সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
ফেনীর সোনাগাজীতে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতাল ভাঙচুর করেছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে আমিরাবাদ ইউনিয়নের চর সোনাপুর গ্রামে সোনাপুর মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রে এ হামলা চালানো হয়। এ সময় অভিযুক্ত সেবিকা কল্পনা রানী দাসকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মারা যাওয়া নারীর নাম ফেরদৌস আরা (২৮)। তিনি সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের শাহাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী নিজাম উদ্দিন অটোরিকশার চালক। আজ বেলা ১১টার দিকে আশ্রয়ণকেন্দ্র কবরস্থানের সামনে জানাজা শেষে ফেরদৌসকে দাফন করা হয়। পরে হাসপাতালে হামলা হয়।
ফেরদৌসের ভাবি সাফা আক্তার কাজল বলেন, ‘৮ এপ্রিল রাতে আমার ননদ ফেরদৌসের প্রসব বেদনা উঠলে আমরা দ্রুত তাকে পাশের সোনাপুর মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কল্পনা রানী দাস নামের একজন সেবিকা একটি ছেলেসন্তান প্রসব করায়। তারপর শিশুর নাড়ি কেটে বাঁধতে গিয়ে ভুল করে ফেলে। এতে ফেরদৌস ব্যথায় ছটফট করতে থাকে, রক্তে পুরো কক্ষ লাল হয়ে যায়। আমরা বারবার তাকে নিয়ে যেতে চাইলে নার্স কল্পনা রানী দাস নিতে দেয়নি। ঠিক হয়ে যাবে, এমন বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। সর্বশেষ আমরা জোরপূর্বক ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত ২টার দিকে সে মৃত্যুবরণ করে।’
ফেরদৌসের ভাই মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমার বোনের হত্যাকারীর বিচার চাই। তার দুটি মেয়ে ও একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।’
জানতে চাইলে সেবিকা কল্পনা বলেন, ‘আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যাতে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া যায়। কিন্তু বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নালি ও ফুল কাটতে গিয়ে একটু সমস্যা হয়। তখন তাদের ফেনী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কেউ কি চায় ইচ্ছা করে কারও ক্ষতি করতে?’
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইয়াকুব নবী বলেন, ‘চিকিৎসার অবহেলার কারণে মৃত্যু হলে কল্পনা রানী দাসের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হামলা প্রসঙ্গে সোনাপুর মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রের পরিদর্শক অতসী বালা দাস বলেন, ‘শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ দেখি অনেকে জড়ো হচ্ছে আর বকাবকি করছে। তাদের শান্ত হতে বললে তারা আমার কক্ষে এসে হামলা চালায়। এতে অনেক কিছু নষ্ট হয়ে যায়। আমার মোবাইলটি চুরি হয়ে যায়।’
এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজীদ হোসেন আকন জানান, হাসপাতালে বিক্ষুব্ধ জনতার অবস্থানের সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফেনীর সোনাগাজীতে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতাল ভাঙচুর করেছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে আমিরাবাদ ইউনিয়নের চর সোনাপুর গ্রামে সোনাপুর মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রে এ হামলা চালানো হয়। এ সময় অভিযুক্ত সেবিকা কল্পনা রানী দাসকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মারা যাওয়া নারীর নাম ফেরদৌস আরা (২৮)। তিনি সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের শাহাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী নিজাম উদ্দিন অটোরিকশার চালক। আজ বেলা ১১টার দিকে আশ্রয়ণকেন্দ্র কবরস্থানের সামনে জানাজা শেষে ফেরদৌসকে দাফন করা হয়। পরে হাসপাতালে হামলা হয়।
ফেরদৌসের ভাবি সাফা আক্তার কাজল বলেন, ‘৮ এপ্রিল রাতে আমার ননদ ফেরদৌসের প্রসব বেদনা উঠলে আমরা দ্রুত তাকে পাশের সোনাপুর মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কল্পনা রানী দাস নামের একজন সেবিকা একটি ছেলেসন্তান প্রসব করায়। তারপর শিশুর নাড়ি কেটে বাঁধতে গিয়ে ভুল করে ফেলে। এতে ফেরদৌস ব্যথায় ছটফট করতে থাকে, রক্তে পুরো কক্ষ লাল হয়ে যায়। আমরা বারবার তাকে নিয়ে যেতে চাইলে নার্স কল্পনা রানী দাস নিতে দেয়নি। ঠিক হয়ে যাবে, এমন বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। সর্বশেষ আমরা জোরপূর্বক ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত ২টার দিকে সে মৃত্যুবরণ করে।’
ফেরদৌসের ভাই মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমার বোনের হত্যাকারীর বিচার চাই। তার দুটি মেয়ে ও একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।’
জানতে চাইলে সেবিকা কল্পনা বলেন, ‘আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যাতে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া যায়। কিন্তু বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নালি ও ফুল কাটতে গিয়ে একটু সমস্যা হয়। তখন তাদের ফেনী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কেউ কি চায় ইচ্ছা করে কারও ক্ষতি করতে?’
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইয়াকুব নবী বলেন, ‘চিকিৎসার অবহেলার কারণে মৃত্যু হলে কল্পনা রানী দাসের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হামলা প্রসঙ্গে সোনাপুর মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রের পরিদর্শক অতসী বালা দাস বলেন, ‘শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ দেখি অনেকে জড়ো হচ্ছে আর বকাবকি করছে। তাদের শান্ত হতে বললে তারা আমার কক্ষে এসে হামলা চালায়। এতে অনেক কিছু নষ্ট হয়ে যায়। আমার মোবাইলটি চুরি হয়ে যায়।’
এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজীদ হোসেন আকন জানান, হাসপাতালে বিক্ষুব্ধ জনতার অবস্থানের সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে