Ajker Patrika

বাড্ডায় শিশুকে ধর্ষণের পর খুনের মামলার একজনকে মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাড্ডায় শিশুকে ধর্ষণের পর খুনের মামলার একজনকে মৃত্যুদণ্ড

শিশুরা যদি তাদের আশপাশের প্রতিবেশীদের কাছে নিরাপদ না থাকে তা সমাজের জন্য অশনিসংকেত। রাজধানীর বাড্ডায় সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগে করা মামলার রায় দিয়ে আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ কথা বলেন।

রায়ে শিপন নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামি শিপন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মতে হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে হবে। আসামি ইচ্ছা করলে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বলে ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক আরও বলেন, আসামি একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে নিজের পাশবিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুর জীবনে কালিমা লেপন করেছেন। শুধু তাই নয়, তার জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছেন। আসামি ক্ষমার অযোগ্য কাজ করেছেন। আসামির উক্ত কাজের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ৯ (২) ধারায় বর্ণিত সর্বোচ্চ শাস্তি তার প্রাপ্য। আর এ কারণেই তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। 

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী ইশতিয়াক আলম জনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। তাকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই দুপুরে কাজ থেকে আসামি শিপন বাড্ডায় তার ভাড়া বাসায় আসেন। এ সময় ভুক্তভোগী শিশুকে দেখেন তার বাসার সামনে। তখন আসামি ভুক্তভোগী শিশুকে ভাত খাওয়ান। খাওয়া শেষে করেন ধর্ষণ। ভুক্তভোগী শিশু চিৎকার করলে তার মুখ ও গলা চেপে ধরে রাখেন। শিশু নিস্তেজ হয়ে পড়লে আসামি তাকে বাথরুমে ফেলে রেখে চলে যান। পরে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন ৩১ জুলাই ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মেহেদী হাসান মামলা করেন বাড্ডা থানায়। 

২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই রাশেদুল আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত