লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের আদালতে একটি জামিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন বিচারকের আদালত বর্জন করেছেন আইনজীবীরা। এ সময় আইনজীবীদের সঙ্গে আদালতের কর্মচারীদের হাতাহাতি ও এজলাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এজলাসের স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান আহত হন ৷ এ ঘটনায় দুই আইনজীবীকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন আহত স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের (সদর-আমলি আদালত) বিচারক আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আইনজীবী আশিকুর রহমান ও মিরাজ পলোয়ানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গতকাল রোববার বিকেলে এই মামলা দায়ের করা হয়।
আজ সোমবার সকালে আদালত পরিদর্শক মো. আবদুল জলিল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান বাদী হয়ে দুই আইনজীবীকে আসামি করে মামলা করেছেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর আগে গতকাল আইনজীবী ও কর্মচারীর হাতাহাতির ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এদিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রফিক উল্যাহ আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘একজন আইনজীবীর বাসার গেট চুরির মামলায় আসামিদের জামিন দেন বিচারক। আসামিদের রিমান্ডের আবেদন ও জামিনের বিরোধিতা করলেও তা আমলে নেননি তিনি। ফলে ন্যায়বিচার পাননি আইনজীবীরা। বিষয়টি জেলা জজসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং ওই বিচারকের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রোববার আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে শুধু এজলাসে গিয়ে ওই আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিই। কোনো হট্টগোল বা হামলা হয়নি।’
উল্লেখ্য, রায়পুর প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আহমেদ কাউসার উদ্দিন জামানের (৩৫) বিরুদ্ধে ৬ জুন সদর থানায় চুরির মামলা দায়ের করেন তাঁরই প্রতিবেশী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আবু তৈয়ব। মামলায় আরও দুজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় আসামি কাউসার ও রুবেল গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। এরপর ১০ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক এম সাইফুল ইসলাম তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ আইনজীবীরা।
আদালত সূত্র জানায়, ৯ জুন আসামিদের জামিন প্রার্থনা করা হয়। এতে আসামিপক্ষ উল্লেখ করেন, মামলার বাদী আইনজীবী হওয়ায় আদালতে তাঁদের পক্ষে কোনো আইনজীবী জামিন শুনানিতে অংশ নিতে ইচ্ছুক নন। আসামিরা তাঁদের পক্ষে আইনজীবী না পেয়ে জামিন শুনানির জন্য লক্ষ্মীপুর লিগ্যাল এইড অফিসে আইনি সহায়তা চান। সেখান থেকে দুজন আইনজীবীকে শুনানি করতে বলা হলেও তাঁরা হেনস্তার ভয়ে জামিন শুনানিতে অংশ নেননি। অন্যদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আসামিদের বিরুদ্ধে জামিনের বিরোধিতা করেন। পরদিন ১০ জুন নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে জামিন শুনানির জন্য রাখা হয় এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
বিষয়টি নিয়ে আদালতের পর্যালোচনায় উঠে আসে, ঈদুল আজহার ছুটির কারণে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ৬ জুন আসামিদের গ্রেপ্তারের পর থেকে চার দিন তাঁরা জামিন শুনানির সুযোগ পাননি। বাদী একজন আইনজীবী হওয়ায় আসামিরা পক্ষে কোনো আইনজীবীও পাননি। ১৪ জুন পর্যন্ত আদালত বন্ধ থাকায় এবং মামলায় জামিন অযোগ্য কোনো গুরুতর অভিযোগ না থাকায় উভয় পক্ষের শুনানি শেষে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করে আদালত। বিচারক চার দিনের হাজতবাস ও ঈদ বিবেচনায় কাউসার ও রুবেলকে ১০০ টাকার মুচলেকায় একজন গণ্যমান্য ব্যক্তির জিম্মায় জামিন দেন।
এ নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। রোববার (১৫ জুন) ঈদের ছুটি শেষে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আইনজীবী সমিতি বিচারক এম সাইফুল ইসলামের আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। সকালেই সাত-আটজন আইনজীবী বিচারকের কক্ষে ঢুকে বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় হট্টগোল ও উত্তেজনার সৃষ্টি হলে বিচারক আদালত কর্মচারীদের দরজা বন্ধ করে দিতে বলেন। এতে আইনজীবী ও কর্মচারীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এজলাসের স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান আহত হন এবং বিচারক বিচারকার্য শেষ না করেই এজলাস ত্যাগ করেন।
লক্ষ্মীপুরের আদালতে একটি জামিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন বিচারকের আদালত বর্জন করেছেন আইনজীবীরা। এ সময় আইনজীবীদের সঙ্গে আদালতের কর্মচারীদের হাতাহাতি ও এজলাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এজলাসের স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান আহত হন ৷ এ ঘটনায় দুই আইনজীবীকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন আহত স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের (সদর-আমলি আদালত) বিচারক আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আইনজীবী আশিকুর রহমান ও মিরাজ পলোয়ানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গতকাল রোববার বিকেলে এই মামলা দায়ের করা হয়।
আজ সোমবার সকালে আদালত পরিদর্শক মো. আবদুল জলিল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান বাদী হয়ে দুই আইনজীবীকে আসামি করে মামলা করেছেন। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর আগে গতকাল আইনজীবী ও কর্মচারীর হাতাহাতির ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এদিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রফিক উল্যাহ আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘একজন আইনজীবীর বাসার গেট চুরির মামলায় আসামিদের জামিন দেন বিচারক। আসামিদের রিমান্ডের আবেদন ও জামিনের বিরোধিতা করলেও তা আমলে নেননি তিনি। ফলে ন্যায়বিচার পাননি আইনজীবীরা। বিষয়টি জেলা জজসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং ওই বিচারকের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রোববার আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে শুধু এজলাসে গিয়ে ওই আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিই। কোনো হট্টগোল বা হামলা হয়নি।’
উল্লেখ্য, রায়পুর প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আহমেদ কাউসার উদ্দিন জামানের (৩৫) বিরুদ্ধে ৬ জুন সদর থানায় চুরির মামলা দায়ের করেন তাঁরই প্রতিবেশী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আবু তৈয়ব। মামলায় আরও দুজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় আসামি কাউসার ও রুবেল গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। এরপর ১০ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক এম সাইফুল ইসলাম তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ আইনজীবীরা।
আদালত সূত্র জানায়, ৯ জুন আসামিদের জামিন প্রার্থনা করা হয়। এতে আসামিপক্ষ উল্লেখ করেন, মামলার বাদী আইনজীবী হওয়ায় আদালতে তাঁদের পক্ষে কোনো আইনজীবী জামিন শুনানিতে অংশ নিতে ইচ্ছুক নন। আসামিরা তাঁদের পক্ষে আইনজীবী না পেয়ে জামিন শুনানির জন্য লক্ষ্মীপুর লিগ্যাল এইড অফিসে আইনি সহায়তা চান। সেখান থেকে দুজন আইনজীবীকে শুনানি করতে বলা হলেও তাঁরা হেনস্তার ভয়ে জামিন শুনানিতে অংশ নেননি। অন্যদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আসামিদের বিরুদ্ধে জামিনের বিরোধিতা করেন। পরদিন ১০ জুন নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে জামিন শুনানির জন্য রাখা হয় এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
বিষয়টি নিয়ে আদালতের পর্যালোচনায় উঠে আসে, ঈদুল আজহার ছুটির কারণে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ৬ জুন আসামিদের গ্রেপ্তারের পর থেকে চার দিন তাঁরা জামিন শুনানির সুযোগ পাননি। বাদী একজন আইনজীবী হওয়ায় আসামিরা পক্ষে কোনো আইনজীবীও পাননি। ১৪ জুন পর্যন্ত আদালত বন্ধ থাকায় এবং মামলায় জামিন অযোগ্য কোনো গুরুতর অভিযোগ না থাকায় উভয় পক্ষের শুনানি শেষে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করে আদালত। বিচারক চার দিনের হাজতবাস ও ঈদ বিবেচনায় কাউসার ও রুবেলকে ১০০ টাকার মুচলেকায় একজন গণ্যমান্য ব্যক্তির জিম্মায় জামিন দেন।
এ নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। রোববার (১৫ জুন) ঈদের ছুটি শেষে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আইনজীবী সমিতি বিচারক এম সাইফুল ইসলামের আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। সকালেই সাত-আটজন আইনজীবী বিচারকের কক্ষে ঢুকে বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় হট্টগোল ও উত্তেজনার সৃষ্টি হলে বিচারক আদালত কর্মচারীদের দরজা বন্ধ করে দিতে বলেন। এতে আইনজীবী ও কর্মচারীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এজলাসের স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান আহত হন এবং বিচারক বিচারকার্য শেষ না করেই এজলাস ত্যাগ করেন।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ইটভাটার পাশ থেকে হাফিজুল ইসলাম রনি (২৩) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইট দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন ধারণা করছে।
৩ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে চলতি বোরো মৌসুমে ধান কাটতে শ্রমিকসংকট দেখা দিয়েছে। দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে তাঁরা ধান কাটছেন। অনেকে আবার বাড়তি পারিশ্রমিক দিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে লোকসান হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
১০ মিনিট আগেজুলাই সনদের দ্রুত ঘোষণা ও বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রীয় গণহত্যার বিচারসহ ১৩ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’। আজ সোমবার দুপুরে ঢাবির মধুর ক্যানটিনে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
১৬ মিনিট আগেদীর্ঘ এক বছর পর নাটোরের নর্থ বেঙ্গল চিনিকলের শ্রমিকনেতা মনজুর রহমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাসান আলীকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ সোমবার ভোরে রাজধানী মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাঁকে নাটোরে আনার পর আদালতে পাঠানো হয়।
২০ মিনিট আগে