Ajker Patrika

দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে গেটকিপারদের অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে গেটকিপারদের অনশন

গেটকিপারদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থায়ীকরণের দাবিতে আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মত অবস্থান কর্মসূচি ও আমরণ অনশন পালন করছে গেটকিপাররা। বাংলাদেশ রেলওয়ের মান উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের এক হাজার ৮৮৯ জন গেটকিপার এই কর্মসূচি পালন করছেন।

গতকাল রোববার সারা দিন কর্মসূচি পালন করে রাতে কমলাপুর রেলওয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করেন গেটকিপাররা। সোমবার সকাল থেকে আবারও অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পুরুষ এবং নারী গেটকিপাররা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

তাদের একটাই দাবি, রাজস্ব খাতে চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি না মানা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে আজও ঘোষণা দিয়েছেন।

অনশনে অংশ নেওয়া গেটকিপার প্রদীপ কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যদিও আমাদের প্রজেক্টের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমাদের কাজ স্থায়ী গেটকিপারদের মতোই করতে হয়। কিন্তু স্থায়ী গেটকিপাররা যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা, সে ধরনের কোনো সুযোগ-সুবিধা আমাদের নেই। আমরা যেখানে ডিউটি করি সেখানে থাকার কোনো জায়গা নেই, টয়লেট, টিউবওয়েল, বিদ্যুৎ কোনো কিছুর ব্যবস্থা নেই। এমন অবস্থায় ডিউটি করা অনেক কঠিন। কিন্তু ট্রেন চলাচল সচল রাখতে আমরা ডিউটি করে যাচ্ছি। তাই আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।’

ময়মনসিংহ এলাকায় গেটকিপারের দায়িত্ব পালন করা মজনু শাহ বলেন, ‘আমরা যা বেতন পাই, সেটাও নিয়মিত নয়। নিয়মিত বাড়ি যাওয়ার সুযোগ হয় না। ৬-৭ মাস পর পর বাড়ি যাই। পরিবারের ছোট বাচ্চার জন্য কিছু নিয়ে যেতে পারি না। আমরা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছি। গেটকিপারদের তো কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না। একই সঙ্গে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে যেসব সরঞ্জাম প্রয়োজন হয় সেগুলো দেওয়া হয় না। কিন্তু কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই গেটকিপারদের দায়ী করা হয়।’ 

কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে গেটকিপার রাজস্বকরণ বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের দপ্তর সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, ‘সোমবার সকাল পর্যন্ত রেলের কোনো কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে এখনো আলোচনা করতে আসেননি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি না আদায় হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাব।’

এদিকে, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন’ ও ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প দুটি ২০১৫ সালের ২৫ জুন একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। মূল প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণ এরই মধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। পাশাপাশি একনেক সভার নির্দেশনাক্রমে পূর্বাঞ্চলে ৮২৯ ও পশ্চিমাঞ্চলে ৮৫১ জনকে গেটকিপার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তাই প্রকল্প দুটির আওতায় সংস্থানকৃত গেটকিপারদের রাজস্ব খাতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত