Ajker Patrika

সিদ্ধিরগঞ্জে সওজের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২২, ১০: ১৪
সিদ্ধিরগঞ্জে সওজের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশের দুই পাশ বাড়ানোর কাজ চলছে। তবে এই সময়ে মহাসড়কের দুই পাশ বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই বলে অভিযোগ করছেন এখানকার বাসিন্দারা। তা ছাড়া এই সড়কের নির্মাণকাজেও রয়েছে প্রচুর অনিয়মের অভিযোগ।

এদিকে এই রাস্তার কাজ তদারকিতে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। কিন্তু সওজের কর্মকর্তারা বলছেন, অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই, খরচ কমানোর জন্য কিছু কিছু জায়গায় এভাবে কাজ করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নারায়ণগঞ্জ সওজের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকার বছর বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে, কিন্তু সওজের কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এই রাস্তায় নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের ফলে কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তাটি দেবে যাবে, তারপর দেখা যাবে আবার এই রাস্তা ঠিক করা হচ্ছে। সরকারি বরাদ্দের অবমূল্যায়নের কারণে দুর্ভোগের শিকার হতে হয় জনগণকে।

আজ মঙ্গলবার সরেজমিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, ময়লা, পলিথিনসহ নিম্নমানের মাটিযুক্ত বালু দেওয়া হচ্ছে। এতে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করতে দেখা গেছে। রাস্তার কাজে নারায়ণগঞ্জ জনপথ বিভাগের (সওজের) কাউকে এসে তদারক করতে দেখা যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদানিনগর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এখন যেই অংশটুকু বৃদ্ধি করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এই সময়ে এভাবে টাকা নষ্ট করছে সওজের লোকেরা। মহাসড়কের এই অংশে এখন কোনো জ্যাম থাকে না, সব সময় গাড়ি চলছে। তাহলে কেন এই দিক দিয়ে এই সড়কের দুই পাশ বৃদ্ধি করা হচ্ছে?’

আরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এখানে সড়কের কাজের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ সওজের কর্মকর্তাদের কোনো তদারক না থাকায় নিম্নমানের ইট-বালু ও কংক্রিট দিয়ে কাজ শেষ করার পাঁয়তারা চলছে।’

আরিফুল আরও বলেন, ‘এই মহাসড়কে অনেক ভারী ভারী যানবাহন চলাফেরা করে। যদি এসব নিম্নমানের কাঁচামাল দিয়ে কাজ শেষ করে, তাহলে কয়েক মাসের মধ্যে এই সড়ক দেবে যাবে।’

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সওজের নির্বাহী পরিচালক শাহানা ফেরদৌস বলেন, ‘আমাদের খরচ কমানোর জন্য কিছু কিছু জায়গায় কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে পুরোনো ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ইটগুলো আমাদের কোনো-না-কোনো জায়গা থেকে আনা হয়েছে। সুতরাং, এতে নিম্নমান ভাবার কোনো সুযোগ নেই।’ 

শাহানা ফেরদৌস আরও বলেন, ‘সওজের কোনো কাজেই দুর্নীতির সুযোগ নেই। সওজের কোনো কর্মকর্তা যদি দুর্নীতি করেন বা জড়িত থাকেন, তাহলে অবশ্যই আমাকে বলবেন, আমি তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত