বন্দর থানায় আরেকটি মামলা করা হয়। সব মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা হয়।

এর মধ্যে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তাঁর স্বামীকে অস্ত্র মামলায় ২৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। চার বছর কারাভোগের পর গত বছর ২৫ জুন তিনি জামিনে মুক্তি পান। তিনি নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্বে ১৮৬ দেশের মধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ মাত্র একটি: গবেষণা

ঝোপ বুঝে কোপ মারা বাংলাদেশে আর হবে না: রাষ্ট্রদূত আনসারী

একচেটিয়া ভাতা লেনদেনের সুবিধা হারাচ্ছে ‘নগদ’

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগের নাটক সাজানো হয়: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

আপনার ছেলেমানুষি মানায় না: প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে দুদু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত