সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় সবজির পাইকারি বাজার বসে বাজিতপুরের পিরিজপুরে। পাইকারি বাজারটি সপ্তাহের সাত দিন বসলেও শুক্র ও সোমবার আধা বেলা বসে কাঁচা কলার হাট। সপ্তাহে দুই দিন ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলা কলার এই হাটে শত শত মানুষ জড়ো হয়। পাইকারি এই হাটে সপ্তাহের দুই দিনে কোটি টাকার কলা বেচাকেনা হয়।
এই হাটে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরি, চরপাইকসা, চরপুখিয়া, লোহাজুরি ফেকামারা, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, নিকলী ও করিমগঞ্জের পাশাপাশি আশপাশের অনেক এলাকার চাষিরা কলা বিক্রি করেন। এর মধ্যে নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার ক্ষিদিরপুর, রামপুর, চালাকচর, মধুপুর, পোড়াদিয়া এবং গাজীপুরের কাপাসিয়ার খিরাটি, বড়চাপা থেকেও কলাচাষিরা এই বাজারে কলা বিক্রি করতে আসেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরাও এখান থেকে কলা কিনতে আসেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর মোট কলা চাষ হয়েছে ৮৯০ হেক্টর জমিতে। কলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ৭৭৪ টন। এর মধ্যে বেশি পরিমাণ কলা চাষ হয় বাজিতপুরে। এ বছরও সবচেয়ে বেশি কলা চাষ হয়েছে বাজিতপুর উপজেলায়। বাজিতপুরে ২০০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়েছে। এরপর পাশের উপজেলা কটিয়াদীতে ১৬০ হেক্টর ও কুলিয়ারচরে ১৪৫ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। এ ছাড়া করিমগঞ্জ ৭৬ হেক্টর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৬৫ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করেছেন কৃষকেরা।
প্রতি মাসে ঐতিহ্যবাহী এই কলার হাট থেকে সরকারি কোষাগারে জমা হয় ১ কোটি ৩ লাখ টাকা। হাটের বয়স প্রায় ৪০ বছর। প্রতি ছড়ি কলা কৃষকেরা বিক্রি করলে সরকারকে খাজনা দেন ২ টাকা। আর যারা কলা কেনে, তারাও প্রতি কলার ছড়িতে খাজনা দেয় ২ টাকা। বাজারটি একটি নির্দিষ্ট নিয়মকানুনের মধ্যে চলে। খাজনার পরিমাণ কম হওয়ায় এই হাটে স্বচ্ছন্দে কলা বিক্রি করেন চাষিরা। মহাসড়কের পাশেই হাটটি হওয়ায় পরিবহনের জন্যও বাড়তি কোনো ভোগান্তি বা ঝামেলায় পড়তে হয় না।
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বিন্নবাদ এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, ‘দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে এই বাজার থেকে আড়তে কলা কিনে নিয়ে যাই। এখানে সপ্তাহে দুই দিন কলা কিনতে আসি। খুব ভোর থেকে এই হাটে কলা নিয়ে আসেন চাষিরা। আমি আগের দিন মাঝরাতেই গাড়ি নিয়ে রওনা হয়ে সকালে এই হাটে আসি। বেশি পরিমাণে কলা কিনে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছি।’
কুলিয়ারচর উপজেলার আগরপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ এলাকার মো. জমশেদ আলম কলার চাষ করেন ১০ বছর ধরে। অন্যান্য ফসল চাষের পাশাপাশি কলা চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। নিয়মিত সবরি কলা চাষ করছেন। তিনি বলেন, ‘পিরিজপুর হাটে ভালো দামে সবরি কলা, সাগর কলা, কবরী কলা, চিনিচম্পা কলা, আনাজি কলাসহ কয়েক জাতের দেশি কলা বিক্রি হয়। কোনো হয়রানি ছাড়াই এই হাটে স্বচ্ছন্দে কলা বেচাকেনা করতে পারি।’
পিরিজপুর বাজার সমিতির সভাপতি আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, পিরিজপুর একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার এবং কিশোরগঞ্জের সবচেয়ে বড় সবজির পাইকারি বাজার। কলার এই বাজার প্রায় ৪০ বছর ধরে প্রতি সপ্তাহের সোম ও শুক্রবার বসে। ভোর ৫টা থেকে শুরু হয়ে দুপুরের মধ্যে কলা বেচাকেনা শেষ হয়ে যায়। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারেরা এই বাজারে আসে। সপ্তাহে দুই দিন এই বাজারে কোটি টাকার ওপরে বিক্রি হয়। এই বাজারে দালালদের দৌরাত্ম্য নেই বিধায় ক্রেতারা সহজে কলা কিনতে পারেন। অন্যান্য বাজারের তুলনায় খাজনাও কম। তাই পিরিজপুর কাঁচা সবজি ও কলার পাইকারি বাজারের প্রতি মানুষের আগ্রহ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এ হাটে প্রচুর বেচাকেনা হয়। প্রতিবছরই হাটটির উন্নয়নে কাজ করা হয়। এ হাটের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় সবজির পাইকারি বাজার বসে বাজিতপুরের পিরিজপুরে। পাইকারি বাজারটি সপ্তাহের সাত দিন বসলেও শুক্র ও সোমবার আধা বেলা বসে কাঁচা কলার হাট। সপ্তাহে দুই দিন ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলা কলার এই হাটে শত শত মানুষ জড়ো হয়। পাইকারি এই হাটে সপ্তাহের দুই দিনে কোটি টাকার কলা বেচাকেনা হয়।
এই হাটে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরি, চরপাইকসা, চরপুখিয়া, লোহাজুরি ফেকামারা, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, নিকলী ও করিমগঞ্জের পাশাপাশি আশপাশের অনেক এলাকার চাষিরা কলা বিক্রি করেন। এর মধ্যে নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার ক্ষিদিরপুর, রামপুর, চালাকচর, মধুপুর, পোড়াদিয়া এবং গাজীপুরের কাপাসিয়ার খিরাটি, বড়চাপা থেকেও কলাচাষিরা এই বাজারে কলা বিক্রি করতে আসেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরাও এখান থেকে কলা কিনতে আসেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর মোট কলা চাষ হয়েছে ৮৯০ হেক্টর জমিতে। কলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ৭৭৪ টন। এর মধ্যে বেশি পরিমাণ কলা চাষ হয় বাজিতপুরে। এ বছরও সবচেয়ে বেশি কলা চাষ হয়েছে বাজিতপুর উপজেলায়। বাজিতপুরে ২০০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়েছে। এরপর পাশের উপজেলা কটিয়াদীতে ১৬০ হেক্টর ও কুলিয়ারচরে ১৪৫ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। এ ছাড়া করিমগঞ্জ ৭৬ হেক্টর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৬৫ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করেছেন কৃষকেরা।
প্রতি মাসে ঐতিহ্যবাহী এই কলার হাট থেকে সরকারি কোষাগারে জমা হয় ১ কোটি ৩ লাখ টাকা। হাটের বয়স প্রায় ৪০ বছর। প্রতি ছড়ি কলা কৃষকেরা বিক্রি করলে সরকারকে খাজনা দেন ২ টাকা। আর যারা কলা কেনে, তারাও প্রতি কলার ছড়িতে খাজনা দেয় ২ টাকা। বাজারটি একটি নির্দিষ্ট নিয়মকানুনের মধ্যে চলে। খাজনার পরিমাণ কম হওয়ায় এই হাটে স্বচ্ছন্দে কলা বিক্রি করেন চাষিরা। মহাসড়কের পাশেই হাটটি হওয়ায় পরিবহনের জন্যও বাড়তি কোনো ভোগান্তি বা ঝামেলায় পড়তে হয় না।
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বিন্নবাদ এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, ‘দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে এই বাজার থেকে আড়তে কলা কিনে নিয়ে যাই। এখানে সপ্তাহে দুই দিন কলা কিনতে আসি। খুব ভোর থেকে এই হাটে কলা নিয়ে আসেন চাষিরা। আমি আগের দিন মাঝরাতেই গাড়ি নিয়ে রওনা হয়ে সকালে এই হাটে আসি। বেশি পরিমাণে কলা কিনে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছি।’
কুলিয়ারচর উপজেলার আগরপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ এলাকার মো. জমশেদ আলম কলার চাষ করেন ১০ বছর ধরে। অন্যান্য ফসল চাষের পাশাপাশি কলা চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। নিয়মিত সবরি কলা চাষ করছেন। তিনি বলেন, ‘পিরিজপুর হাটে ভালো দামে সবরি কলা, সাগর কলা, কবরী কলা, চিনিচম্পা কলা, আনাজি কলাসহ কয়েক জাতের দেশি কলা বিক্রি হয়। কোনো হয়রানি ছাড়াই এই হাটে স্বচ্ছন্দে কলা বেচাকেনা করতে পারি।’
পিরিজপুর বাজার সমিতির সভাপতি আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, পিরিজপুর একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার এবং কিশোরগঞ্জের সবচেয়ে বড় সবজির পাইকারি বাজার। কলার এই বাজার প্রায় ৪০ বছর ধরে প্রতি সপ্তাহের সোম ও শুক্রবার বসে। ভোর ৫টা থেকে শুরু হয়ে দুপুরের মধ্যে কলা বেচাকেনা শেষ হয়ে যায়। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারেরা এই বাজারে আসে। সপ্তাহে দুই দিন এই বাজারে কোটি টাকার ওপরে বিক্রি হয়। এই বাজারে দালালদের দৌরাত্ম্য নেই বিধায় ক্রেতারা সহজে কলা কিনতে পারেন। অন্যান্য বাজারের তুলনায় খাজনাও কম। তাই পিরিজপুর কাঁচা সবজি ও কলার পাইকারি বাজারের প্রতি মানুষের আগ্রহ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এ হাটে প্রচুর বেচাকেনা হয়। প্রতিবছরই হাটটির উন্নয়নে কাজ করা হয়। এ হাটের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে।’
চট্টগ্রাম নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত এবং একই সঙ্গে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের সমাপ্তির ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা নগরীর দামপাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কন্ট্রোল রুমে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এই ঘোষণার কথা জানান।
৫ মিনিট আগেশেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ডোবায় পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগেঈদের চার দিন পর মেয়ের বিয়ে, তাই ঈদের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারার অটোচালক জানে আলম। করেছেন আত্মীয়–স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনাও। হঠাৎ ঈদের দিন সকালে লাগা আগুন থেকে কোনো রকম প্রাণে বাঁচলেও সংসারের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
১১ মিনিট আগেবিকেল পর্যন্ত বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বসে আছেন। কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় তাঁরা চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না।
১৩ মিনিট আগে