ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়ন অবৈধভাবে দখলের অভিযোগে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় ফরিদপুর পৌর বাস টার্মিনাল। এ ছাড়া সাধারণ শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে বাস চলাচল বন্ধ করে রাখেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের গোয়ালচামটে পৌর বাস টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স (১০৫৫) শ্রমিক ইউনিয়ন অবৈধভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে দখলের অভিযোগ এনে ও কমিটি বাতিলের দাবিতে ‘সব শ্রমিকের ব্যানারে’ মানববন্ধন করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানববন্ধন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে অন্য পক্ষের দাবি করা নির্বাচিত সভাপতি ইয়াছিন মোল্যার (৪০) নেতৃত্বে অর্ধশত লোক লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এ সময় তাঁদের ব্যানারও কেড়ে নেওয়া হয় এবং শ্রমিকদের এলোপাতাড়ি পেটানো হয়। হামলাকারীদের মানববন্ধনে থাকা শ্রমিকদের আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে স্লোগানও দিতে দেখা যায়। এ সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন।
এ ঘটনার পর সাধারণ শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে দুপুর ১২টা থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে রাখেন। তাঁরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে বাস টার্মিনালে অবস্থান নেন। পরে বেলা ২টার দিকে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে রূপ নেয় পুরো এলাকা। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। আহত হন অন্তত ১০ শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ছাড়া দিনভর উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করে।
পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ছয় ঘণ্টা পর শ্রমিকেরা বাস অবরোধ তুলে নিয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। তবে সন্ধ্যায় শ্রমিকনেতা জাকারিয়া হোসেন জানান, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মানা না হবে, ততক্ষণ বাস চলবে না।’
জানা যায়, শ্রমিক সংগঠনটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করেন বর্তমান সভাপতি (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত) ইয়াসিন মোল্লা এবং অন্য গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করেন সাবেক সহসভাপতি ইসমাইল হোসেন লাভলু।
সাধারণ শ্রমিক ও সংগঠনটির সাবেক একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্রমিক ইউনিয়নটিতে ৭ হাজার ২০০ জন সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ২ জন শ্রমিককে সদস্য দেখিয়ে একপাক্ষিকভাবে ২৫ জুলাই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ না থাকায় ১৭ জুলাই সবাইকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকেরা।
ইসমাইল হোসেন লাভলু অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশ শ্রমিককে না জানিয়ে গোপনে নির্বাচন করা হয়। কোনো তফসিল ঘোষণা না করে ও খসড়া ভোটার তালিকা না টানিয়েই অবৈধভাবে নির্বাচন দেখিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নটি দখল করা হয়। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হলে সেখানেও ইয়াছিন মোল্যার নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এরপর সাধারণ শ্রমিকেরা বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। আমরা এই অবৈধ নির্বাচন মানি না। আমরা সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু একটি নির্বাচনের দাবি জানাই এবং শ্রমিকদের ওপর হামলার বিচার চাই।’
অন্যদিকে ইয়াছিন মোল্যা মানববন্ধনকারীদের আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগের দোসরেরা এখনো চাঁদাবাজি করছে। আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে আজ এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। আজ আওয়ামী লীগের দোসরেরা একত্র হয়েছিল, তখন আমরা সাধারণ শ্রমিকেরা বাধা দিয়েছিলাম।’
এদিকে শ্রমিকদের দ্বন্দ্বে বাস চলাচল বন্ধ করায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রীদের ফিরে যেতে দেখা যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শ্রমিকদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের উত্তেজনা হলে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
ফরিদপুরে মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়ন অবৈধভাবে দখলের অভিযোগে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় ফরিদপুর পৌর বাস টার্মিনাল। এ ছাড়া সাধারণ শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে বাস চলাচল বন্ধ করে রাখেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের গোয়ালচামটে পৌর বাস টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স (১০৫৫) শ্রমিক ইউনিয়ন অবৈধভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে দখলের অভিযোগ এনে ও কমিটি বাতিলের দাবিতে ‘সব শ্রমিকের ব্যানারে’ মানববন্ধন করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানববন্ধন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে অন্য পক্ষের দাবি করা নির্বাচিত সভাপতি ইয়াছিন মোল্যার (৪০) নেতৃত্বে অর্ধশত লোক লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এ সময় তাঁদের ব্যানারও কেড়ে নেওয়া হয় এবং শ্রমিকদের এলোপাতাড়ি পেটানো হয়। হামলাকারীদের মানববন্ধনে থাকা শ্রমিকদের আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে স্লোগানও দিতে দেখা যায়। এ সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন।
এ ঘটনার পর সাধারণ শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে দুপুর ১২টা থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে রাখেন। তাঁরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে বাস টার্মিনালে অবস্থান নেন। পরে বেলা ২টার দিকে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে রূপ নেয় পুরো এলাকা। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। আহত হন অন্তত ১০ শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ছাড়া দিনভর উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করে।
পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ছয় ঘণ্টা পর শ্রমিকেরা বাস অবরোধ তুলে নিয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। তবে সন্ধ্যায় শ্রমিকনেতা জাকারিয়া হোসেন জানান, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মানা না হবে, ততক্ষণ বাস চলবে না।’
জানা যায়, শ্রমিক সংগঠনটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করেন বর্তমান সভাপতি (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত) ইয়াসিন মোল্লা এবং অন্য গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করেন সাবেক সহসভাপতি ইসমাইল হোসেন লাভলু।
সাধারণ শ্রমিক ও সংগঠনটির সাবেক একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্রমিক ইউনিয়নটিতে ৭ হাজার ২০০ জন সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ২ জন শ্রমিককে সদস্য দেখিয়ে একপাক্ষিকভাবে ২৫ জুলাই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ না থাকায় ১৭ জুলাই সবাইকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকেরা।
ইসমাইল হোসেন লাভলু অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশ শ্রমিককে না জানিয়ে গোপনে নির্বাচন করা হয়। কোনো তফসিল ঘোষণা না করে ও খসড়া ভোটার তালিকা না টানিয়েই অবৈধভাবে নির্বাচন দেখিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নটি দখল করা হয়। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হলে সেখানেও ইয়াছিন মোল্যার নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এরপর সাধারণ শ্রমিকেরা বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। আমরা এই অবৈধ নির্বাচন মানি না। আমরা সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু একটি নির্বাচনের দাবি জানাই এবং শ্রমিকদের ওপর হামলার বিচার চাই।’
অন্যদিকে ইয়াছিন মোল্যা মানববন্ধনকারীদের আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগের দোসরেরা এখনো চাঁদাবাজি করছে। আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে আজ এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। আজ আওয়ামী লীগের দোসরেরা একত্র হয়েছিল, তখন আমরা সাধারণ শ্রমিকেরা বাধা দিয়েছিলাম।’
এদিকে শ্রমিকদের দ্বন্দ্বে বাস চলাচল বন্ধ করায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রীদের ফিরে যেতে দেখা যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শ্রমিকদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের উত্তেজনা হলে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
১৯ মিনিট আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
২৯ মিনিট আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩২ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩৬ মিনিট আগে