Ajker Patrika

‘ক্যাম্পাস ছেড়েছি অনেক আগেই, কিন্তু ক্যাম্পাসের প্রতি মায়া কাটেনি’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২২, ১৫: ৪৭
‘ক্যাম্পাস ছেড়েছি অনেক আগেই, কিন্তু ক্যাম্পাসের প্রতি মায়া কাটেনি’

সত্তরের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শেষ করেছেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাহিদা বেগম। মিলনমেলা অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে এসে ফেলে যাওয়া স্মৃতিচারণ করছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। সাহিদা বেগম বলেন, ‘ক্যাম্পাস ছেড়েছি অনেক আগেই, কিন্তু ক্যাম্পাসের প্রতি মায়া কাটেনি। যখনই সময়-সুযোগ পাই, ক্যাম্পাসে চলে আসি। আজকে শতবর্ষের মিলনমেলায় এসে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় খুবই আনন্দ অনুভব করছি। মূলত বন্ধুদের দেখার সুযোগটাকে হারাতে চাইনি।’

আজ শনিবার সাহিদা বেগমের মতো এমন হাজার হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী মিলিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য শতবর্ষের মিলনমেলার আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। 

আয়োজনের শুরুতে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অ্যালামনাই ও অতিথিগণ প্রবেশ শুরু করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সকাল ১০টায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ ও শোক প্রস্তাবের মাধ্যমে শুরু হয়। ১০টা ৫০ মিনিটে প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের মোড়ক উন্মোচন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ শিল্পীর ১০০ ছবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন হয়। এরপর অতিথিগণ বক্তব্য রাখেন। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ‘বাংলাদেশের পদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন অতিথিরা। 

আয়োজনের অংশ হিসেবে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ গুণীজনকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হবে। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হবে। এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন তার একক সংগীত পরিবেশন করবেন বলে জানা গেছে। 

মিলনমেলায় অংশ নিতে আসা প্রাক্তন শিক্ষার্থী আশফাক হোসেন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের আবেগের প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা সুখানুভূতি দেয়। যৌবনের বড় সময় এখানকার মাটি আর মানুষের সঙ্গে কাটিয়েছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের মিলনমেলায় যোগদান করতে পেরে ইতিহাসের অংশ হলাম।’ 

মিলনমেলার এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, ‘এখানে যতটুকু না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে আসা, তার চাইতে বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন হিসেবে আসা। ব্যাচের বন্ধুবান্ধব, সিনিয়র আর জুনিয়রদের সঙ্গে নতুন করে দেখা হবে, নতুনভাবে তাঁদের জানতে পারব—এ সুযোগ হারাতে চাইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে আসার সুযোগ থাকলেও প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে রেজিস্ট্রেশনও কিন্তু করেছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জমকালো দোতলা বাড়িতে দূতাবাস, সামনে সারি সারি কূটনৈতিক গাড়ি—৭ বছর পর জানা গেল ভুয়া

বেনজীরের এক ফ্ল্যাটেই ১৯ ফ্রিজ, আরও বিপুল ব্যবহার সামগ্রী উঠছে নিলামে

অবশেষে রাজি ভারত, ‘জিতেছে বাংলাদেশ’

ছেলের লাশ পেতে পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে

ই-মেইলে একযোগে ৫৪৭ ব্যাংক কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত, পুনর্বহালের দাবি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত