গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে পৃথক কারাগারের দুই কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে তাঁদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে একজন গাজীপুর জেলা কারাগার ও অপরজন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এ বন্দী ছিলেন।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা আক্তার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গাজীপুর জেলা কারাগারের কয়েদির নাম ওমর ফারুক (৩৩)। তিনি জেলার কাপাসিয়া থানাধীন টোক ইউনিয়নের বীর উজ্জলী গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে।
আর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১-এর কয়েদির নাম দুলাল উদ্দিন (৫২)। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের কেন্দুয়াব গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে।
কারাগার সূত্র জানায়, ওমর ফারুক ২০১৯ সালের কাপাসিয়া থানার একটি মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সম্প্রতি তিনি কারাগারের ভেতরে কারা কর্মকর্তাকে মারধরের আরও একটি মামলার আসামি ছিলেন। অপর দিকে, দুলাল উদ্দিন কাপাসিয়া থানার একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-১-এ বন্দী ছিলেন।
গাজীপুর কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের জানান, কয়েদি ওমর ফারুককে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি গাজীপুর কারাগারে আনা হয়। ২০১৯ সালে তাঁকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন গাজীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
গত ২৯ জানুয়ারি কয়েদি ওমর ফারুক গাজীপুর জেলা কারাগারের সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর মো. ফয়েজ উদ্দিনকে কেইস টেবিলে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে গাজীপুর মহানগর পুলিশ সদর মেট্রো থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ওমর ফারুক গতকাল রাত আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে কারাগারের অভ্যন্তরে দক্ষিণ পাশে ১ নম্বর সেলে বন্দী থাকা অবস্থায় গরাদের সঙ্গে কম্বল পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। কর্তব্যরত কারাগারের কর্মচারীরা ঘটনাটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে সেলের তালা খুলে তাঁকে ফাঁস মুক্ত করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্মাসিস্টকে খবর দেন।
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে চিকিৎসার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে, তাঁর মৃত্যুর সনদে কর্তব্য চিকিৎসক ব্রড ডেথ বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আজ (মঙ্গলবার) কারা উপমহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেল সুপার আল মামুন, কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার সর্বোত্তম দেওয়ান ও কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ ইব্রাহীম। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অপর দিকে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এ সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি দুলাল উদ্দিন গত রাত ১১টায় বুকের ব্যথা অনুভব করেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এর জেলার তরিকুল ইসলাম বলেন, দুলাল মিয়া কাপাসিয়া থানার একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। বেশ কয়েকবার তাঁকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। সর্বশেষ তিনি গত ১৮ জানুয়ারি এই কারাগারে আসেন। গতকাল রাত ১১টার দিকে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে প্রথমে কারা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা আক্তার বলেন, দুই কয়দিন মৃত্যুর পর তাদের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর যদি প্রয়োজন হয় এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গাজীপুরে পৃথক কারাগারের দুই কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে তাঁদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে একজন গাজীপুর জেলা কারাগার ও অপরজন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এ বন্দী ছিলেন।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা আক্তার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গাজীপুর জেলা কারাগারের কয়েদির নাম ওমর ফারুক (৩৩)। তিনি জেলার কাপাসিয়া থানাধীন টোক ইউনিয়নের বীর উজ্জলী গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে।
আর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১-এর কয়েদির নাম দুলাল উদ্দিন (৫২)। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের কেন্দুয়াব গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে।
কারাগার সূত্র জানায়, ওমর ফারুক ২০১৯ সালের কাপাসিয়া থানার একটি মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সম্প্রতি তিনি কারাগারের ভেতরে কারা কর্মকর্তাকে মারধরের আরও একটি মামলার আসামি ছিলেন। অপর দিকে, দুলাল উদ্দিন কাপাসিয়া থানার একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-১-এ বন্দী ছিলেন।
গাজীপুর কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের জানান, কয়েদি ওমর ফারুককে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি গাজীপুর কারাগারে আনা হয়। ২০১৯ সালে তাঁকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন গাজীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
গত ২৯ জানুয়ারি কয়েদি ওমর ফারুক গাজীপুর জেলা কারাগারের সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর মো. ফয়েজ উদ্দিনকে কেইস টেবিলে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে গাজীপুর মহানগর পুলিশ সদর মেট্রো থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ওমর ফারুক গতকাল রাত আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে কারাগারের অভ্যন্তরে দক্ষিণ পাশে ১ নম্বর সেলে বন্দী থাকা অবস্থায় গরাদের সঙ্গে কম্বল পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। কর্তব্যরত কারাগারের কর্মচারীরা ঘটনাটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে সেলের তালা খুলে তাঁকে ফাঁস মুক্ত করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্মাসিস্টকে খবর দেন।
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে চিকিৎসার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে, তাঁর মৃত্যুর সনদে কর্তব্য চিকিৎসক ব্রড ডেথ বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আজ (মঙ্গলবার) কারা উপমহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেল সুপার আল মামুন, কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার সর্বোত্তম দেওয়ান ও কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ ইব্রাহীম। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অপর দিকে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এ সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি দুলাল উদ্দিন গত রাত ১১টায় বুকের ব্যথা অনুভব করেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এর জেলার তরিকুল ইসলাম বলেন, দুলাল মিয়া কাপাসিয়া থানার একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। বেশ কয়েকবার তাঁকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। সর্বশেষ তিনি গত ১৮ জানুয়ারি এই কারাগারে আসেন। গতকাল রাত ১১টার দিকে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে প্রথমে কারা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা আক্তার বলেন, দুই কয়দিন মৃত্যুর পর তাদের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর যদি প্রয়োজন হয় এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মো. আব্দুল হালিম মোল্লা (৬১) নামের এক বৃদ্ধের জিহ্বা কর্তনের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে রোববার সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রামের মাহবুবের
৮ মিনিট আগেগাজীপুরে রহস্যজনক বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মহানগরীর গাছা থানাধীন হারিকেন ডেগেরচালা এলাকায় ওই বিস্ফোরণ ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। দগ্ধরা হলেন মো. হারিজ (৫৫), তাঁর স্ত্রী আয়শা খাতুন ও তাঁদের সন্তান মাইদুল।
১৮ মিনিট আগেখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রায় দুই মাস আগে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী বডি সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় আগামী ৪ মে থেকে...
২০ মিনিট আগেফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে মিনি বাস ফারাবিয়া এক্সপ্রেস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাতজন নিহতের ঘটনায় বাসচালক সুমন গাজীর (২৮) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে আদালতে নেওয়া হয়।
৪১ মিনিট আগে