Ajker Patrika

ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় পরীমণির নারাজি আবেদন খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় পরীমণির নারাজি আবেদন খারিজ

ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে চিত্র নায়িকা পরীমণির নারাজি আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন এই আদেশ দেন। 

গত ১ ডিসেম্বর পরীমণি এই ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে নারাজি আবেদন করেন। একই সঙ্গে পরীমণি তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মাধ্যমে অধিকতর তদন্তের আবেদন জানান। আবেদনপত্রে পরীমণি বলেছেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করেননি। ওই হোটেলের একজন ওয়েটার ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল। ঘটনার পরে সিআইডি তাঁকে তুলে আনে এবং সে তাঁর অপরাধ স্বীকার করে। কিন্তু পুলিশের জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে ওই ওয়েটারকে আসামি করা হয়নি। এমনকি তাঁর নামই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। বাদীপক্ষের সাক্ষী বহ্নির নাম অভিযোগপত্রে রাখা হয়নি এবং তাঁকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদও করেনি। যে কারণে এই মামলার অধিকতর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। 

ওইদিন ট্রাইব্যুনাল পরীমণির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন এবং মামলার নথি পর্যালোচনা করে ১৩ ডিসেম্বর আদেশের তারিখ ধার্য করেন। আজ মামলার আসামি উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা নাসির ইউ মাহমুদ ও তাঁর সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমি হাজির ছিলেন। মামলার অপর আসামি শহিদুল আলম পলাতক রয়েছেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে উক্ত পরোয়ানা জারি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী বছর ৩ মার্চ তারিখ ধার্য করেন। 

গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদ ও তাঁর সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) শাহ শহিদুল আলমের নাম না থাকলেও তদন্তের সময় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় পুলিশ অভিযোগপত্রে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করে। 

গত ১৪ জুন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির, অমি এবং আরও চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পরীমণি। 

সেদিনই উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাসির ও অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা আরও একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

অভিযোগপত্রে ধর্ষণ চেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়নি। কিন্তু মারধর ও শ্লীলতাহানি অভিযোগ আনা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘তুমি ঘুমাও কীভাবে’, সৌদি যুবরাজকে নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়

বিদ্যালয়ে সময় দেন না শিক্ষক, ইউএনওর কাছে অভিযোগ করায় সহকর্মীকে মারধর

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত