Ajker Patrika

মৌসুমি রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে ব্রাহ্মণপাড়ায়, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার জটিলতায় রোগীর ভিড়

মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) 
চিকিৎসা নেওয়ার অপেক্ষায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চিকিৎসা নেওয়ার অপেক্ষায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মৌসুমি রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। উপজেলাজুড়ে শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, পেটব্যথা, শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে রোগীর চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ।

এই সময়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বিদ্যমান থাকায় চিকিৎসা বিভ্রান্তি ও জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেকের উপসর্গ এক রকম হওয়ায় সঠিক ডায়াগনসিস না হলে রোগ নির্ণয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই রোগী ও স্বজনদের উপচে পড়া ভিড়। অধিকাংশ রোগী জ্বর, সর্দি-কাশি, শরীর ব্যথা, গিঁটে ব্যথা, পেটব্যথা ও ডায়রিয়ায় ভুগছে। কেউ কেউ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলেও কারও কারও সেরে উঠতে সময় লাগছে বেশি। চিকিৎসকদের মতে, এসব রোগীর ইমিউন সিস্টেম দুর্বল থাকায় সুস্থ হতে দেরি হচ্ছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সময়ে মৌসুমি জ্বরের পাশাপাশি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রভাব দেখা দিচ্ছে। এ জন্য রোগীদের সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। এতে অল্প সময়ে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা কামাল হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসছে। ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেয়েও কাজ হয়নি, তাই হাসপাতালে এসেছি।’

এক রোগীর মা শিরিনা বেগম জানান, তাঁর সাড়ে চার বছরের মেয়ে খাদিজা এক সপ্তাহ ধরে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভুগছে। স্থানীয় পল্লিচিকিৎসকের ওষুধে কাজ না হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।

লিপি আক্তার নামের এক রোগী বলেন, ‘দুই দিন ধরে জ্বর, মাথাব্যথা আর ডায়রিয়ায় ভুগছি। আজ খুব দুর্বল লাগছে। ডাক্তার ওষুধ লিখে দিয়ে বলেছেন, নিয়ম মেনে খেলেই সুস্থ হয়ে যাব।’

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শেখ হাসিবুর রেজা বলেন, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে মৌসুমি রোগের প্রকোপ স্বাভাবিকভাবে বাড়ে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। জ্বর, কাশি, সর্দি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া এখন বেশি দেখা যাচ্ছে। যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল, তারা দ্রুত আক্রান্ত হচ্ছে।

শেখ হাসিবুর রেজা আরও বলেন, ‘এই সময়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রভাবও রয়েছে। তাই অসুস্থ হলে দেরি না করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অথবা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আমরা হাসপাতালে আসা রোগীদের পরামর্শ দিচ্ছি এবং বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে ঘুরতে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ফতুল্লা মডেল থানায় দুই নারীসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন হাসান শরীফ (৪০), রুহানী চৌধুরী কথা ওরফে কথা আক্তার (২৫) ও বিন্দু (৩০)।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী তরুণী তল্লা প্রাইমারি স্কুলের সামনে একটি পারলারে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। কয়েক মাস আগে সেখানে রুহানী চৌধুরী কথার সঙ্গে পরিচয় হয় এবং পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের নিয়মিত যোগাযোগ চলতে থাকে।

পরিচয়ের সূত্র ধরে চলতি মাসের ৪ তারিখ রাতে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন রুহানী চৌধুরী কথা। ভুক্তভোগী রাজি হলে রাত ১০টার দিকে ভুইগড় বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রাইভেট কারে মাওয়া যান তাঁরা। রাতভর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরার পর বুধবার ভোর ৬টার দিকে তাঁরা ফতুল্লার শান্তিধারা এলাকায় আসামি হাসান শরীফের ভাড়া বাসায় আসেন।

এ সময় রুহানী চৌধুরী কথা ও বিন্দু তাঁকে জোরপূর্বক হাসান শরীফের বেডরুমে আটকে রেখে অন্য কক্ষে চলে যান। সেখানে হাসান শরীফ ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। সকালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে আজ থানায় মামলা করেন তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নন্দন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রূপগঞ্জে ফেসবুক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেসবুক পোস্টে নেতিবাচক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেসবুক পোস্টে নেতিবাচক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেসবুক পোস্টে নেতিবাচক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার তারাব পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম। তিনি তারাব পৌরসভার বরাব ছাপরা মসজিদ এলাকার আল ইসলামের ছেলে। শহিদুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারাব পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা সাকিবুল হাসান ‘রূপগঞ্জ মানবাধিকার সংস্থা’র সদস্য হন। এ নিয়ে সাকিবুল হাসান তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে একই এলাকার আবু দায়েন প্রধানের ছেলে মাহিম নেতিবাচক মন্তব্য করেন।

এর জেরে গতকাল রাত ১১টার দিকে সাকিবুল হাসান ও মাহিমের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে রাত ২টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। উভয় পক্ষের লোকজন বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। এ সময় শহিদুল ইসলাম নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও চারজন আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। তবে এখনো মামলা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেরোবির প্রথম সমাবর্তন স্থগিত, জাতীয় নির্বাচনের পরে আয়োজন

বেরোবি সংবাদদাতা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রথম সমাবর্তনের তারিখ স্থগিত করা হয়েছে। নিবন্ধন ফি কমানোসহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া আমলে নিয়ে এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. এহতেরামুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়। আগামী ১৭ জানুয়ারি এই সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল।

জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল রোববার সমাবর্তন কমিটির সভা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমাবর্তনের তারিখ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়। সমাবর্তন রেজিস্ট্রেশনের তারিখ পরিবর্তন, ফি কমানোসহ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উত্থাপিত দাবি আবেদন আমলে নিয়ে এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে প্রথম সমাবর্তনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া সমাবর্তনের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হবে।

সমাবর্তন কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বিবেচনা করে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ায় আমরা আপাতত সমাবর্তন স্থগিত রেখেছি। এ ছাড়া রেজিস্ট্রেশন ফি কতটুকু কমানো যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করব। জাতীয় নির্বাচনের পরে সমাবর্তনের আয়োজন করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় দিনদুপুরে জাহানারা বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে পৌর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হরিশংকরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত বৃদ্ধার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত জাহানারা বেগম ওই এলাকার আবুল মোল্লার স্ত্রী। তবে ঠিক কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাহানারা বেগম বাড়িতে একাই ছিলেন। তাঁকে দেখভালের দায়িত্বে থাকা দুজনই বাড়ির বাইরে ছিলেন। বিকেল ৪টার দিকে এক প্রতিবেশী কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা খুলে বিছানার ওপর জাহানারা বেগমের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) ফয়সাল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) প্রণব কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিহত জাহানারা বেগমের দেখভাল করা মেঘলা নামের এক গৃহবধূ বলেন, ‘বেলা ১১টা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলাম। এরপর আমি আমার বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমার স্বামীও কাজে বাড়ির বাইরে বের হয়ে যায়। যাওয়ার সময় বাড়ির পাশে থাকা আমার বোনকে বিকেল ৪টার দিকে এসে গবাদিপশুগুলোকে পানি খাইয়ে যেতে বলেছিলাম। তখন আমার বোন এসে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা খুলে দেখে গলাকাটা অবস্থায় তিনি পড়ে আছেন।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, জাহানারা বেগমের ছেলে রাজধানী ঢাকায় সরকারি চাকরি করেন। তিনি পরিবারসহ ঢাকায় থাকেন। বাড়ির ভাড়াটে লিটন নামের এক ভ্যানচালক ও তাঁর স্ত্রী নিহত জাহানারা বেগমের দেখভাল করতেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, কোনো নেশাগ্রস্ত লোক চুরি করতে এসে দেখে ফেলায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত