২০ দেশের গবেষকদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন করছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি

বাংলাদেশসহ ২০ দেশের গবেষকদের নিয়ে আগামী ২৯ ও ৩০ অক্টোবর ‘ইনোভেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ফর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক দুদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জেএমসি ল্যাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস, ল’ এবং আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস অনুষদের পাঁচটি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত দুদিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সম্মেলন থেকে গবেষকদের বিভিন্ন উপস্থাপনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে লাইভ করা হবে। 

সম্মেলনের আহ্বায়ক ও বিজনেস অনুষদের অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী বলেন, এটা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন। পাঁচটি বিভাগ মিলে এ ধরনের সমাবেশ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি মাইলফলক। এই সম্মেলনের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য হলো বৈচিত্র্যতা। কারণ এখানে ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের আয়োজনে একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে যেমন বিজনেস রয়েছে, তেমনি রয়েছে ল’ ও স্যোশাল সায়েন্সেস। সে হিসেবে এখানে শুধু অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা থাকবে না, সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়েও নানা ধরনের দিক-নির্দেশনা উঠে আসবে। সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ও গবেষণা খাতে কিছুটা হলেও অবদান রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার আগে বুঝতে পারিনি একটা ছোট পরিসরে কত বড় কাজ হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের পরিকল্পনায় এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও শিল্প, সাহিত্য, ভাষা এসব বিষয়ে নতুন ভাবনার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে এ সম্মেলনের মাধ্যমে। 

জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শেখ শফিউল ইসলাম বলেন, আগামীর বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও চ্যালেঞ্জের। বর্তমান সরকার যেহেতু ডিজিটাল বাংলাদেশে জোর দিয়েছে, তাই এই সম্মেলনের বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্ভাবন ও ইতিবাচক পরিবর্তনে কর্মক্ষমতা বাড়ালে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হবে। সম্মেলনে গবেষণাপত্র উপস্থাপন ছাড়াও ধারণা তৈরি এবং ইনোভেশন ট্রান্সফরমেশনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত নানা দিক নিয়ে আলোচনা হবে। শুধু সংঘাত, মারামারি, অপরাধ এসবের বাইরেও সৃষ্টিশীলতা, উদ্ভাবনী, পরিবেশ, উন্নয়ন, কৃষি, জনস্বাস্থ্য সাংবাদিকতা এসব বিষয়েও যে সাংবাদিকতার পরিসর বিস্তৃত হতে পারে, এ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব ধ্যান ধারণার সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এ প্রজন্মের সাংবাদিকেরা পরিচিত হতে পারবে। তিনি আরও বলেন, এ দেশের সাংবাদিকেরা উন্নয়নের জন্যও ঝাঁপিয়ে পড়ে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছেও সমাদৃত। জনস্বাস্থ্য সাংবাদিকতা কতটা জরুরি তা সেটা কোভিডের সময়ে বোঝা গেছে। এসব বিষয় সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে সম্মেলন থেকে। 

আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএইচএম মুস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ভারতের অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক উজ্জ্বল অনু চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড ভ্যালি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. আজফার হোসেন, অস্ট্রেলিয়ার কার্টেন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ডোরা মেরিনোভা, যুক্তরাষ্ট্রে বইস স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেসন বি ম্যাকডোনাল্ড তুরস্ক, মালয়েশিয়ার অধ্যাপক ও গবেষকেরা সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করবেন।

এরই মধ্যে সম্মেলনের জন্য গ্রিন বিজনেস স্কুল, ল’, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান ও জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের অধীনে মোট ১৫৭টি প্রবন্ধ জমা পড়েছে। ২০টিরও বেশি দেশের শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের প্রবন্ধ জমা দিয়েছেন।