Ajker Patrika

চিত্রনায়িকা শিমু খুনের ঘটনায় সাক্ষ্য দিলেন দুই গৃহকর্মী 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিত্রনায়িকা শিমু খুনের ঘটনায় সাক্ষ্য দিলেন দুই গৃহকর্মী 

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় স্বামী খন্দকার সাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তাঁর বন্ধু এস এম ওয়াই আবদুল্লাহ ফরহাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন শিমুর বাসার দুই গৃহকর্মী।

আজ বুধবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাঁরা সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য দেওয়া দুই গৃহকর্মীর নাম মোছাম্মৎ শান্তি বেগম ও মোসাম্মৎ আমেনা বেগম। 

আজ আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাঁদের জেরা করেন। পরে বিচারক মো. শফিকুল ইসলাম আগামী ২ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি নোবেল ও শিমুর মেয়ে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। গত ২৩ জানুয়ারি একই আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী শিমুর ভাই হারুন অর রশিদ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত চারজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

আজ সাক্ষ্য গ্রহণের সময় খন্দকার সাখাওয়াত আলীম ও তাঁর বন্ধু আবদুল্লাহ ফরহাদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গত বছর ২৯ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। এতে হয়, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে চিত্রনায়িকা শিমুকে খুন করেন তাঁর স্বামী নোবেল। আর এই খুনে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেন তাঁর বন্ধু ফরহাদ।

অভিযোগপত্র আরও বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের আলামত নষ্ট করতে নোবেলকে সহায়তাও করেছেন তাঁর বন্ধু ফরহাদ। অভিনেত্রী শিমু কলাবাগানের বাসা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর গত বছর ১৭ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে তাঁর বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর শিমুর ভাই হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় তাঁর স্বামী নোবেল ও তাঁর বন্ধু ফরহাদসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়। গ্রেপ্তার দুজন পৃথকভাবে আদালতে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে নোবেল বলেন, ঝগড়ার পর তিনি তাঁর স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। নোবেল সারা রাত লাশের সঙ্গেই ছিলেন এবং পরদিন সকালে তাঁর বন্ধু ফরহাদকে তাঁর গ্রিন রোডের বাড়িতে ডাকেন। পরে বন্ধুর সহায়তায় নোবেল কেরানীগঞ্জে লাশ ফেলে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত