Ajker Patrika

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রাতে ডাকাতি, লুট হওয়া মালামালসহ গ্রেপ্তার ৫

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রাতে ডাকাতি, লুট হওয়া মালামালসহ গ্রেপ্তার ৫

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রাতে কটিয়াদীতে ডাকাতির ঘটনায় একজন জুয়েলারি মালিকসহ ৫ জনকে লুট হওয়া মালামালসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কটিয়াদী, পাকুন্দিয়া ও পার্শ্ববর্তী জেলার গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে কটিয়াদী মডেল থানা-পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—কটিয়াদী উপজেলার পাইকসা এলাকার মো. আলী (৩০), মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (৫০), কটিয়াদী উপজেলার সাটিয়াদী এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে বাচ্চু (৪০), একই এলাকার আ. কাদিরের ছেলে সুলতান (২৮) ও পাকুন্দিয়া উপজেলার তালদশি এলাকার হরিপদ সাহার ছেলে জুয়েলারি মালিক বাপন সাহা (৩৫)। 

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘গত ২৪ অক্টোবর (সোমবার) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কটিয়াদী উপজেলার উত্তর ঘিলাকান্দি এলাকার মো. মাসুদ রানা আকন্দের (৪৬) বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১৮ লাখ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায় দস্যু দল। ঘটনার রাতেই পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে বাদী মো. মাসুদ রানা আকন্দ ও তাঁর পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৬ অক্টোবর (বুধবার) এ ঘটনায় কটিয়াদী উপজেলার উত্তর ঘিলাকান্দি এলাকার সাদ্দাম (২২) ও মাহফুজকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়।’ 

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে বেড়িয়ে আসে এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের নাম। বাদীর পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার রাতে ৪ জন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢোকে এবং বাড়ির সামনে আরও কয়েকজন অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এর মধ্যে এজাহারনামীয় আসামিদের বাদীর পরিবারের সদস্যরা চিনতে পারেন।’ 

পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বর্ণনা অনুযায়ী বাপন সাহার দোকান থেকে এক জোড়া স্বর্ণের দুল, দুটি স্বর্ণের বালা, একটি সোনার চেন, তিনটি সোনার আংটি ও সোনা বিক্রির নগদ ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতির সঙ্গে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম, হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার, কটিয়াদী থানার ওসি (তদন্ত) কাজী মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী ও মামলার তদন্তকারী উপপরিদর্শক (এসআই) দুলাল মিয়া প্রমুখ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত