কুবি প্রতিনিধি
মঞ্চে উঠতে বাধা দেওয়ায় কুমিল্লায় জুলাই সমাবেশ বয়কট ও তিন সমন্বয়ককে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়কদের একাংশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তাঁরা।
এর আগে শুক্রবার কুমিল্লায় জুলাই সমাবেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের মঞ্চে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। এই নিয়ে কুমিল্লা মহানগর ও জেলা সমন্বয়কদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের একাংশের তর্কাতর্কি হয়। বিষয়টিকে অপমানজনক আখ্যা দিয়ে সমাবেশকে বয়কট এবং জেলার তিন সমন্বয়ককে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন সমন্বয়কদের একাংশ।
তিন সমন্বয়ক হলেন–বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন, মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আবু রায়হান এবং সদস্যসচিব মোহাম্মদ রাশিদুল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে কুবির সমন্বয়কদের পক্ষে মো. আবরার ফাহিম বলেন, ‘১১ জুলাই রাতে প্রথম ৫৪ জনের সমন্বয়ক লিস্ট টিম তৈরি হয়। সেখানে আজকে যারা কুমিল্লাতে রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে, ভয়ে তারা কেউ নাম দেয়নি। হাসনাত ভাইয়ের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, আপনি যাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছিলেন, আজকে যারা কুমিল্লায় রাজত্ব করছে, তাদের কি দেখেছিলেন? আজকের জুলাই সমাবেশে কুবির শিক্ষার্থীরা যখন বক্তব্য দিতে যায়, তখন গায়ে হাত তুলে তাদের স্টেজ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। প্রশাসনের লেজুড় জড়িয়ে আবু রায়হান, সাকিব, রাশেদ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেক হোল্ডারদের নাম বিক্রি করে যে রাজত্ব করে যাচ্ছে, আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হতে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।’
মো. শোয়াইব হোসেন আলামিন বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামধারী কিছু শিক্ষার্থী, যারা সমন্বয়ক পরিচয় বহন করে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মামলা দিয়ে “মামলা-বাণিজ্য” করছে এবং এর যথেষ্ট প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বহন করে যারা চাঁদাবাজি এবং মামলা-বাণিজ্য করেছে, তাদের আমরা কঠিনভাবে প্রতিহত করব।
‘প্রশাসনকে অনুরোধ করব, তারা যেন এই বিষয়টি নিয়ে তদারকি করে। আজকে কুমিল্লায় যে সম্মেলন হয়েছে, সেখানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লবী শিক্ষার্থীদের যে অপমান করা হয়েছে, এর প্রেক্ষিতে আজকের সম্মেলন আমরা বয়কট করলাম।’
আরেক সমন্বয়ক মো. এমরান হোসেন বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন ছিল ফ্যাসিস্টবিরোধী, যেখানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ আমাদের চিরদিনের শত্রু। কিন্তু এসব দোসরের অর্থের বিনিময়ে বিভিন্নভাবে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। তাদের কেন আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চুপ থাকছি। যারা ৫৪ জনের নাম ব্যবহার করে মামলা-বাণিজ্য করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছি। তারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করবে, তা আমরা মেনে নেব না। কুমিল্লা মহানগরের একজন আমাকে বলে ফ্যাসিস্টদের জন্য মামলা করতে। কারণ, তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে এবং পরবর্তীকালে তারা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠে আমাদের ক্ষতি করতে পারে—তাই আমি বাদী হয়ে ৯৭ জনের নামে মামলা করি। সেখানে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ছিল।’
মঞ্চে উঠতে বাধা দেওয়ায় কুমিল্লায় জুলাই সমাবেশ বয়কট ও তিন সমন্বয়ককে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়কদের একাংশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তাঁরা।
এর আগে শুক্রবার কুমিল্লায় জুলাই সমাবেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের মঞ্চে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। এই নিয়ে কুমিল্লা মহানগর ও জেলা সমন্বয়কদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের একাংশের তর্কাতর্কি হয়। বিষয়টিকে অপমানজনক আখ্যা দিয়ে সমাবেশকে বয়কট এবং জেলার তিন সমন্বয়ককে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন সমন্বয়কদের একাংশ।
তিন সমন্বয়ক হলেন–বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন, মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আবু রায়হান এবং সদস্যসচিব মোহাম্মদ রাশিদুল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে কুবির সমন্বয়কদের পক্ষে মো. আবরার ফাহিম বলেন, ‘১১ জুলাই রাতে প্রথম ৫৪ জনের সমন্বয়ক লিস্ট টিম তৈরি হয়। সেখানে আজকে যারা কুমিল্লাতে রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে, ভয়ে তারা কেউ নাম দেয়নি। হাসনাত ভাইয়ের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, আপনি যাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছিলেন, আজকে যারা কুমিল্লায় রাজত্ব করছে, তাদের কি দেখেছিলেন? আজকের জুলাই সমাবেশে কুবির শিক্ষার্থীরা যখন বক্তব্য দিতে যায়, তখন গায়ে হাত তুলে তাদের স্টেজ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। প্রশাসনের লেজুড় জড়িয়ে আবু রায়হান, সাকিব, রাশেদ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেক হোল্ডারদের নাম বিক্রি করে যে রাজত্ব করে যাচ্ছে, আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হতে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।’
মো. শোয়াইব হোসেন আলামিন বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামধারী কিছু শিক্ষার্থী, যারা সমন্বয়ক পরিচয় বহন করে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মামলা দিয়ে “মামলা-বাণিজ্য” করছে এবং এর যথেষ্ট প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বহন করে যারা চাঁদাবাজি এবং মামলা-বাণিজ্য করেছে, তাদের আমরা কঠিনভাবে প্রতিহত করব।
‘প্রশাসনকে অনুরোধ করব, তারা যেন এই বিষয়টি নিয়ে তদারকি করে। আজকে কুমিল্লায় যে সম্মেলন হয়েছে, সেখানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লবী শিক্ষার্থীদের যে অপমান করা হয়েছে, এর প্রেক্ষিতে আজকের সম্মেলন আমরা বয়কট করলাম।’
আরেক সমন্বয়ক মো. এমরান হোসেন বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন ছিল ফ্যাসিস্টবিরোধী, যেখানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ আমাদের চিরদিনের শত্রু। কিন্তু এসব দোসরের অর্থের বিনিময়ে বিভিন্নভাবে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। তাদের কেন আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চুপ থাকছি। যারা ৫৪ জনের নাম ব্যবহার করে মামলা-বাণিজ্য করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছি। তারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করবে, তা আমরা মেনে নেব না। কুমিল্লা মহানগরের একজন আমাকে বলে ফ্যাসিস্টদের জন্য মামলা করতে। কারণ, তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে এবং পরবর্তীকালে তারা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠে আমাদের ক্ষতি করতে পারে—তাই আমি বাদী হয়ে ৯৭ জনের নামে মামলা করি। সেখানে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ছিল।’
রোববার (২০ জুলাই) ভোরে জহুরপুর বিওপির সীমান্ত পিলার ১৬/৫-এর কাছে ৫ জন চোরাকারবারি ভারতের অভ্যন্তরে যায়। সে সময় বিএসএফ চোরাকারবারিদের চ্যালেঞ্জ করলে ৪ জন পালিয়ে আসে। মোহম্মদ লালচান (২৫) বিএসএফের হাতে আটক হন। পরে চোরকারবারিরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাশ ফেরত এনে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে পদ্মা নদী
২ ঘণ্টা আগেথেমে নেই হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব। ৭ বছর ধরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার দেয়াঙ পাহাড়ে অবস্থান নিচ্ছিল একদল হাতি। দিনে বা রাতে পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির পালের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ দুই উপজেলার বাসিন্দারা।
২ ঘণ্টা আগেচিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ওষুধ বিক্রি না করায় রাজধানীর চকবাজারে এক ফার্মেসি মালিককে ছুরিকাঘাত করেছে এক তরুণ। এতে গুরুতর আহত হন ব্যবসায়ী মো. নাহিদুল ইসলাম (৩৭)। ঘটনার তিন দিন পর হামলাকারী ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে চকবাজার থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার তরুণের নাম সাদ্দাতুল ইসলাম আপন ভূঞা (২১)।
২ ঘণ্টা আগেনরসিংদীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান উপলক্ষে বিএনপির সহযোগী সংগঠন কৃষক দলের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের মাঠে বৃক্ষরোপণ করার সময় মানবিক বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়। এ ঘটনায় উপস্থিত নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি
২ ঘণ্টা আগে