ঢাবি সংবাদদাতা
সারা দেশে নারী নির্যাতন, নিপীড়ন ও বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে এক জুম্ম কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে ঢাকায় অবস্থানরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ছাত্র সমাজ। সমাবেশে ঢাকায় তাদের যেসব সংগঠন রয়েছে, সেগুলো অংশগ্রহণ করেছে।
আজ বুধবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
দেশজুড়ে ধর্ষণ, বিচারহীনতা এবং পাহাড়ে মানুষের সাথে বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। সারা দেশের মতো পাহাড়েও ধর্ষণের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানান তারা। এ সময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছাত্র নেতারা সরকারকে ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধ করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এ বিক্ষোভে পার্বত্য চট্টগ্রামের সুভ্র মাহাতো বলেন, ‘দেশব্যাপী ধর্ষণ-নিপীড়ন যে পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা সবার মাঝে আতঙ্ক তৈরি করছে। একটা মেয়ে নিরাপদে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে গত সোমবার ১৭ বছরের কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তারপর সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় সে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মৃত্যু উপত্যকার এ দেশ তো আমরা চাইনি।’
মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নুমং প্রু মারমা বলেন, ‘দেশব্যাপী প্রতিনিয়ত ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাহাড়ে কিংবা সমতলে কোথাও নারী কিংবা শিশু কেউ নিরাপদ না। স্বৈরাচার সরকারের সময়ে অবিচারের যে সংস্কৃতি ছিল, তা এখনো বজায় আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি ধর্মান্ধ গোষ্ঠী তাদের বিশ্বাসকে সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সরকারের উপদেষ্টারাও এ জায়গায় নীরব ভূমিকা পালন করছে। তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না।’
নুমং মারমা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে সকল ধর্ষণ, নিপীড়নের বিচার করতে হবে। না হলে দেশের আপামর জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে চেয়ার থেকে নামিয়ে দেবে। ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার শুরু করুন, না হয় গদি থাকবে না।’
হিলস উইমেন ফেডারেশনের সদস্য কলি চাকমা বলেন, ‘দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি। সর্বত্র অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটি এ দেশের জন্য লজ্জাজনক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অতি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সকল অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র-পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রুমেন চাকমা বলেন, ‘বান্দরবানে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে সেনা ক্যাম্পের মেজরকে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আমরা সেনাবাহিনীর এ অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই।’
রুমেন চাকমা আরও বলেন, ‘দেশে চলমান পরিস্থিতিতে পাহাড়েও ধর্ষণ বেড়েছে। আজ বুধবার রাঙ্গামাটিতে আরেক শিশুকে ধর্ষণ করার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে ধর্ষণ বাড়ার কারণ- প্রভাবশালী গোষ্ঠী এগুলো ধামাচাপা দেয়। ফলে গণমাধ্যমেও এ ঘটনাগুলো আসে না। এভাবে ধামাচাপা দিতে থাকলে আমরা আরও প্রান্তিক হয়ে যাব।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরাও আশা করেছি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ পাব, কিন্তু পাইনি। সরকারকে দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। নারীদের দমন মানে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে দমন করা। সুতরাং নারীদের দমন করার এ সব সংস্কৃতি বন্ধ করুন।’
সমাবেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এ ছাত্রদের হাতে ‘বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে’, ‘ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলো একসাথে’, ‘নির্যাতনের পথ বন্ধ কর, নারী ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠা কর’, ‘খুন-ধর্ষণ-নিপীড়ন, রুখে দাও জনগণ’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
সারা দেশে নারী নির্যাতন, নিপীড়ন ও বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে এক জুম্ম কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে ঢাকায় অবস্থানরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ছাত্র সমাজ। সমাবেশে ঢাকায় তাদের যেসব সংগঠন রয়েছে, সেগুলো অংশগ্রহণ করেছে।
আজ বুধবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
দেশজুড়ে ধর্ষণ, বিচারহীনতা এবং পাহাড়ে মানুষের সাথে বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। সারা দেশের মতো পাহাড়েও ধর্ষণের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানান তারা। এ সময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছাত্র নেতারা সরকারকে ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধ করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এ বিক্ষোভে পার্বত্য চট্টগ্রামের সুভ্র মাহাতো বলেন, ‘দেশব্যাপী ধর্ষণ-নিপীড়ন যে পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা সবার মাঝে আতঙ্ক তৈরি করছে। একটা মেয়ে নিরাপদে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে গত সোমবার ১৭ বছরের কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তারপর সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় সে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মৃত্যু উপত্যকার এ দেশ তো আমরা চাইনি।’
মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নুমং প্রু মারমা বলেন, ‘দেশব্যাপী প্রতিনিয়ত ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাহাড়ে কিংবা সমতলে কোথাও নারী কিংবা শিশু কেউ নিরাপদ না। স্বৈরাচার সরকারের সময়ে অবিচারের যে সংস্কৃতি ছিল, তা এখনো বজায় আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি ধর্মান্ধ গোষ্ঠী তাদের বিশ্বাসকে সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সরকারের উপদেষ্টারাও এ জায়গায় নীরব ভূমিকা পালন করছে। তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না।’
নুমং মারমা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে সকল ধর্ষণ, নিপীড়নের বিচার করতে হবে। না হলে দেশের আপামর জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে চেয়ার থেকে নামিয়ে দেবে। ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার শুরু করুন, না হয় গদি থাকবে না।’
হিলস উইমেন ফেডারেশনের সদস্য কলি চাকমা বলেন, ‘দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি। সর্বত্র অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটি এ দেশের জন্য লজ্জাজনক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অতি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সকল অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র-পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রুমেন চাকমা বলেন, ‘বান্দরবানে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে সেনা ক্যাম্পের মেজরকে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আমরা সেনাবাহিনীর এ অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই।’
রুমেন চাকমা আরও বলেন, ‘দেশে চলমান পরিস্থিতিতে পাহাড়েও ধর্ষণ বেড়েছে। আজ বুধবার রাঙ্গামাটিতে আরেক শিশুকে ধর্ষণ করার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে ধর্ষণ বাড়ার কারণ- প্রভাবশালী গোষ্ঠী এগুলো ধামাচাপা দেয়। ফলে গণমাধ্যমেও এ ঘটনাগুলো আসে না। এভাবে ধামাচাপা দিতে থাকলে আমরা আরও প্রান্তিক হয়ে যাব।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরাও আশা করেছি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ পাব, কিন্তু পাইনি। সরকারকে দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। নারীদের দমন মানে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে দমন করা। সুতরাং নারীদের দমন করার এ সব সংস্কৃতি বন্ধ করুন।’
সমাবেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এ ছাত্রদের হাতে ‘বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে’, ‘ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলো একসাথে’, ‘নির্যাতনের পথ বন্ধ কর, নারী ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠা কর’, ‘খুন-ধর্ষণ-নিপীড়ন, রুখে দাও জনগণ’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৪ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগে