Ajker Patrika

জুলাই-আগস্টের ঘটনায় করা অনেক মামলার বাদী মামলা-বাণিজ্য করছেন: ডিএমপি কমিশনার

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯: ২৩
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, গণমামলায় গণ-আসামি থাকবে না। অযথা কাউকে হয়রানি করা হবে না। যাঁরা অপরাধে জড়িত না, তাঁদের ধরা হবে না। হয়রানি করা হবে না। জুলাই-আগস্টের ঘটনায় করা অনেক মামলার বাদী মামলা-বাণিজ্য করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা হবে। মামলা অপকর্মে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ রোববার দুপুরে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, জুলাই-আগস্টে পুলিশের ভূমিকা সঠিক ছিল না। ভূমিকা সঠিক হলে এত লোকের মৃত্যু হওয়ার কথা না। মারণাস্ত্র অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ওই আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় যেসব সাংবাদিকদের মামলার আসামি করা হয়েছে, তদন্তে তাঁদের নামও বাদ যাবে।

যেসব মামলা হয়েছে, সেসব মামলায় অন্য কায়দায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাদী মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে প্রমাণ না পেলে নাম বাদ দেবেন। অনেক বাদী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা করেছেন, পরিকল্পিতভাবে বাণিজ্য করতে। এ জন্য ১৫০-২০০ বা আরও বেশি আসামি করা হয়েছে।

প্রথমে আওয়ামী লীগ নেতা বা বিগত সরকারের শীর্ষ নেতাদের নাম দিয়ে পরে ঢালাওভাবে ইচ্ছেমতো নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশকে মামলা নিতে বাধ্য করা হয়েছে।

মামলা এবং গ্রেপ্তার-বাণিজ্যে কিছু পুলিশ সদস্য জড়িত বলে স্বীকার করে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, গত ৫ আগস্টের পর পুলিশ নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায় ওই সময় রাজারবাগের পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। আত্মরক্ষার্থে খিলগাঁও থানা থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পুলিশ রাজারবাগে যায়। ট্রমার মধ্যে পড়ে যান পুলিশ সদস্যরা। যা এখনো কাটেনি।

এমন বীভৎস পরিস্থিতির সম্মুখীন পুলিশ কখনো হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশের অনুপস্থিতে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। খুন, লুটাপাট, ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়ে যায়।

সভায় ডিএমপি কমিশনার চলমান পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি সবাইকে আইন মেনে চলার কথা বলেন। ট্রাফিক নিয়ম ঠিক করতে চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৫৩ বছরে নগর পরিকল্পনা হয়নি। দুই কোটি লোকের এই শহরে কোনো নগর পরিকল্পনা না থাকায় প্রতিদিন ট্রাফিক আইনে কয়েক হাজার মামলা করতে হচ্ছে। সড়কে শৃঙ্খলার জন্য মানুষকে ট্রাফিক আইন মানতে হবে। এই শহরে সব ধরনের যানবাহন এক রস্তায় চলাচল করে। অটোরিকশা যেভাবে বাড়ছে তাতে মানুষ হেঁটে রাস্তায় চতে পারবে না।

অনেকেই না বুঝে হুজুগে অটোরিকশা কিনে রাস্তায় নামাচ্ছেন। অথচ এই খাত থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পায় না।

ডিএমপি কমিশনার ছাড়াও হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, নজরুল ইসলামসহ পদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে কার্যনির্বাহীর কমিটির সদস্যরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রশ্নে যে প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত