Ajker Patrika

চাটখিলের বীরেন্দ্র খালে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, পানি চলাচল বন্ধ 

চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
চাটখিলের বীরেন্দ্র খালে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, পানি চলাচল বন্ধ 

নোয়াখালীর চাটখিল পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মনগাজী ব্যাপারী বাড়ির সামনে থেকে রাজধানী হোটেলের পূর্বপাশের পোল পর্যন্ত বীরেন্দ্র খালের নিচে রয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। এ ছাড়া মনগাজী ব্যাপারী বাড়ির সামনে বীরেন্দ্র খালের উত্তরে রাস্তার পাশের ১২টি দোকানঘর গত বর্ষার মৌসুমে খালের ওপর ধসে পড়ে আছে। দীর্ঘ এক বছর পরেও ধসে পড়া দোকানগুলো খাল থেকে সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে খালের পানি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ময়লা-আবর্জনার গন্ধে পৌরসভার পরিবেশ দূষণের কারণে বিভিন্ন রোগব্যাধি দেখা দিচ্ছে।

চাটখিল পৌরবাজারের ব্যবসায়ী মো. কামাল হোসেন ও মাঈন উদ্দিন শেখ বলেন, পৌর বাজারের পরিচ্ছন্নতাকর্মীর খালের নিচে ময়লা-আবর্জনা ফেলে। তাঁদের নিষেধ করলে খারাপ আচরণ করে। এ ছাড়া শহরের হোটেলগুলোর বর্জ্যও এখানে ফেলা হয়।

এ বিষয়ে সোমপাড়া কলেজের অধ্যক্ষ ও নাগরিক কোরামের সভাপতি মহি উদ্দিন বলেন, এ আবর্জনা স্তূপের কাছেই ভীমপুর হাই স্কুল ও কারিগরি কলেজ, চাটখিল কামিল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব ময়লা-আবর্জনার কারণে পরিবেশ দূষণ হয়ে জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। 

পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন ভিপির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অনেক দেনা-বকেয়া মাথায় নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া বেতন আস্তে আস্তে পরিশোধ করছি। বৃষ্টির চাপ কমলেই খালের বর্জ্য সরানো হবে। তবে খালে পড়া দোকান সরানোর কাজ আমাদের নয়, জেলা পরিষদের কাজ। 

চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ. এস. এম মোসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পোলের নিচে ময়লা-আবর্জনা ফেলা এটা আমাদের দেখার বিষয় না। আর জেলা পরিষদের খালের দোকানগুলো সরানোর দায়িত্ব তাঁদের। 

এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফিউল আলম বলেন, অচিরেই খাল থেকে দোকান সরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত