জাবি প্রতিনিধি
নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলের ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। গতকাল রোববার রাতে চুরি, হেনস্তা ও নিরাপত্তাহীনতার ঘটনায় বেগম সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল ও বিক্ষোভ করেন।
এদিকে ‘চুরির ঘটনায় মর্মাহত হয়ে প্রতিবাদস্বরূপ’ পদত্যাগ করেছেন হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক মোতাহার হোসেন।
সুফিয়া কামাল হলের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সুফিয়া কামাল হল, শেখ হাসিনা হল ও খালেদা জিয়া হলে ঢুকে ছাত্রীদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও শারীরিক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবক নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করে। একইদিন বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য কয়েকটি হলেও একই ধরনের ঘটনার কথা জানা যায়।’
রাতে হলের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি উত্থাপন করে। দাবিগুলো হলো—হলের সীমানা প্রাচীরের উচ্চতা কমপক্ষে ১০ ফুট বাড়াতে হবে, পর্যাপ্ত সিসিটিভি লাগাতে হবে এবং সব সময় মনিটরিংয়ের জন্য এক বা দুজন লোক রাখতে হবে, হলের চারপাশের মাটি ভরাট করতে হবে এবং ফ্লাড লাইট লাগাতে হবে, সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা গার্ডদের ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, হলের পেছন দিকেও হল এটেনডেন্ট রাখতে হবে, দুজন হল সুপারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং নিচতলার ডাইনিং ও গণ রুমের জানালার পর্দা নিশ্চিত করতে হবে।
আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী ঋতু রাবেয়া বলেন, ‘আমরা মেয়েদের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হিসেবে জানি। কিন্তু ইদানীং একাধিক হলে হয়রানির ঘটনা প্রমাণ করে, প্রশাসন কতটা অপারগ। আমার কতটা অনিরাপদ। আমরা চাই অবিলম্বে হলের সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা ও গেট জোরদার করা। সেই সঙ্গে আমরা হল সুপারের কাছ থেকে সহযোগিতামূলক আচরণ চাই।’
এদিকে এ ঘটনার বিষয়ে অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, ‘আমি ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর হলের পূর্ব পাশের সীমানা প্রাচীরের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন জানাই। একই সঙ্গে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকৌশল অফিসে হ্যালোজেন বাল্ব লাগানোর আবেদন করি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলের আবেদন বাস্তবায়ন করেনি। যার কারণেই চুরি ও নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা বাড়ছে বলে ছাত্রীরা উল্লেখ করেছেন। এসব ঘটনায় মর্মাহত হয়ে প্রতিবাদস্বরূপ আমি পদত্যাগ করেছি।’
পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘বাজেটের কারণে অনেক সময় বিভিন্ন কাজ উপযুক্ত সময়ে করা কঠিন হয়ে পড়ে। সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করেছেন। তাঁর স্থলে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক কে এম আককাছ আলীকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হলের প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। তদন্ত সাপেক্ষে খুব দ্রুতই অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া তিনটি হলের জন্য তিনটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে উত্থাপিত সমস্যাগুলো সমাধান করে কমিটিগুলো রিপোর্ট দেবে। এ ছাড়া প্রতিটি হলের প্রাচীর তারকাটাসহ উঁচু করা, হলে সার্চ লাইট লাগানোসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা দ্রুততর সময়ের মধ্যে কার্যকর করা হবে।’
এদিকে নিরাপত্তাহীনতা, চুরি ও আতঙ্ক এবং ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনমন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, ‘ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ও বিচারহীনতার সুযোগ নিয়ে হলের কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে হলের নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হেনস্তা করা, রুমের জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে চুরি করা, দুষ্কৃতকারীর নিরাপদে আবার বেরিয়ে যেতে পারার ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিশৃঙ্খলারই পরিচায়ক।’
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘যদি পূর্বের কোনো একটি ঘটনারও যথাযথ তদন্ত ও বিচার হতো, তবে ঘটনা এই পর্যন্ত পৌঁছাত না। এখান থেকে আমরা অনুমান ও আশঙ্কা করতে বাধ্য হচ্ছি যে এটি নেহাতই কিছু চোরের কারসাজি নয়, এর সঙ্গে একটি বড় সিন্ডিকেটের, এমনকি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক ব্যক্তিদেরও সংশ্লিষ্টতা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’
নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলের ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। গতকাল রোববার রাতে চুরি, হেনস্তা ও নিরাপত্তাহীনতার ঘটনায় বেগম সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল ও বিক্ষোভ করেন।
এদিকে ‘চুরির ঘটনায় মর্মাহত হয়ে প্রতিবাদস্বরূপ’ পদত্যাগ করেছেন হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক মোতাহার হোসেন।
সুফিয়া কামাল হলের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সুফিয়া কামাল হল, শেখ হাসিনা হল ও খালেদা জিয়া হলে ঢুকে ছাত্রীদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও শারীরিক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবক নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করে। একইদিন বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য কয়েকটি হলেও একই ধরনের ঘটনার কথা জানা যায়।’
রাতে হলের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি উত্থাপন করে। দাবিগুলো হলো—হলের সীমানা প্রাচীরের উচ্চতা কমপক্ষে ১০ ফুট বাড়াতে হবে, পর্যাপ্ত সিসিটিভি লাগাতে হবে এবং সব সময় মনিটরিংয়ের জন্য এক বা দুজন লোক রাখতে হবে, হলের চারপাশের মাটি ভরাট করতে হবে এবং ফ্লাড লাইট লাগাতে হবে, সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা গার্ডদের ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, হলের পেছন দিকেও হল এটেনডেন্ট রাখতে হবে, দুজন হল সুপারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং নিচতলার ডাইনিং ও গণ রুমের জানালার পর্দা নিশ্চিত করতে হবে।
আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী ঋতু রাবেয়া বলেন, ‘আমরা মেয়েদের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হিসেবে জানি। কিন্তু ইদানীং একাধিক হলে হয়রানির ঘটনা প্রমাণ করে, প্রশাসন কতটা অপারগ। আমার কতটা অনিরাপদ। আমরা চাই অবিলম্বে হলের সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা ও গেট জোরদার করা। সেই সঙ্গে আমরা হল সুপারের কাছ থেকে সহযোগিতামূলক আচরণ চাই।’
এদিকে এ ঘটনার বিষয়ে অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, ‘আমি ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর হলের পূর্ব পাশের সীমানা প্রাচীরের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন জানাই। একই সঙ্গে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকৌশল অফিসে হ্যালোজেন বাল্ব লাগানোর আবেদন করি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলের আবেদন বাস্তবায়ন করেনি। যার কারণেই চুরি ও নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা বাড়ছে বলে ছাত্রীরা উল্লেখ করেছেন। এসব ঘটনায় মর্মাহত হয়ে প্রতিবাদস্বরূপ আমি পদত্যাগ করেছি।’
পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘বাজেটের কারণে অনেক সময় বিভিন্ন কাজ উপযুক্ত সময়ে করা কঠিন হয়ে পড়ে। সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করেছেন। তাঁর স্থলে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক কে এম আককাছ আলীকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হলের প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। তদন্ত সাপেক্ষে খুব দ্রুতই অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া তিনটি হলের জন্য তিনটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে উত্থাপিত সমস্যাগুলো সমাধান করে কমিটিগুলো রিপোর্ট দেবে। এ ছাড়া প্রতিটি হলের প্রাচীর তারকাটাসহ উঁচু করা, হলে সার্চ লাইট লাগানোসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা দ্রুততর সময়ের মধ্যে কার্যকর করা হবে।’
এদিকে নিরাপত্তাহীনতা, চুরি ও আতঙ্ক এবং ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনমন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, ‘ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ও বিচারহীনতার সুযোগ নিয়ে হলের কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে হলের নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হেনস্তা করা, রুমের জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে চুরি করা, দুষ্কৃতকারীর নিরাপদে আবার বেরিয়ে যেতে পারার ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিশৃঙ্খলারই পরিচায়ক।’
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘যদি পূর্বের কোনো একটি ঘটনারও যথাযথ তদন্ত ও বিচার হতো, তবে ঘটনা এই পর্যন্ত পৌঁছাত না। এখান থেকে আমরা অনুমান ও আশঙ্কা করতে বাধ্য হচ্ছি যে এটি নেহাতই কিছু চোরের কারসাজি নয়, এর সঙ্গে একটি বড় সিন্ডিকেটের, এমনকি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক ব্যক্তিদেরও সংশ্লিষ্টতা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’
চট্টগ্রাম নগরীর একটি কনভেনশন হলে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফখরুল আনোয়ার আটক হয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর ভাতিজি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (সাবেক এমপি) আটক হয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৫ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে পচা মিষ্টির রসের সঙ্গে ক্ষতিকর রং ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শিশুদের প্রিয় খাবার সন্দেশ ও টফি; যা প্যাকেটজাত করে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয় বিভিন্ন জেলায়। অর্থ লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) জিপিএ-৫ না পেয়ে হতাশ হয়েছিলেন ইমা আক্তার। তারপর অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে বাকি সব পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এবার তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহে পিকনিকে গিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বাগেরহাট সদরের চুলকাঠি এলাকার শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অহনা ইসলাম মৌ, ৪র্থ শ্রেণির আম্মার, উজান কর্মকার, ১ম শ্রেণির মায়াং
৬ ঘণ্টা আগে