কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
পোলট্রির খাবার ও ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির কারণে লোকসানে পড়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রান্তিক খামারিরা। গত দুই বছরের করোনার ক্ষতি সামাল দিতে অনেকেই ঋণ নিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেও ঋণের বোঝা বেড়েছে অনেকের। এ অবস্থায় অনেকেই খামার বন্ধ করে তাদের পেশা বদলে ফেলার কথাও ভাবছেন। কেউ কেউ আবার জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশে। কারও আবার ঋণের দায়ে ব্যাংকে রাখা বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে উঠছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় ৩ হাজার ১৩২ জন খামারি রয়েছেন। এসব খামারে ব্রয়লার মুরগির সংখ্যা ২ লাখ ৮৮ হাজার ২০০, লেয়ার মুরগি ২ লাখ ১২ হাজার, সোনালি ৮০ হাজার ৭৪০, দেশি ২ লাখ ৯০ হাজার ৯০০, হাঁস ৭৪ হাজার ৬৯৮, কবুতর ১৬ হাজার ৪২০, কোয়েল ৩ হাজার ১৩০।
এদিকে সারা দেশে খামার পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে। অথচ কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। খামার পর্যায়ে মুরগির দাম কম হলেও ভোক্তা পর্যায়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে। এ ছাড়া কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৯০ টাকায়, যা আগে ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বছর দু-এক আগেও যেসব পোলট্রি খামার বড় ছিল সেগুলো ছোট করে ফেলেছেন খামারিরা। অনেকেই পোলট্রি খামারের জিনিসপত্র বিক্রি করে দিয়েছেন।
চরহাজারী ইউনিয়নের খামারি নুরুল আলম জানান, মুরগির ওষুধ ও খাবারের দাম বাড়ার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এক বছরের ব্যবধানে কেজিপ্রতি খাদ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা। অথচ মুরগির দাম বাড়েনি। এভাবে চলতে থাকলে মাথায় হাত দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। যে দামে ডিম বিক্রি করা হচ্ছে, তা চলতে থাকলে অচিরেই বাণিজ্যিক খামার ব্যবস্থায় ধস নামবে।
মুছ্পুর ইউনিয়নের নুর উদ্দিন বলেন, ‘ডিমের উৎপাদন ভালো হলেও খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। ডিলারদের কাছ থেকে খাদ্য কিনতে হয়, এখানে অনেক সময় সিন্ডিকেট কাজ করে। অন্যদিকে ডিমের যে সঠিক মূল্য রয়েছে, তা পাচ্ছি না। লোকসানের মুখে পড়ে নিজের জমি বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করেছি।’
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার তাসলিমা ফেরদৌসী জানান, খাদ্য ও ওষুধের দাম বাড়লেও মুরগির দাম না বাড়ায় খামারিরা খুবই সংকটে পড়েছেন। অনেকের খামার বন্ধ হয়ে গেছে। খামারিদের টিকিয়ে রেখে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পুষ্টির চাহিদা মেটাতে বিপণনব্যবস্থা সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে যৌক্তিক উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
পোলট্রির খাবার ও ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির কারণে লোকসানে পড়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রান্তিক খামারিরা। গত দুই বছরের করোনার ক্ষতি সামাল দিতে অনেকেই ঋণ নিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেও ঋণের বোঝা বেড়েছে অনেকের। এ অবস্থায় অনেকেই খামার বন্ধ করে তাদের পেশা বদলে ফেলার কথাও ভাবছেন। কেউ কেউ আবার জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশে। কারও আবার ঋণের দায়ে ব্যাংকে রাখা বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে উঠছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় ৩ হাজার ১৩২ জন খামারি রয়েছেন। এসব খামারে ব্রয়লার মুরগির সংখ্যা ২ লাখ ৮৮ হাজার ২০০, লেয়ার মুরগি ২ লাখ ১২ হাজার, সোনালি ৮০ হাজার ৭৪০, দেশি ২ লাখ ৯০ হাজার ৯০০, হাঁস ৭৪ হাজার ৬৯৮, কবুতর ১৬ হাজার ৪২০, কোয়েল ৩ হাজার ১৩০।
এদিকে সারা দেশে খামার পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে। অথচ কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। খামার পর্যায়ে মুরগির দাম কম হলেও ভোক্তা পর্যায়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে। এ ছাড়া কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৯০ টাকায়, যা আগে ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বছর দু-এক আগেও যেসব পোলট্রি খামার বড় ছিল সেগুলো ছোট করে ফেলেছেন খামারিরা। অনেকেই পোলট্রি খামারের জিনিসপত্র বিক্রি করে দিয়েছেন।
চরহাজারী ইউনিয়নের খামারি নুরুল আলম জানান, মুরগির ওষুধ ও খাবারের দাম বাড়ার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এক বছরের ব্যবধানে কেজিপ্রতি খাদ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা। অথচ মুরগির দাম বাড়েনি। এভাবে চলতে থাকলে মাথায় হাত দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। যে দামে ডিম বিক্রি করা হচ্ছে, তা চলতে থাকলে অচিরেই বাণিজ্যিক খামার ব্যবস্থায় ধস নামবে।
মুছ্পুর ইউনিয়নের নুর উদ্দিন বলেন, ‘ডিমের উৎপাদন ভালো হলেও খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। ডিলারদের কাছ থেকে খাদ্য কিনতে হয়, এখানে অনেক সময় সিন্ডিকেট কাজ করে। অন্যদিকে ডিমের যে সঠিক মূল্য রয়েছে, তা পাচ্ছি না। লোকসানের মুখে পড়ে নিজের জমি বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করেছি।’
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার তাসলিমা ফেরদৌসী জানান, খাদ্য ও ওষুধের দাম বাড়লেও মুরগির দাম না বাড়ায় খামারিরা খুবই সংকটে পড়েছেন। অনেকের খামার বন্ধ হয়ে গেছে। খামারিদের টিকিয়ে রেখে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পুষ্টির চাহিদা মেটাতে বিপণনব্যবস্থা সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে যৌক্তিক উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
নাটোরের বড়াইগ্রামে জুলাই আন্দোলনের পুরো সময় সরব থাকা গিয়াস উদ্দিন মনিরের দুটি কিডনি অচল হয়ে গেছে। আন্দোলনকালে তাঁর পায়ে লাগা আঘাত থেকে এই অবস্থা হয়েছে বলে চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে। মনির বনপাড়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মালিপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি বনপাড়া পৌরসভার সদ্য সাবেক কাউন্সিলর।
২ মিনিট আগেজুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কামাল আকবর এবং কোষাধ্যক্ষ ওয়াকার আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা।
১৪ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের উলিপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল করে নিয়েছেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা সেখানে ‘চর উন্নয়ন কমিটি, উলিপুর উপজেলা শাখা’ লেখা সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছেন। গতকাল রোববার বিকেলে সাইনবোর্ডটি লাগানো হয়। আজ সোমবার সকালেও এটি সেখানে ছিল।
১ ঘণ্টা আগেপ্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪-এর শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হয়েছেন শিউলি সুলতানা। গর্বের এই পদকটি বাবার হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। আর এ আনন্দ নিয়ে গতকাল রোববার রাতে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহাগোলায় ফিরছিলেন। কিন্তু রাত ১০টার দিকে খবর পান তাঁর ৮৫ বছর বয়সী বাবা আব্বাস আলী আর বেঁচে নেই।
১ ঘণ্টা আগে