ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
‘আমার কইলজার ধনরে আইন্না দেন আপনেরা। আমি আর কিছু চাই না। আমার কইলজা ছিঁড়া ধনে কেমনে ছাইড়া গেল গো?’ সন্তান হারিয়ে এই বুকফাটা আহাজারি করে এসব কথা বলছিলেন দুই মা। আজ মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর ১২টার দিকে খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশের একটি ডুবায় ডুবে মারা গেছে এই দুই মায়ের সন্তান জিহাদ হোসেন (৫) ও রায়হান হোসেন (৩)। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুদের মায়েদের কান্না থামছে না। নাজমা বেগম ছেলে জিহাদের নিথর দেহ জড়িয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। কান্নায় ভেঙে পড়া রায়হানের মা রোকসানা আক্তার বলেন, ‘আম্মার কইলজা ছিঁড়া যাইতাছে, বাবা কথা কও, আব্বা আম্মার লগে কুদ্দুর কথা কও! আম্মায় তোমারে ছাড়া কী লইয়া থাহাম?’
জিহাদ হোসেন রামচন্দ্রপুর গ্রামের জলিল মিয়া ও নাজমা বেগমের একমাত্র ছেলে। অন্যদিকে রায়হান হোসেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা গ্রামের রুবেল মিয়া ও রোকসানা আক্তারের সন্তান। স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগিনা। প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির উঠানে খেলছিল শিশুরা। কিছুক্ষণ পর তাদের খুঁজে না পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি নতুন খনন করা ডোবায় তাদের নিথর দেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। তাদের দ্রুত ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুই শিশুকেই মৃত ঘোষণা করেন। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা ইসলাম বলেন, শিশু দুটি হাসপাতালে আনার আগেই মারা গিয়েছিল। চান্দলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। পুরো এলাকা শোকস্তব্ধ। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুদের লাশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
‘আমার কইলজার ধনরে আইন্না দেন আপনেরা। আমি আর কিছু চাই না। আমার কইলজা ছিঁড়া ধনে কেমনে ছাইড়া গেল গো?’ সন্তান হারিয়ে এই বুকফাটা আহাজারি করে এসব কথা বলছিলেন দুই মা। আজ মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর ১২টার দিকে খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশের একটি ডুবায় ডুবে মারা গেছে এই দুই মায়ের সন্তান জিহাদ হোসেন (৫) ও রায়হান হোসেন (৩)। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুদের মায়েদের কান্না থামছে না। নাজমা বেগম ছেলে জিহাদের নিথর দেহ জড়িয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। কান্নায় ভেঙে পড়া রায়হানের মা রোকসানা আক্তার বলেন, ‘আম্মার কইলজা ছিঁড়া যাইতাছে, বাবা কথা কও, আব্বা আম্মার লগে কুদ্দুর কথা কও! আম্মায় তোমারে ছাড়া কী লইয়া থাহাম?’
জিহাদ হোসেন রামচন্দ্রপুর গ্রামের জলিল মিয়া ও নাজমা বেগমের একমাত্র ছেলে। অন্যদিকে রায়হান হোসেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা গ্রামের রুবেল মিয়া ও রোকসানা আক্তারের সন্তান। স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগিনা। প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির উঠানে খেলছিল শিশুরা। কিছুক্ষণ পর তাদের খুঁজে না পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি নতুন খনন করা ডোবায় তাদের নিথর দেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। তাদের দ্রুত ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুই শিশুকেই মৃত ঘোষণা করেন। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা ইসলাম বলেন, শিশু দুটি হাসপাতালে আনার আগেই মারা গিয়েছিল। চান্দলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। পুরো এলাকা শোকস্তব্ধ। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুদের লাশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কোরবানির ঈদ দরজায় কড়া নাড়ছে। তবে গাইবান্ধায় পশুর হাটগুলো এখনো জমে ওঠেনি। হাটে দেশি গরুর পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের। তাঁরা বলছেন, এবারের ঈদের হাটে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি।
১ ঘণ্টা আগেদেশে আম উৎপাদনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল হিসেবে খ্যাত ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর। এখানে অনেক নামী জাতের আম চাষ হচ্ছে, যা কয়েকবার বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এই ফল রপ্তানিযোগ্য করতে স্থানীয় চাষিরা উৎপাদনে ব্যবহার করছেন ব্যাগ ও গ্যাপ পদ্ধতি।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর নগরীর প্রতিটি সড়ক, গলি, মোড় যেন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। চারপাশে ছড়িয়ে থাকা এসব পচা ময়লা-আবর্জনার উৎকট গন্ধে নাক-মুখ চেপে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।
১ ঘণ্টা আগেআসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে দেশের ৬টি মহাসড়কের ১১৮ স্থানে যানজটের আশঙ্কা করছে পুলিশ। এই ৬ মহাসড়কের পাশেই বসছে ২৩০টি পশুর হাট। এসব হাটকে কেন্দ্র করে পশুবাহী ট্রাকের যাতায়াত, সড়কে দাঁড়িয়ে পশু নামানো-ওঠানো ইত্যাদির কারণে ব্যাপক যানজটের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ...
১ ঘণ্টা আগে