Ajker Patrika

২৫ জুনের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণার দাবি ইনকিলাব মঞ্চের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই সনদ দ্রুত ঘোষণাসহ কয়েক দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জুলাই সনদ দ্রুত ঘোষণাসহ কয়েক দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জুলাই সনদ দ্রুত ঘোষণা ও বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রীয় গণহত্যার বিচারসহ ১৩ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’। আজ সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যানটিনে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী বলেন, সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন যদি নারীদের সরাসরি ভোটে হয়, তবে ইসলামি দলসহ সব রাজনৈতিক দল বাধ্য হবে নারীদের সঙ্গে নিয়েই রাজনীতি করতে। অন্যথায়, আগের মতো ৩০০ আসনের সংসদে গুন্ডা-মাস্তান এমপিদের আবির্ভাব হবে, যাদের জনগণ ভয় পায় এবং এতে অভ্যুত্থানের মূল্য থাকবে না।

বিএনপির উদ্দেশে হাদী বলেন, ‘বিএনপির কিছু অংশ ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় পুরোনো শর্তে রাজনীতি চালাতে চায়। তারা আমাদের বিএনপির বিরুদ্ধাচারে প্ররোচিত করছে। আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশ প্রশ্নে বিএনপি যতখানি বাংলাদেশের, আমরাও ততখানি বিএনপির। আর তাই আমরা ভালোবেসে তাদের সমালোচনা করি।’

হাদী আরও বলেন, ‘যদি কেউ বিপ্লবের চেতনায় নির্বাচনে আসে, তাহলে আমরা সঙ্গে আছি। না হলে নির্বাচন বর্জনের ডাক দিব। দেশের ৫ কোটি মানুষ পরবর্তী গণ-অভ্যুত্থানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’

এ সময় হাদী ঘোষণা দেন, আগামী ২৫ জুনের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা না হলে ওই দিন বিকেলে শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে ‘লাল মার্চ’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

১৩ দফা প্রস্তাবনা

১. ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের সংগ্রামে শহীদদের রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘শ্রেষ্ঠ সন্তান’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।

২. জুলাই আন্দোলনে অঙ্গহানি হওয়া যোদ্ধাদের জন্য স্থায়ী পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।

৩. ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচন বাতিল এবং সংশ্লিষ্ট কমিশন সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৪. ফ্যাসিবাদী আমলের দোষী জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের সম্পদ জব্দ করে তা শহীদ-আহত ব্যক্তিদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।

৫. ভারতীয় আধিপত্যসহ সব আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক অবস্থান গড়ে তুলতে হবে।

৬. জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে হবে।

৭. রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক সংস্কার করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে।

৮. ৩৬ জুলাইকে ‘জাতীয় মুক্তি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

৯. বৈষম্যবিরোধী, ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা দিতে হবে।

১০. সংবিধান থেকে জনবিরোধী ধারা বাতিল করে জুলাই সনদকে তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

১১. গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব দল, মত ও লিঙ্গের শরিকানা নিশ্চিত করতে হবে।

১২. জুলাই সনদের ভাষা সহজ ও জনবান্ধব করতে হবে।

১৩. সনদ চূড়ান্ত করার আগে তা জনগণের মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত