কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, সাবেক প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সেই মামলায় না জানিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে সাক্ষী রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১৬তম আবর্তনের রায়হান নামের আরেক শিক্ষার্থীকেও সাক্ষী করা হয়েছে মামলায়। তবে এই নামে ১৬তম ব্যাচে কোনো শিক্ষার্থী নেই।
মামলার বাদী শাখাওয়াত হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আবু রায়হান এবং মোহাম্মদ সাকিব হোসাইনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলায় সাক্ষী হিসেবে আটজন শিক্ষার্থীর নাম-ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. গোলাম মোস্তফা, লোক প্রশাসন বিভাগের মো. হাসান অন্তর, একই বিভাগের তানভির হোসাইন মজুমদার, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের হাসান ইমাম ফরহাদ, একই বিভাগের বিভাগের সৌরভ সিদ্দিকী ও জিসান, অর্থনীতি বিভাগের রায়হান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী রাহিম।
তাঁদের মধ্যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী সৌরভ সিদ্দিকী ও জিসান বলেন, তাঁদের যে সাক্ষী রাখা হয়েছে, তাঁরা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এ ছাড়া অর্থনীতির ১৬তম আবর্তনের রায়হান নামের যে শিক্ষার্থীর কথা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে এই নামে অর্থনীতির ১৬তম ব্যাচে কোনো শিক্ষার্থী নেই।
তবে একই বিভাগের ১৫তম আবর্তনের রায়হান নামের শিক্ষার্থী বলেন, ‘যদি এটা আমার নাম হয়ে থাকে, তাহলে আমি জানি না। আমার সঙ্গে সাক্ষী হওয়ার বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেননি।’
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম জিসান বলেন, ‘আমি এ মামলার বিষয়ে কিছুই জানি না। সেদিন বিকেলে পুলিশের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হয়ছিল জানি। কিন্তু মামলার কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা তা আমার জানা নেই। কিন্তু আমার নাম দেখি সাক্ষীর তালিকায়, যা আমার জন্য বিব্রতকর। আমি এ ঘটনার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে কথাবার্তা বলছি আইনজীবীদের সঙ্গে। কথা বলে আমি আইনি পদক্ষেপ নিব প্রয়োজনে।’
শিক্ষার্থী সৌরভ সিদ্দিকী বলেন, ‘কুবির সাবেক ভিসি-প্রক্টরসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে যে মামলা করা হয়েছে, সেখানে আমাকে না জানিয়ে সাক্ষী রাখা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নিব বলে ভাবছি।’
মামলার বাদী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি এ মামলার বিষয়ে তেমন কিছু জানতাম না। আবু রায়হান ও সাকিব মামলার সব বিষয় নিয়ে আমার কাছে এসে আমাকে বাদী হতে বলায় আমি বাদী হয়েছি।’ সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দুজন সাক্ষী ফরহাদ ও মোস্তফার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু অন্যদের কারও সঙ্গে কথা বলিনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, ‘এ মামলার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। মামলাটি অন্যজন (শাখাওয়াত) করেছে। সাক্ষীর বিষয়ে তিনি জানবেন।’
এ ব্যাপারে সমন্বয়ক আবু রায়হানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, সাবেক প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সেই মামলায় না জানিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে সাক্ষী রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১৬তম আবর্তনের রায়হান নামের আরেক শিক্ষার্থীকেও সাক্ষী করা হয়েছে মামলায়। তবে এই নামে ১৬তম ব্যাচে কোনো শিক্ষার্থী নেই।
মামলার বাদী শাখাওয়াত হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আবু রায়হান এবং মোহাম্মদ সাকিব হোসাইনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলায় সাক্ষী হিসেবে আটজন শিক্ষার্থীর নাম-ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. গোলাম মোস্তফা, লোক প্রশাসন বিভাগের মো. হাসান অন্তর, একই বিভাগের তানভির হোসাইন মজুমদার, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের হাসান ইমাম ফরহাদ, একই বিভাগের বিভাগের সৌরভ সিদ্দিকী ও জিসান, অর্থনীতি বিভাগের রায়হান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী রাহিম।
তাঁদের মধ্যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী সৌরভ সিদ্দিকী ও জিসান বলেন, তাঁদের যে সাক্ষী রাখা হয়েছে, তাঁরা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এ ছাড়া অর্থনীতির ১৬তম আবর্তনের রায়হান নামের যে শিক্ষার্থীর কথা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে এই নামে অর্থনীতির ১৬তম ব্যাচে কোনো শিক্ষার্থী নেই।
তবে একই বিভাগের ১৫তম আবর্তনের রায়হান নামের শিক্ষার্থী বলেন, ‘যদি এটা আমার নাম হয়ে থাকে, তাহলে আমি জানি না। আমার সঙ্গে সাক্ষী হওয়ার বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেননি।’
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম জিসান বলেন, ‘আমি এ মামলার বিষয়ে কিছুই জানি না। সেদিন বিকেলে পুলিশের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হয়ছিল জানি। কিন্তু মামলার কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা তা আমার জানা নেই। কিন্তু আমার নাম দেখি সাক্ষীর তালিকায়, যা আমার জন্য বিব্রতকর। আমি এ ঘটনার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে কথাবার্তা বলছি আইনজীবীদের সঙ্গে। কথা বলে আমি আইনি পদক্ষেপ নিব প্রয়োজনে।’
শিক্ষার্থী সৌরভ সিদ্দিকী বলেন, ‘কুবির সাবেক ভিসি-প্রক্টরসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে যে মামলা করা হয়েছে, সেখানে আমাকে না জানিয়ে সাক্ষী রাখা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নিব বলে ভাবছি।’
মামলার বাদী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি এ মামলার বিষয়ে তেমন কিছু জানতাম না। আবু রায়হান ও সাকিব মামলার সব বিষয় নিয়ে আমার কাছে এসে আমাকে বাদী হতে বলায় আমি বাদী হয়েছি।’ সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দুজন সাক্ষী ফরহাদ ও মোস্তফার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু অন্যদের কারও সঙ্গে কথা বলিনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, ‘এ মামলার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। মামলাটি অন্যজন (শাখাওয়াত) করেছে। সাক্ষীর বিষয়ে তিনি জানবেন।’
এ ব্যাপারে সমন্বয়ক আবু রায়হানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
১ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
১ ঘণ্টা আগে