Ajker Patrika

বালু থেকে তিন ফসলি জমি রক্ষার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২২, ১৭: ২১
বালু থেকে তিন ফসলি জমি রক্ষার দাবি

খুলনার পশুর নদের খননকৃত বালু থেকে বানিয়াপাড়া তিন ফসলি জমি রক্ষার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। আজ রোববার সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাপার মোংলা শাখার আহ্বায়ক শেখ মো. নুর আলম। তিনি বলেন, ‘মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে একটি খনন প্রকল্প ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় পশুর নদ থেকে প্রায় ২১৬ লাখ ঘনমিটার মাটি ও বালু উত্তোলন করার কথা। জেলা প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে স্থানীয় জনসাধারণের ব্যাপক প্রতিবাদ উপেক্ষা করে পশুর নদের খননকৃত মাটি ও বালু ফেলার মাধ্যমে মোংলার ৭০০ একর জায়গায় বালুর পাহাড় গড়ে অসাধু শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের ইতিমধ্যে সুবিধা করে দিয়েছে। একই সঙ্গে দাকোপ উপজেলার বাণিয়াশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর জমিতে পশুর নদের খননকৃত মাটি ও বালু ফেলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’

অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে কৃষকেরা তিন ফসলি জমি হারানোর আশঙ্কা করছেন জানিয়ে শেখ মো. নুর আলম বলেন, ‘পশুর নদ থেকে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে উত্তোলন করা বালু ভরাট এখন পশুর পাড়ে ব্যাপক উদ্বেগের কারণ। উত্তোলনকৃত বালু ফেলার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী বাগেরহাটের চিলা ইউনিয়ন এবং খুলনার বাণীয়াশান্তা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ তিন ফসলি কৃষিজমি। এসব অঞ্চলের মানুষের আয়ের একমাত্র উৎস কৃষিকাজ ও মৎস্যচাষ। তাঁদের সেই জীবিকা এখন হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। মোংলা বন্দর চ্যানেলের অধিক গভীরতার জন্য পশুর নদ খনন করে মাটি ও বালু ফেলতে তাঁদের চাষের জমি দখল করা হচ্ছে। একই সঙ্গে অপরিকল্পিত এই খনন প্রকল্পের কারণে পরিবেশ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া চলছে। তিন ফসলি কৃষিজমির ওপর নির্ভর করে বংশপরম্পরায় বানিয়াশান্তা এলাকায় মূলত সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন-জীবিকা চলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বন্দরের প্রয়োজনে দীর্ঘদিন বালু, মাটি ফেলে রাখায় তাঁদের জমি উর্বরতা হারাবে। সামান্য কিছু ক্ষতিপূরণ হয়তো মিলবে, তবে ফসল উৎপাদনে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির শিকার হয়ে একসময় তাদের উদ্বাস্তু হিসাবে ভিটেবাড়ি ছাড়তে হবে।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু ফেলার কারণে তিন ফসলি জমি হারাতে বসেছেন কৃষকেরা। বানিয়াশান্তা ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ হিন্দু সম্প্রদায়ের। পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘু মানুষদের উচ্ছেদ করার জন্য ফসলি জমিতে বালু ফেলা হচ্ছে। এটা একটা ষড়যন্ত্র, এটার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করা উচিত। অসহায় কৃষকদের প্রতি এ অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না। এলাকাবাসীও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমরাও সরকারকে সতর্ক করলাম। এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’

সংবাদ সম্মেলনে বাপার কোষাধ্যক্ষ মুহিদুল হক খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বেনের প্রতিষ্ঠাতা ড. নজরুল ইসলাম, বাপার নির্বাহী সদস্য এম এস সিদ্দিকী, মোংলা-দাকোপ থেকে আগত স্থানীয় কৃষিজমির মালিক সত্যজিত গাইন, হিরন্ময় রায়, বাণীশান্তা ইউপি সদস্য ও কৃষি জমির মালিক জয় কুমার মণ্ডল মানিক ও সুপর্ণা রায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তামিম কি তাহলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হবেন

রাজনৈতিক দলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ, হেফাজতে সেনা কর্মকর্তা

পিআর পদ্ধতিতেই হবে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত

নারীর ‘বগলের গন্ধ’ পুরুষের মানসিক চাপ কমায়, তবে কি মানুষেরও আছে ফেরোমোন!

বাংলাদেশি পণ্যে ভারতের চেয়ে কম শুল্কের ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত